Ads Area

ফাইয়াজ ইসলাম ফাহিম’র সেরা কবিতা গুলো

 ১.

কষ্ট

.

কষ্ট আমার 

ফাইয়াজ ইসলাম ফাহিম

আসল দয়িতা 

আমার আসল জীবন সঙ্গীনি!

সবাই চলে গেছে শুধু কষ্ট চলে যায়নি

কষ্টের ভালবাসার কাছে আমি হেরে গেছি?


হে কষ্ট তুই আছিস থাক!

তুই ছাড়া কেউ আমার আপন নেইরে

তোর ভালবাসার কাছে আমি মুগ্ধ

তুই আমায় কখনো ছেড়ে যাস না।


তুই চলে গেলে আর কি নিয়ে বাঁচব বল

তুই আমার ভালোবাসা

তুই আমার মনোবল 

এই রিক্ত জীবনে 

তুই আমার শেষ সম্বল?

২.

আমি কচুরিপানা

.

একটু হাসি - ঠাট্টা-তামাসা  করতাম! আপনার মনটাকে রাঙাতে চেয়েছিলাম

আনন্দে মাতিয়ে রাখতে চেয়েছিলাম

কিন্তু পারিনি,আপনি যে রায়বাঘিনী তা আর অবিদিত রইল না।

বিনিময় তাচ্ছিল্য,অবহেলা,ঘূর্ণার কার্তুজে পর্যদুস্ত করলেন

কি আর করার আমি তো কচুরিপানা 

মূল্যায়ন করার দরকার কি!

কখনো পদ্মার জলে,কখনো যমুনার জলে আবার কখনো তিস্তার জলে

ভেসে চলি এই ভাবে চলছে জীবন,

যেদিকে নদীর স্রোত সেই দিকে ধাবিত হই।

আমার শাখা-প্রশাখা  বিধ্বস্ত হলে বা আপনার কি

আমি আপনার নরম বক্ষে শিকড়্ বসাতে আসি নি

চুষে চুষে আপনার রস খেতে চাই নি

আপনার কাছ থেকে কখনো ভালবাসা চাইতে আসি নি?

কচুরিপানার ভালবাসা অনেক আগেই চলে গেছে 

তাই কচুরিপানা কাউকে আর ভালবাসতে পারে না!

কচুরিপানা নিরীহ  ওর তো মন বলে কিছু নেই

ওর ফুল সবাই পছন্দ করে,কিন্তু কেউ মূল্যায়ন করে না।

আপনি কর্ণফুলী নদীর মতো খরস্রোতা নদী

তাই আপনার বুকে ঠাঁই পাওয়া দূর্বিষহ!

আপনার বুকে শিকড়্ না বসাতেই ঢেউয়ের ঝাপটায় ভেঙ্গে দিবেন আমার  নতুন শাখা-প্রশাখা?

তাই কচুরিপানা কে আর আপনার বুকে আসতে বলবেন না

আমার শাখা-প্রশাখার আর ক্ষতি করতে চাই না!

বারংবার শাখা-প্রশাখার কষ্টে আমি নুয়ে পড়ি অসহায় হয়ে পড়ি।

আমায় মার্জনা করবেন, আপনার বুকের উত্তাল টেউ সহ্য করতে পারবো না  

আর অসহায় হতে চাই না, বারংবার শাখা-প্রশাখা হারানো কত যে কষ্টের তা অর্বচনীয়!

 তাই আমি কচুরিপানা ভেসেই চলে গেলাম 

অজানা কোন নদীর বুকে

আপনি ভাল থাকবেন, অশান্ত কোন ঝড় সৃষ্টি করবেন না  আপনার বক্ষে  

বেঁচে থাকার সক্ষমতা থাকলে হয়তো থাকতাম

৩.

ফুল

.

হে ফুল নিজে কে জড়িয়ে রেখ না 

রাঙিয়ে দাও মাতিয়ে দাও এ ধরা,

পাপড়ি জড়িয়ে নিজেকে আর কত লুকিয়ে রাখবে 

তোমার শরীর মধু দিয়ে  টইটম্বুর!

অনেক মাছি, অনেক ওলি গুণগুণ করছে তোমার চারপাশে

মধু খাওয়ার আশে যারে- তারে খেতে দিও না।


মাছি তোমার শরীরে   হুল ঢুকালে তোমার অঙ্গ বিপর্যয় হবে ঘা হবে 

তোমার মুধু পানসে হবে!

তবে মাছিকে মধু খেতে দিও না তুমি তো জান মাছি নর্দমায় সৃষ্টি

কালো মাছি,নীল মাছি কোনো মাছিকে তোমার মধু খেতে দিও না।


অনেক অলি গুগগুণ করছে, কারো হুল ছোট, কারো হুল বড়

কোন কোন অলি স্বাস্থ্যবান, তবে যারে খুশি সেই ওলিরে তোমার মধু

খেতে দিবে,

যে অলিরে সইতে পারবে বইতে পারবে যে অলির হুলের ব্যথা সহ্য করতে পারবে তারে মধু খেতে দিও?

নিজেকে পাপড়ি দিয়ে ঢেকে রেখে কি করবে

অনর্থক ওলিদের কষ্ট দিও না!

শুধু মধু গুলো নষ্ট করে কি করবে বিধাতার দান,

খেতে দিও তোমার মনের অলিকে

যে তোমারে বুঝবে আহো- রাত্র যে তোমার মধুর প্রতি খেয়াল রাখবে।


যে অলি তোমায় গান শুনাবে ভালবাসার কাব্য বলবে

তোমার কথায় চলবে,তোমার রুপে মাতোয়ারা হবে

সেই অলিকে মধু খেতে দিও?

তবে সব অলিরে মধু খেতে দিও না তখন একেবারেই অসহায় হয়ে পড়বে

মধু শূন্যতা রোগে ভুগবে!


পাপড়ি তোমার কুঁকড়ে যাবে,তখন কোন অলি কেন!

একটি  মাছিও গুন গুন করবে না তোমার চারপাশে

তখন বড্ড অসহায় হয়ে পড়বে! তখন আর মধু সঞ্চার করতে পারবে না

আ-জীবনের মতো হারিয়ে যাবে এ ধরা থেকে...

৪.


কি করে বোঝাবো পরী কে ভালবাসি

.

কি করে  বোঝাবো পরী কে ভালবাসি

যতই পরী কে ভালবাসি ততই মন হয় তার উদাসী

পরী আমায় বোঝে না পরীর মন দোদুল্যমান।

পরীর মন এই সতেজ, এই ম্লান

পরীর কে পাওয়ার আশে কত  অর্চনা করলাম

প্রেম দেবতা মদনের কাছে!

আমার পরী কে এনে দিন, প্রেম দেবতা মদন ও ধড়িবাজ

ভৎসর্না করলেন ঠাঁই দিলেন  না পরীর মনে?


মন তাপক্লিষ্টে নুয়ে গেছে,মহা তমিস্রায় আচ্ছাদিত  এই ভূলোক

যেদিকে তাকাই সেদিকে তম্রিসা!

পরীর ঠারেঠোরে দেখে বুঝেছিলাম আমায় ভালবাসে,

কিন্তু অনুমেয় করতে পারিনি,পরী আমায় কিঞ্চিৎ ভালবাসে না।


বুক ফেঁটে যায় যেন গরম লাভার স্রোত বইছে এই বুকে 

কিন্তু,পরী আমার বুঝে না আমার বক্ষের ব্যথা, 

দূর থেকে ভালবাসি

তাই এ্যাত্ত অবহেলা।


আমার ব্রীড়া নেই তাই বারংবার ভস্মে ঘি ঢালি

আর ভগ্নমনোরথ নিয়ে ফিরে আসি ,

পরী হাসে খিল খিল

আমার করুণ অবস্থা দেখে?আমি পরী কি নিয়ে কত গর্ব করতাম

কিন্তু,আমি ছিলাম সবথেকে বড় অর্বাচীন

কচুরিপানা হয়ে কি পরী কে ভালবাসা যায়?


আমি তো পরীর কাছে ব্যাঙের আধুলি 

বেহদ্দ পরী কে ভালবেসে ছিলাম,

পরী আর কচুরিপানার মাঝে বেষ্টনী আছে তা আমার অবিদিত ছিল

পরী আমার প্রতি বীতশ্রদ্ধ!

আমি কচুরিপানা তবুও পরীর মনে ভালবাসার তরঙ্গ সৃষ্টি করি 

কিন্তু পারি না,পরী যে ভালবাসা সম্পর্কে বিমূঢ়।

৫.

নারী মানেই কবিতা

.

নারী মানেই কবিতা

কবিতা মানেই নারী!

নারীর ওষ্ঠে কবিতা নারীর অলুক কুন্তুলে কবিতা

নারীর পদ্মলোচন আখিতে কবিতা

নারীর নাসিকায় কবিতা,

নারীর দন্তে কবিতা নারীর হাসিতে কবিতা

নারীর গালের টোলে কবিতা/নারী মানেই কবিতা

কবিতা মানেই নারী!

নারীর স্কন্ধে কবিতা নারীর বক্ষে কবিতা

নারীর পয়োধরে কবিতা

নারীর নিতম্বে কবিতা

নারীর প্রত্যেক টি অঙ্গ- প্রত্যঙ্গে কবিতা।

নারীর শরীররের রন্ধে রন্ধে কবিতা

শরীরের ভাঁজে ভাঁজে কবিতা

নারী মানেই কবিতা

কবিতা মানেই নারী।

৬.

ভালবাসা সমাচার

.

ভালবাসার খৈ

আগের মত করে না হৈ চৈ!

ভালবাসা আজ মুড়ি

শুধু দেয় যৌনতার শুরশুড়ি।

ভালবাসা কবে যেন

হয়ে যায় চিড়া,

যৌনতা যে নিত্য-নতুন দিয়ে চলছে পীড়া?.

 ৭.

ভালবাসার কাঙাল

.

আমার মস্তিষ্কের সেরেব্রাম তোমার জন্য আজ নষ্টের পথে

কবে জানি উন্মাদ হয়ে যাই,

তোমার মেকি ভালবাসার আলা আর সইতে পারে না

আমার আইরিস?তোমার ভালবাসার মেলালিনে আমি পরিবর্তন হয়েছি

কোয়ার্ডরিসেপস আজ ধংসের পথে।


আমার  দুইশত ছয়টি হাড় তোমারে দিতে চেয়েছিলাম

তোমার ক্ষুদা নিবারণ করার জন্য?

হাড়ের ভিতরের বোন ম্যারো তো তোমার প্রিয় খাবার

চুসে খেতে বিনিময় শুধু তোমার ভালবাসা দিতে।


ল্যারিংস এর মিষ্টি  আওয়াজে শুনিয়ে ঘুম পারিয়ে দিতে আমায়

ক্যারোটিন নখ দিয়ে বক্ষ ভেদ করতে,আমার দুটি ফুসফুস, কলিজার স্বাদ

জিহ্বা দিয়ে নিতে, বিনিময় একটু ভালবাসা দিতে?


আমার ত্বকের এপিডার্মিস লিখে দিও তোমার গোপন কথা গুলো

হয়তো আবার আসবো এ বসুন্ধরায় মানুষ না হোক

রাক্ষসীর বরের বেশে।


তবুও তোমায় মনে রাখতে পারবো

 আমি মানুষ হয়ে রাক্ষসীর প্রেমে পড়েছিলাম,

তাই হয়তো আজ বিধাতা রাক্ষস বানিয়েছেন?

তোমার চরণকমল দিয়ে আমায় দলন করিও, 

আমার ডান নিলয় বাম নিলয় কে তোমায় ভালবাসার অপরাধে সাজা দিও।


হৃদপিন্ড বন্ধ করে দিও আমার রক্ত মেখে নৃত্য করিও,

 আহ্ তুমুল নৃত্যের ঝড়ে অসুর দেবতাকেও

ডেকে এনো?

আমার কিডনি দুটো কে খেতে দিও তোমার দেবতা অসুর কে

আমার শরীরের সব অঙ্গ- প্রত্যঙ্গ ভক্ষণ  করিও?

তবুও আমায় একটু তোমার ভালবাসা দিও

একটু বুকে জড়িয়ে নিও,ভালবাসার পরশে হয়তো ভুলবো নিজেকে হারানোর বেদনা,

তবুও তোমার ভালবাসার কাঙালের শেষ কথাটি রাখিও

৯.

একটু ভালবাসা দিও

.

হে তিলোত্তমা অঙ্গনা তুমি আমার রাগিনী- আমার সুহাসিনী

আমার প্রেসাস্পদা,আমার চোখের আলা

আমার শক্তি,আমার প্রেরণা,আমার ভালোবাসা

তোমার সঙ্গে পরিণয় সম্পন্ন করতে চাই

তোমার পাশে থাকতে চাই

তোমায় আদর করতে চাই?তুমি কি আমায় তোমার মোহ্ডোরে জায়গা দিবে?

ভালবাসা দিয়ে রাঙিয়ে দিবো 

ভালবাসার রাজ্যে নিয়ে যাবো তোমায়!

তুমি কি যাবে আমার সনে,

সমস্ত ভালবাসা দিয়ে তোমায় পর্যদুস্ত করে রাখবো।


বয়সের বাতিকে নিজেকে শেষ করো না

তোমার যৌবন সবিতা কে উদিত করো!

ভালবাসতে দাও আমায়

তোমার কাছে আসার অনুমতি দাও?তোমার পাগল কে শান্ত করো

মেকি আস্ফালন দেখিও না হে তিলোত্তমা

তোমাকে চাই,

তোমার স্পর্শ চাই, তোমার ভালবাসা চাই,

নিগূঢ়ভাবে ভালবাসবো তোমায়?তোমার হাসি, তোমার গালের টোল

চোখের তারকা অন্তরে প্রেমের বীণা বাজায়!


তুমি কি আমার কাছে ভালবাসা বিনিময় করবে

হে মনের রাণী।

ভালবাসা না দিলে তোমার নরম হাতের থাপ্পর দিও

পা দিয়ে দলন করো আমায়,

পিশাচিনী হয়ে বক্ষের রক্ত খেও তবুও একটু তোমার ভালবাসা দিও!

কিছু না হলেও তোমার আঙ্গুলের ছোঁয়া পাবো

তোমার সারা অঙ্গে ভালবাসা

তুমি যে ভালবাসার রাণী।


১০.

হাসির রাণী

.

তোমার একটা হাসি দেখে অনন্তকাল না খেয়ে

থাকতে পারি

তোমার হাসিতে কি যেন লুকায়িত করা আছে হে

তিলোত্তমা,

হেলাল,সেতারা,সবাই নতজানু করেছে তোমার হাসির

কাছে

তোমার হাসির আলায় ঝলসে গেছে হেলাল,সেতারা।

হে হাসির রাণী এভাবে হেস্ না,এ ভূলোকের

সমস্ত যুবাদের মাতোয়ারা

করো না,

তোমার হাসির কারণে নীলিমার বুকে

হেলাল,সেতারা উদিত হয় না

তুমি তো ঝলসে দিয়েছো তাদের!


হে হাসির রাণী তুমি তোমার হাসির রাজ্যে ফিরে যাও

এভাবে হেস্ না আমি পাগল হয়ে যাব তোমার প্রতি,

তোমার দ্যুতিময় হাসিতে হায়া হারিয়েছি!

তোমার তরে মায়া বাড়িয়েছি,তোমার জন্য এ কায়া

অশান্ত।


হে হাসির রাণী এভাবে আর হেস্ না 

করো না মোরে সর্বশান্ত

তুমি তোমার হাসির রাজ্যে ফিরে যাও!

এ ভাবে হেসে্ মানুষ কে কষ্ট দিয়ে কি মজা পাও

হেলাল,সেতারাদের উদিত হতে দাও?


এ ভূলোকের মানুষদের শান্তি দাও স্বস্তি দাও হে হাসির রাণী।

তোমার খিল খিল হাসিতে কারো ঘুম হয় না

তুমি আর হেস্ না,ঘুমাতে দাও

নয়তো সবাই অসুস্থ হয়ে পড়বে,

হে হাসির রাণী তুমি ফিরে যাও তোমার হাসির রাজ্যে

এভাবে আর দহন করো না মানুষের তনু- মন।




১১.


আই লাভ ইউ কোন মেয়েকে বলবো না?

.

যারে আই লাভ ইউ বলি সেই মেয়ে

সুন্দর হয়ে ওঠে,

তার রুপের ঝংকারে ভূলোক যেন কম্পিত হয়!

প্রেম কাননের সব অলি যেন উন্মাদ হয়

যারে- তারে কামড়িয়ে দেয়,

নিজেকে হামবড়া ভাবে যেন ক্যাটরিনা কাইফ বা প্রিয়াংকা চোপড়া

তাই আর কোন মেয়ে কে আই লাভ ইউ বলবো না।


যারে আই লাভ ইউ বলি

তারে-ই যেন রুপের আলা জ্বলে ওঠে 

গোবরের  বুকে যেন পদ্ম ফোটে?

আহা! কি তার কদর শত ছেলে নাকি তারে করতে চায় আদর

তার মদগর্ব দেখে  মদীয় মনোরথ ক্ষুণ্ন হয় মর্মপীড়া স্ফীত হয়

তাই আর কোন মেয়েকে আই লাভ ইউ বলবো না।


বলবো না তুমি আমার রাগিনী- বাঘিনী

বলবো না তুমি আমার আধারের আলা,

যারেই আই লাভ বলি সেই নাকি অপরের স্ত্রী

তার নাকি প্রেমাস্পদা আছে,

তার নাকি দুটো বাচ্চা আছে

তাই আর কোন মেয়ে কে আই লাভ ইউ বলবো না।


যারে-ই আই লাভ ইউ বলি তার নাকি কেশ নেই

সভ্যতার বেশ্ নেই,

তার নাকি বাবা- মা মেনেই নিবে না

আমি যে বেকার

তাই আর কোন মেয়ে কে আই লাভ ইউ বলবো না।


যারেই আই লাভ ইউ বলি সেই অর্নাস শেষ করেছে

আর অর্নাস আমি পড়বো,

আহা! কি দম্ভ মনে হয় অশনি ফুটছে তার চোখে

তাই আর কোন মেয়ে কে আই লাভ ইউ বলবো না।


যারেই আই লাভ ইউ বলি

সেই বলে তুমি কি আমার আলতা- স্নো পায়ের মল কিনে দিতে পারবে

প্রতি মাসে মাসে  ডজন খানিক কাপড় কিনে দিবে?

না গো ডজন খানি কবিতা দিবো,দূর ছাই

তোমার আসলে বুঝি কোন কূল কিনারা নাই

তাই আর কোন মেয়ে কে বলবো না আই লাভ ইউ।


যারেই আই লাভ ইউ বলি

তারেই বেড়ে যায় কদর,

মনে হয় আমি মানুষ না পাগল বা ভোঁদর

যারেই আই লাভ ইউ বলি

কোন কোন মেয়ে আবার পুলকিত হয়,

কেউ কেউ আমার বডির ভালবাসার জন্য উতালা হয়

আসবে কি হোটেলে আহা! কি যে বল কষ্ট লাগে না বুকে

আমি কি! ভারপ্রাপ্ত প্রেমিক কেমনে বললে এই কথা মুখে

তাই আর কোন মেয়ে কে বলবো না আই লাভ ইউ ?


