উত্তরের বিজয়ে
মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম
সিংহভাগ জনতার বাস
হয়েই থাকে যদি উত্তরে
তবে কেন তালবাহানা- ষড়যন্ত্রে
উপজেলা হতে যাবে ভূজপুরে?
ফটিকছড়ি - ভূজপুর
কতটুকুই বা- দূরুত্ব
ভূজপুর উপজেলায় ঘুচাবে কি-গো
উত্তরের মানুষের অসহায়ত্ব?
স্বাধীনতার আগে ও দেখেনি "উত্তর"
উন্নয়ন কাকে বলে-
স্বাধীনতার পরে ও ঠকেছে বারবার
নানামুখি নিল নকশার জালে।
ক্ষমতার মসনদে বসেছো বারবার
গড়ে নিয়েছো বহু প্রতিষ্ঠান
নাগরিকত্বের সবটুকু স্বাদ পিয়ে দেখিয়েছো মহত্ব
গলা ছেড়ে শুনিয়েছো শ্রেষ্ঠত্বের বয়ান।
আর আমরা এদিকে!
বারবার উঠতে গিয়ে হিমালয়
নিচেই যাই থেকে!
সামান্য কাজের দায়ে
ছুটে চলি সুদূর উপজেলায় হন্যে হয়ে!
এপার-ওপার কতো বাবুর দ্ধার
ঘুরে ফিরি অসহায়ের মতো
কখনো বা ক্লান্তিতে বিষন্ন হয়ে স্রষ্টাকে বলি
এভাবে আর কতো?
নতুন উপজেলা! ঘোষনা হতেই
বাজলো মনে বিজয়ের ডঙ্কা
শুনানী হবে ছুটে ছলো সবে
ভুলে যাও হতাশা শঙ্কা।
আশা করি এবারের বিচার হবে নাকো আর
অবহেলিতের স্বপ্নের অন্তরায়
একটাই প্রাণের দাবী,উপজেলা হোক
হেঁয়াকো কিংবা দাঁতমারায়।
উত্তর দক্ষিণ কেনো এই ব্যবধান
এইবার জেগে উঠো জনতা
হাতে হাত রেখে পাশাপাশি চলো
উত্তরের বিজয়ে ফিরবেই সমতা।
কবি পরিচিতি
মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম চাঁদপুর জেলার ফরিদ গঞ্জ থানার লক্ষ্মীপুর গ্রামের মোল্লা বাড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন। বাবা নূরুল ইসলাম মোল্লা পেশায় একজন শিক্ষক ছিলেন। মা আয়েশা বেগম ছিলেন গৃহিনী। সাত ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি সপ্তম। লক্ষ্মীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শিক্ষার হাতে খড়ি হয়। এরপর ক্রমান্বয়ে রাঙ্গামাটির মারিশ্যাচর মুসলিম ব্লক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উগলছড়ি মহাজন পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, বালুটিলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়,কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ, হেয়াকো বনানী ডিগ্রি কলেজ, এবং ফেণী সরকারি কলেজে পড়াশোনা করেন। বাস্তব জীবনে তিনি একজন সাহিত্যিক, শিক্ষকও সাংবাদিক। এ পর্যন্ত তিনি অনেক কবিতা, ছোট গল্প উপন্যাস রচনা করেন। এ পর্যন্ত তার প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা দশটি।সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠন হতে নানা পুরস্কার ও পদক অর্জন করেন। পল্লী কবি জসীমউদ্দিন স্মৃতি পদক ২০২২, ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর সাহিত্য পুরস্কার, ২০২২, এবং বর্ষসেরা কবি সম্মাননা ২০২২ উল্লেখযোগ্য। শোষণ হীন একটা সুন্দর সমাজ বিনির্মানই তার একমাত্র লক্ষ্য।
 |
মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম |