![]() |
হারান চন্দ্র মিস্ত্রী |
আফসোস
হারান চন্দ্র মিস্ত্রী
ছাড়পত্র লিখে দিয়ে রজত বেচল খাসি।
সমস্ত ছাগল বেচে দেবে সে।
খসিটার জন্য মন ভীষণ খারাপ তার।
কাজ থেকে বাড়িতে ফিরলে
কাছে এসে খাসিটা আদুরে গুঁতো দিত
রজতের গায়।
চেটে দিত সারা গা, মাথাও।
ব্যাপারী যখন তার পা বেঁধে গাড়িতে তোলে
ম্যাঁ ম্যাঁ করে ডাকছিল আর
ফ্যাল ফ্যাল করে তাকাচ্ছিল অবোধ প্রাণীটি।
রজত ঘুমোতে পারে নি সেই রাতে।
মায়ার বাঁধনে তাকে বেঁধেছিল খাসি।
তিন দিন পর ছাগল ব্যাপারী হাঁক দেয় -
ছাগল বেচবে গো।
ব্যাপারীর হাঁক শুনে রাস্তায় বেরিয়ে আসে
শোকার্ত রজত।
সেই ছাগল ব্যাপারী সে।
সে জিজ্ঞাসা করল তাকে, ছাগল কোথায়?
ব্যাপারী উত্তরে বলে, জবাই দিয়েছি ভাই।
মুহুর্তে মাংস শেষ, আমিও খেয়েছি।
দারুণ হয়েছে স্বাদ।
বিরক্ত রজত বলে,
তুই তাকে খেয়েছিস?
জামার কলার ধরে টানে।
হতভম্ব ছাগল ব্যাপারী।
রজতের স্ত্রী স্বামীকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
শান্ত হয়ে সে আফসোস করে,
সামান্য টাকার জন্য
স্নেহের সম্পদ বেচলাম আমি!
________
হারান চন্দ্র মিস্ত্রী
পেশা-প্রাথমিক শিক্ষক
গ্রাম ও পো- আমতলা,
থানা-ক্যানিং,
জেলা-দক্ষিণ ২৪ পরগনা,
পশ্চিমবঙ্গ, ভারতবর্ষ,