যারেই ভালবাসতে চাই সেই নাকি বড় লোকের মেয়ে

আর আমি হলাম গেঁয়ে,

মেয়ে বলে কি না তার কদর

আই লাভ ইউ বলার পরে মেয়ে হয়ে যায় বাঁদর

টাকার গরম দেখায়! বুক দুঃখে হয়ে যায় কাঁতর।

তাই আর কোন মেয়ে কে বলবো না আই লাভ ইউ?


ভালবাসা নিয়ে নয়- ছয় করে ভাঙ্গে বুক!

কষ্ট রাখার জায়গা নেই, সবাই হয় বিমুখ!

তাই আর কাউ কে আই লাভ ইউ বলবো না

না! না! আর কখনো কোন মেয়ে কে বলবো না আই লাভ ইউ ?


১২.

তোমায় অভিবাদন প্রিয়তমা ভাল থেক

.

তোমায় সত্যিকার অর্থে ভালবাসি 

অবহেলা করলে তবে জেনে রেখ আমার মতো পাগল আর খুজে পাবে না এ ধরায়,

একদিন আফসোস করবে চোখের জলে নদী বয়ে যাবে নতুন কোন প্রেম নদীর আবির্ভাব হবে!

এ্যাত্ত অবহেলা করো আমায় উর্বশী

কিসের দোষে করো মোরে হেলা! কি নেই আমার মাঝে?


টাকা- পয়সা নেই তবে কিছুটা হলেও মূল্য আছে আমার এ্যাত্তটা অসহায় করলে আমায়,

মনটা আমার ফিরে দিও আমার মন নিয়ে ছিনিমিনি খেল না!

খোয়াবে এসে আলু- থালু নিত্য করো না।

সেই অধিকার কবেই কেড়ে নিয়েছ আমার কাছ থেকে

তবে কিসে আস্ আমার চোখের ভিতর উকি দাও,

নি্নের ব্যাঘাত ঘটাও বুকে প্রেমের বোম ফাটাও!  


তুমি আর এসো না আমার কাছে বুকে আর প্রেমের মৃদঙ্গ বাজাও না প্রিয়তমা,

মনটা ফিরিয়ে দিও,মনটাকে বুঝাবো যেমন করে হউক।

আমার যোগ্যতা নেই কি তোমার কাছে 

তবে কিসে শত মেয়ের আমার বউ হওয়ার ইচ্ছে জাগে,

ওহে তিলোত্তমা অঙ্গনা বেকারের নিগড়ে বেষ্টিত আমার হাত- পা

 তাই আমি নিজেই এড়িয়ে যাই বিবাহ থেকে দূরে থাকি,

শত কষ্ট সহ্য করে রাখি বক্ষ পিঞ্জরে।


তোমায় দেখে উতলা হয়েছিলাম সব ওয়াদা ভুন্ডুল করেছিলাম

শুধু তোমাকে পাবার আশে,

তোমার স্পর্শ পাবার আসে!

তোমায় ছুঁইতে পারলে হয়তো বেকারের নিগড় থেকে মুক্তি পেতাম।


ভালবাসার ঝান্ডা উড়াতাম নীল আকাশে!

সব আশা ম্লান করলে, 

এ্যাত্তটা ঘৃণা করবে তা আমার অবিদিত ছিল?


ওহে প্রিয়তমা তবুও তোমায় অভিবাদন জানাই 

কিছুটা হলেও এই পাগলের   কাছে তোমার মূল্যবান সময় ব্যয় করেছ!

আমায় নিয়ে ভেবেছ

নিষ্ঠুর রাত্রির সঙ্গে লড়াই করেছ

তবে আমায় পাবার আশে আর কাঁদবে না, চোখের নোনা জ্বলে মিঠা পানি নোনা করো না।


 বাঙলার সব প্রেমিক যে অসুস্থ হয়ে পড়বে 

বঙ্গপোসাগর সাগরের সারথী হয়েও না,

নতুন কোন প্রেম নদীর আর জন্ম দিও না প্রিয়তমা

বঙ্গ প্রেমিকদের দূর্বিষহ যন্ত্রণায় ফেলিও না

তোমায় অভিবাদন  প্রিয়তমা ভাল থেক সর্বদা...


১৪.

কচুরিপানা

..

আমার কুল কিনারা কিছু নেই

আমি যে কচুরিপানা

কখনো পদ্মার  জলে

কখনো যমুনার জলে

শুধু ভেসে ভেসে বেড়াই

কখনো পদ্মার টেউয়ের তরঙ্গে ভেঙ্গে যায়  বক্ষ?

আমি চিৎকার করতে পারি না

আমার শক্তি নেই সামর্থ্য নেই

আমি যে কচুরিপানা!

কখনো ঘূর্ণিপাকে চলে যাই নদীর অতলে

আবার কখনো ভেসে উঠি।

শামুকের চুমুকে সদ্য কচুরিপানা হয়ে উঠি

মৎস্য কন্যার সঙ্গে প্রেম করি চুনোপটি?

আমি কচুরিপানা

শুধু ভেসে ভেসে বেড়াই

আমার কোন গড়িমা নেই

জাত- পাতের বড়াই নেই

আমি যে কচুরিপানা

যে যেমন করে আমায় ব্যবহার করে করে

তবুও আমি কিছু বলি না

আমার যে শক্তি -সামর্থ্য কিছু নেই

আমি যে কচুরিপানা...


১৫.

হে মন কাঁদিস কিসে বল.

হে মন কাঁদিস কিসে বল

তুই তো অশরীরি দেখবে কে তোর জল!

হে মন তোর জলের নেই কোন দাম

মিসে কাঁদিস কেন অবিরাম?


হে মন ভুলে যা দুদিনের সব স্মৃতি

তুই তো  ভালবাসতে পারিস না

তবু কেন দেখাস ভালবাসার ভ্রান্ত নীতি।


হে মন তুই তো  পাপিষ্ঠ নর্দমার কীট

তোরে তো কেউ বোঝেনা

কিসে দেখাস মেকি জিৎ?


হে মন তোর তো অস্ত্র নেই গোলা- বারুদ নেই

নেই সৈন্য সামন্ত,

কিসে তুই লড়াই করতে চাস

তুই তো নস্ জীবন্ত।


হে মন ভুলে সব

চলে যা পরপাড়ে,

তোর কষ্ট বিধাতা ছাড়া

আর কেউ কি বুঝতে পারে ?


১৬.

পাগল.

.

পাগলের পিছে ছুট না তোমার কেশ নৃত্য করবে 

এলকেশি হয়ে পবনের ঠোঁটে চুম্বন করবে,

পাগলেরে গালে থাপ্পর দিও না তোমার নরম হাতের তালুতে ফুঁসকুড়ি পড়বে 

পাগলরে গালি দিও না মোহিনী তোমার গালে ঢোল পড়বে।


পাগলের কান্ড দেখো না হাসিতে হাসিতে তোমার দন্তের চিকনাই ম্লান হবে,

বেশি হেস না নাসিকা স্থবির হয়ে পড়বে 

এ্যালভিলাস শূন্য হয়ে পড়বে?

বেশি ক্ষণ পাগলে রে দেখ না তোমার দৃষ্টিতে ভালবাসার কেতন উড়বে,

পরে পাগল কে ছাড়া বাঁচবে না।


শুনছো মোহিনী মাজা দুলিয়ে হেঁট না

 মাজায় বিছে পড়িও না পাগলের দৃষ্টি পড়বে,

চুম ঝড় বইবে সব পাগলের মাঝে?

ক্লাহারময় বদনখানি পাগল রে দেখিও না  তুমি রক্ষা পাবে না?

পাগলের যক্ষা রোগ ধরবে তোমায় চোখের পাঁপড়ী উন্মীলন করো না,

চুম ঝড়ে বয়ে তোমার চোখের ভিতর 

বেশি উন্মাদ হয়েও না ভালবাসার আশে 

পাগল যে তোমার থেকে বড্ড উন্মাদ ঘৃর্ণার কার্তুজে জীবন যে তার নাশে?

পাগলেরে ডেক না আর পাগল যে আগের মতো নেই 

পাগল তো পাগল এক সময় প্রেমের পাগল ছিল,

আজ তুমি প্রেমের পাগল কিন্তু ও তো আর  প্রেমের  পাগল নেইও আজ সত্যিকারের পাগল?


পাগলে আর জ্বালিও না প্রেমের আলা দেখিও না

ওর আজ পথের টোকাই গুলো সঙ্গী,

সভ্য মানুষ নেই আর ওরে ভুলে যাও পাগল রে আর দেখ না

ও প্রেম বোঝেনা আবেগ - অনুভূতি নেই জীবন্ত লাশ

 ও ওর পিছে ছোট না মোহিনী তুমি পাগল রে ভুলে যাও, 

নতুন পাগলের জন্ম দাও 

সে হয়তো তোমার এই পাগলের মতো হবে...

১৭.

ভালবাসা আজকাল

.

আজকে শিলা

কালকে মিলা

পরশুতে ইলা

ভালবাসার ঘূর্ণিপাকে চলছে যৌনলীলা।


ভালবাসার কোন দাম নেই

জেল হাজতে বন্দি!

যৌন জ্বালা নিবারণ করতে

করছি নানান ফিকির-ফন্দি?


আজকে মহৎ

কালকে নিশাদ

পরশুতে সাব্বির!

ভালবাসা কে পৃষ্ঠ করে

মেয়ে সেজেছে প্রেমিক পীর।


ভালবাসার আজ করুণ দশা

টাল-মাটাল হয়ে ঘুরছে পথের বাঁকে,

আবার কখনো পড়ে থাকে

ঝোঁপ ঝাড়ের ফাঁকে।


ভালবাসি!ভালবাসি!

করে চিল্লাইতেছি

কেউ করি না ভালবাসার দেখ ভাল

এই যদি হয় ভালবাসা

ভালবাসা বেঁচে থাকবে কতকাল?

১৮.

ভারপ্রাপ্ত প্রেমিক

.

হে লীলাবতী রাজকন্যা

আমি আর তোমার ভারপ্রাপ্ত প্রেমিক

হয়ে থাকতে চাই না!

আমায় মুক্ত করে দাও তোমার ভালবাসার বন্ধন থেকে?

তুমি তো অন্য কারও হবে

মিছে আমায় ভারবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করে

রাখতে চাও কেন

কি আছে আমার?

কিসের লোভে আমার পিছে ছুটছ,

আমার তো যশ-খ্যাতি কিছুই নেই

নেই পকেট ভর্তি টাকা!

আমার তো বিলাসবহুল গাড়ি নেই

অট্টালিকা বাড়ি নেই?

কি খুজে পেয়েছ আমার মাঝে

আমি তো শ্রীহীন এক বেকার যুবক,

আজ হউক কাল হউক

আমায় ভুলে যেতে হবে।

আমি তোমায় কাপড়-চোপড়

গহনা-পাতি কিছুই দিতে পারব না

না দিতে পারব দু মুঠো ভাত।

হে লীলাবতী রাজকন্যা 

তুমি আমায় ভুলে যাও

ভালবাসার বন্ধন থেকে মুক্ত দাও?

আমি তোমার মঙ্গল চাই

তোমায় সুখি দেখতে চাই!

আমি তোমায় যুবজানি করতে পারব না

তুমি অন্যের কেউ?তুমি আমায় মুক্তি দাও

স্বস্তি দাও..

আমি আর হতে চাই না

তোমার ভারপ্রাপ্ত প্রেমিক...

১৯.

সর্বহারা

.

যৌবন লগ্ন পেরিয়ে গিয়েছিল

তখন বুঝিস নাই 

আমার ভালবাসার কদর,

ভ্রুকুটি করে বাঁজখাই গলায়

করেছিলি আমায় ভালবাসার আদর।

তোর কাছে আজ কোন

কৈফিয়ত চাব না,

করব না রোনাজারি

আমার অমোঘ ভালবাসা কে তুই

গঙ্গার জলে দিয়েছিস ছুড়ি!তুই পাপিষ্ঠ-অধম

নর্দমার কীট,

সতরঞ্চ খেলা খেলে কি হল তোর জিৎ?


শ্রোণিতাক্ত কলেবর

তাপাংশ মন নিয়ে কোথা

দাঁড়াবি আজ,

ও মোর স্বয়ংবরা কন্যা

যৌবনে আর তোর তেজ নাই

সবাই করে তোরে ঘৃণা?বিগলিত চীর অঙ্গে

নেই আজ তোর বসন্তের আগুন,

ভালবাসার ছাড়পোকা

কেড়ে নিয়েছে তোর গুণ।


অকালকুষ্মা ললনা

আর ফিরবে না তোর 

যৌবনের কলি,

ভালবাসা নামক অঙ্গটা 

কে তুই দিয়েছিস জলাঞ্জলি।

তোর জন্য জীবনযুদ্ধে

হয়ে গেছি পর্যুদস্ত,

মিথ্যা ভালবাসার আস্ফালন দেখিয়ে

আর করিস না মোরে হেনস্ত

তুই চলে যা চলে যা,

আমার দৃষ্টির অগোচরে

তোরে হেরিলে মন-টা আমার

ডুকরিয়া ডুকরিয়া মরে!

তুই চলে যা চলে যা,

হে স্বয়ংবরা কন্যা

ভালবাসার অর্ঘ্য বিচরণ করে!

আমাকে পাওয়ার জন্য

আর দিস না ধন্যা...

২০.

স্বপ্নের প্রেম

.

স্বপ্নে এলে স্বপ্নে গেলে

আমায় তুমি ফেলে,

তোমার আশায়

আজও আছি দু-চো দুটো মেলে।


ভালবাসার স্বপ্ন খেলা

খেল তুমি খেল,

তোমার জন্য ঘুমটা আমার 

হাওয়ায় উড়ে গেল।


ঘুমের ঘরে দেখি তুমি 

আছ আমার পাশে,

তোমায় নিয়ে উড়ে গেছি

স্বপ্নের আকাশে।


ভালবাসার মধুর কথা

বলতে যখন কানে,

চেয়ে দেখি তুমি তখন

নেই কোন খানে!


একি! তোমার প্রেমের খেলা

একি! জড়াজড়ি,

তোমায় একটু না দেখলে

যৌবন জ্বালায় মরি...


২১.

ঘুম পরী

.

ঘুম আসে না চোখের পাতায়

থাকি রাত জেগে,

ঘুম পরী চলে গেছে আমার উপর রেগে।

ঘুম আসে না! ঘুম আসে না!

ঘুম পরীর নেই খোজ,

আগের মত আর আসে না

রোজ-রোজ।


ঘুম পরীকে বার্তা পাঠাই

পাই না কোন সাড়া,

ঘুম পরী আমায় পাগল করেছে

করেছে সর্বহারা।


ঘুম পরী ঘুম পরী আয় তুই ফিরে

তোর জন্য যে এ মন জ্বলে পুড়ে মরে,

ঘুম পরী ঘুম পরী করিস না তুই পর

তোরে নিয়ে গড়ব আমি

ভালবাসার ঘর?


২২

ঘাস ফুল

.

হে ঘাস ফুল তোমায় ভালবাসতে চাই

তোমার কাছে আসতে চাই!

হে ঘাস ফুল এভাবে শিশিরের ছোয়ায়

তোমার যৌবন কে ম্লান করো না

শিশিরের ছোঁয়া কি তোমায় যাতনা দেয়

তা কি তুমি জানো?


তোমার পাঁপড়ি কুকড়ে যায় নিজেকে বিকশিত করতে পারো না

আমি সবিতা আমার কাছে আসো,

আমার উক্তাপে তোমার পাঁপড়ি বিকশিত হবে

তোমার ফুল ফুটবে আহা! কি সুন্দর হবে তুমি?

তোমার শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে পড়বে

হে ঘাসফুল শিশিরের প্রেমে কি পেয়েছো তুমি

শুধু তোমার ক্ষতি করেছো!


ফুল গুলো কে রোগা করেছ তোমার সৌন্দর্য তুমি নিজেই হরণ করেছে

এভাবে শিশিরের ছোঁয়ায় কতদিন থাকবে

নিজেকে আর কত কষ্ট দিবে,

শিশিরের ছোঁয়া নিজের বাকি জীবনটা শেষ করো না

তুমি চলে এসো সবিতার কাছে

নিজেকে রাঙিয়ে দাও ভালবাসা ছড়িয়ে দাও ?

২৩.

মেঘের পালক

.

হে তিলোত্তমা  হে বিদূষী বনিতা

তুমি কি চড়বে 

মেঘের পালকে

তোমায় নিয়ে যাব দূলোকে।


মেঘের পালকে চড়ে

দেখাবো তোমায় মেঘপুরী,

মেঘ- নীলিমা কেমনে প্রেম নিয়ে খেল

লুকোচুরি।


হে তিলোত্তমা, হে বিদূষী  বনিতা

তুমি কি দেখবে

নীলিমার বুকে মেঘ কেমনে ভেসে রয়,

তুমি কি দেখবে নীলিমা- মেঘ

কেমনে করে প্রেম বিনিময়।


তুমি কি দেখবে 

নীলিমা- মেঘের অভিমান,

কখনো তপ্ত সবিতা দন্ডমুন্ডের মতো

তাদের ভালবাসায় দেয় শান।


হে তিলোত্তমা হে  বিদূষী বনিতা

হাত বাড়িয়ে দিয়েছি জলদি এসো

করো না আর ছল

তোমার জন্য মেঘ পালক শশকের মতো হয়েছে চঞ্চল।

২৪.

পরী

.

কে তুমি, কি তোমার পরিচয়, কোন গগনে থাক

কোথা থেকে আবির্ভাব হলে হে পরী?

স্বর্গে থেকে বুঝি,

কে পাঠালো তোমায় এ ভূলোকে

প্রেম দেবতা মদন না স্বয়ং বিধাতা?

এই যে পরী শুনছো আনমনা হয়ে থেক না

পদ্মালোচন আঁখি থেকে অশ্রু ফেল না?


কেশ গুলো ছড়িয়ে রেখেছো কিসে

মাজা ছড়িয়ে পড়েছে যে,

কেশ যে মৃত্তিকা ছুঁই - ছুঁই

মৃত্তিকা যে পাগল হয়ে যাচ্ছে তোমার কেশের সুবাসে

এদিকে এসো হে পরী!


তোমার কেশ গুলো কে বিনুনি করে দেই বেণীগাঁথনে

গোলাপে রাঙিয়ে দেই

আহ্! কি হলো পরী নিশ্চুপ কিসে!

বিধুমুখী গালে জলের ছাঁপ ফেল না?


আসতে এসো, পুষ্প কোমল চরণ দুটো কে

রক্তে রঞ্জিত করো না, দেখছ না কাঁটা দিয়ে আচ্ছাদিত মৃত্তিকা

তোমার কেশ ছুইতে দাও নি তাই এই বিদ্রোহ?


হে পরী শুনছো! হেস্ না পরী তোমার দন্তের চিকনাইয়ে সবিতা ঝলসে যাবে,

পাগল ভাবছো আমায় ,ও তোমার তো ঐশ্বরিক শক্তি আছে

কি বলছো পরী এ্যাত্ত সুরে কথা বলছো কিসে

সকল মানুষের মনুষ্যত্ব লোপ পাবে পাগল হবে তোমার জন্য?


হে পরী নৃত্য করছো কিসে, পাগলী হয়েছো

ভূলোক কম্পিত হচ্ছে দেখছো না!

ঘুঙুরের ধ্বনিতে চারপাশের বিঙ্গের দল কেমন কিচির- মিচির করছে

সবাই কে কি পাগল করবে হে পরী?


কিসের জন্য আসলে এ ভূলোকে তোমার স্বর্গে তো সব আছে

হিরণ- মানিক্য, মণি- মুক্তা সব! তবে কিসে আসলে এ ভূলোকে তোমার প্রেমপতির জন্য!

পরী কিছু বলবে, নাকি পেয়েছো তোমার প্রেমপতি?

২৫.


প্রিয়সী চাই

.

আমি ভালো নেই তবুও ভালো থাকার অভিনয় করি

সেকেন্ড,মিনিট,ঘন্টা,প্রহর মনের সঙ্গে যুদ্ধ করি

মন বারংবার বিদ্রোহ করে কিন্তু মনের সঙ্গে পারি না

আমার অস্ত্র নেই গোলা- বারুদ নেই।


সৈন্য- সামন্ত নেই, নেই কিছুই নেই

মনের বিদ্রোহ দমন করব কিসে?

মন তো বলীয়ান ও যা ইচ্ছে তাই করে

আমি কিছুই করতে পারি না।


শুধু বিদ্রোহ দমন করার প্রয়াসে কর্কশ ভাষায় গাল- মন্দ করি

কিন্তু,ও আরোও বিগ্রে যায়!

কখনো মস্তিষ্কে কখনো বুকে আঘাত করে

চিৎকার করে উঠি পাগলের মতো কেঁদে কেঁদে

চোখ রক্তবর্ণ করে তুলি?


মনের কাছে শতবার আজলা পেতে অনুকম্পা চেয়েছিলাম

বিদ্রোহ করিস নে! 

কিন্তু,মন কিছুই শুনছে না দিনমান মস্তিষ্কে,বুকে বিদ্রোহী কার্তুজ চালিয়ে যাচ্ছে,

মনের একটি দাবি প্রিয়সী চাই?


কিন্তু, প্রিয়সী পাব কই ও যে নেই

পরবাসী হয়ে গেছে

তাই মনের শর্ত মানতে পারছি না

তাই আজ আমার করুণ দশা?.

আর বুঝি বেশিদিন পারব না মনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে

ক্লেষ্টতায় নুয়ে পড়ছি কবে যে না ফেরার দেশে চলে যাই

মনের একটাই দাবি প্রিয়সী চাই।

২৬.


অচল প্রেমের পদ্য

.

মনের শত আকিঞ্চন ছিল সব লোপ পেয়েছে

আমার আক্কেল সেলামির দরুণ!

এ্যাত্তাটাই অসহায় পড়েছি মানসিক ভাবে যা অর্বচনীয়

প্রতিরাত্রে মনের অর্গল খুলে  নীল পরী মন গৃহে প্রবেশ করে।


আবার প্রত্যুষে পলায়ন করে আপন নীড়ে ফিরে যায়

হয়তো সে পরীর রাজ্য থেকে আসে!

প্রতি রাত্রিতে আঙ্গিনায় পদব্রজ করে

বাতায়ন খুলে তার বদনখানি দেখতে পাই।


রুপের ঝংকারে চারপাশ ঝলসে উঠে

হেলাল তার ক্লহারময় শ্রী দেখে চুপসে যায়

তারকারাজি মিটমিট করে

নীলিমার বুকে মৃদঙ্গ বাজায়?


মাঝে মাঝে মনে হয় অশরীরী আবার মাঝে মাঝে মনে হয়

জীবন্ত কোন তিলোত্তমা অঙ্গনা,

ঘুমের ঘরে তার সাঙ্গ পাই স্পর্শ করি

চক্ষু উন্মীলন করলে বনিতাকে হারিয়ে ফেলি

পর্যঙ্কে খুজেই পাই না।


এটি যেন প্রতি রাত্রির গল্প কথা

প্রতি রাত্রি এমন করে কাটাই অশরীরী নিত্য আমায় দহন করে

মনের শত আকিঞ্চন গ্রাস করে,

শতবার বললাম হে অশরীরী কেন আস্

আর কেনই বা চলে যাও।

আমার কাছে থেকে যেতে তো পার!

অশরীরী কোন জবাব দেয় না শুধু খিল খিল হাসে?.

২৭.


মোহিনী

.

তোমার মনে কি এখনো ভালোবাসা আবির্ভাব হয়নি

হে মোহিনী!

আর কত কাল তোমার দ্বারে কড়া নাড়ব

আর কতবার বলবো তোমায় ভালবাসি?

শুভ্র সফেনে মুখ ভর্তি

আর কতবার বলবো তোমার জন্য মরতে পারি।


হে মোহিনী তুমি কি জান

আমার মনে কিসের ঝড় বয়ে চলছে,

ভালবাসার ঝড়ে বক্ষ মাজার বিধ্বস্ত

হৃদপিন্ডের কাঁপুনিতে জীবন যে হচ্ছে মোর ক্ষয়?


হে মোহিনী আর অবহেলা করো না

তোমার ভালবাসা চাই

তোমার স্পর্শ চাই!

আমার মনের ঝড় কে শান্ত করো

আমায় তোমায় তোমার মোহ্ডোরে যায়গা দাও

স্থান দাও

আজীবন তোমায় যুবজানি করে রাখবো?


হে মোহিনী তোমার পাগল প্রেমিক কে আর কষ্ট দিও না

একটু ভালবাসা দাও

পাগল কে শান্ত করো।

২৮.


মায়াদেবী.

এলোকেশ ছড়িয়ে মায়াদেবীবসে ছিল মধুমতী নদীর তীরে

হস্তে কঙ্কণ ছিল না আলতার অঙ্কণ ছিল না

শুধু হরিদ্রা রঙ্গের একটি ফুল ছিল।


এলো কেশ গুলো দুলছিল নাসিকা ভালবাসার সুঘ্রাণে ফুঁসে ছিল,

অক্ষির তারকা মিটমিট করে জ্বলে ছিল

দন্তের চিকনাইয়ে সবিতা মেঘ রাজ্যে পলায়ন করেছিল

আরক্তিম ওষ্ঠ কি যেন কি বলছিল?.

আমি কিছু শুনিনি মায়াদেবীর বচন কর্ণকুহরে পৌছায় নি!

তার কন্ঠহার ছিল নামাথার টিকলি ছিল না,পায়ের মল ছিল নামাজার বিছে ছিল না।


তবুও অপরুপ কি যেন ছিলতার কহ্লারময় বদনখানিতে!

তার এমন হেমাঙ্গ দেখে আমি বুঝতে পারছিলাম না 

কি করব,কাছে যাব না দূরেই থাকব!

হঠাৎ মায়াদেবীর কলহাস্য দেখে করোটি কবোষ্ণ হয়ে উঠল 

কি করব ভেবে পাচ্ছি না?.

কস্মিনকালেও এমন তিলোত্তমা অঙ্গনা কে দেখিনিযা কহতব্য নয়,

আমার কান্ড জ্ঞান লোপ পেয়ে ছিল যাব কি মায়াদেবীর কাছে

বারংবার নিজের মন কে প্রশ্ন করেছিলাম 

কায়া হায়া হারানোর ভয়ে ক্লেশে নুয়ে পড়ছিল।


হঠাৎ দেখি আমার মায়াদেবী নেই 

কার যেন হস্ত ধরে পদব্রজ করছে

আর খিল খিল হাসছে হস্তের হরিদ্রা রঙ এর ফুলটি নেই 

আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে অপাঙ্গ দৃষ্টিতে তাদের অবলোকন করতে লাগলাম?.

বুকে কে যেন হাপর - কার্তুজ চালিয়েছিল 

নিজেকে কব্জা করতে পারলাম না

ক্রোধানলে চিৎকার করে উঠলাম কেউ নেই পাশে

পর্যঙ্কে একা শুয়ে আছিআর চোখের জল অনর্গল প্রবাহিত হচ্ছে...

২৯

এসো কলঙ্কের সোপ মাখি 

.

এসো সখী কলঙ্কের সোপ মাখি

ভালবাসার শুভ্র সফেনে

কিছু স্মৃতি তোমার - আমার অঙ্গে আঁকি।


এসো কলঙ্ক সোপের

সুঘ্রাণে মাতোয়ারা হয় দুজন,

হে সখী মাখবে কি তোমার অঙ্গে কলঙ্কের সোপ

অচলায়তন সমাজ কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাবো

সবাই হবে  নিরব?


এসো সখী এসো, কলঙ্ক সোপ মাখিয়ে দেই

ভালবাসার চিহ্ন তোমার বক্ষে একে দেই!

কলঙ্ক সোপের ঝান্ডা উড়াবো

অচলায়তন সমাজের মানুষের মন পুড়াবো।


এসো সখি এসো 

বয়স- ভেদ ভুলে কলঙ্কের সোপ মাখি,

নতুন করে প্রেম ইতিহাসে

কিছু জায়গা নিয়ে থাকি?

৩০.

খোয়াব নামা

.

ঘুম আসে না পরী তোমার চাঁদনী মুখ খানা দেখার পর থেকে

কেমন জানি হয়ে গেছে মনটা,

তোমার জন্য এ্যাত্ত উতালা হয়েছে এ মন যা কহতব্য নয়

নিঃশ্বাস নিতে নিতে নাসিকা ঘ্রাণ শক্তি হারিয়ে ফেলেছে এ্যালভিওলাস

শূন্য হয়ে গেছে।


শুধু যেন তোমার ভালবাসার ঘ্রাণ পাই

তোমার মিষ্টি ঠোঁটের চুম পাই

যেদিকে তাকাই তোমার ফুলকি গালের টোল দেখতে পাই,

কেশ গুলো যেন টানছে, তোমার কাছে যাওয়ার আহ্বান করছে

রাত্রি নিঝুম! কষ্ট গুলো বেজায় সারা অঙ্গে দিচ্ছে চুম?


ঘুম আসে না দেখি তোমার হস্তের কাঁকন নিত্য করছে

রিনিক- ঝিনিক তান তুলেছে!

তোমার কাঁকনের যাতনা কর্ণকুহরে ভালবাসার মৃদঙ্গ বাজায়

আমি চমকে উঠি।


তুমি খিল খিল হাসো তোমার মুখের লালাগুলো গল গলিয়ে পড়ে

আমি চেটে-পুটে খাই এ্যাত্ত মিষ্টি ঘুম রাজ্যে খুজেই পাই না,

কখনো নরম হাত দিয়ে গাল বুলিয়ে দাও

অন্তরে ভালবাসার তাল তুলে দাও

কখনো শাড়ীর আচলে ভালবাসার ঘাম মুছে দাও শরীরে চুম্বন করো?


তোমার আলতা রাঙানো পা

নুপূরের ছোঁয়া খুজি,

নরম পায়ের তালুতে পৃষ্ট হতে চাই

কিন্তু তোমায় খুজে পাই না

তুমি যে অশরীরি তোমার তো দেখাই পাই না বাস্তবে?


শুধু ভালবাসার খান্ডবদাহনে জলে- পুড়ে 

ছাই হয়ে যাই হে পরী,

তোমায় ধরতে পারি না

তুমি যে আমার থেকে বড্ড বেহায়া?

৩১.

হূদয় থেকে বলছি

.

আমি ভীরু নই কাপুরুষ নই 

কাল সর্প নই!

আমি তোমার প্রেম বাগিচার মৌমাছি

তোমাকে ভালবেসে যদি কালান্তের মত 

কলঙ্করেখা বইতে হয়

তবুও আমি রাজি।

আমি শুধু তোমাকে চাই

আমি শুধু তোমাকে ভালবাসতে চাই

আমি শুধু তোমার স্পর্শ পেতে চাই

আমি শুধু তোমার বাঁকা চাঁদনী মুখ খানা

দেখিতে চাই?


তোমাকে দেখা তন্মাত্র আবার বক্ষে

ভালবাসার স্ফুলিঙ্গ প্রজ্বলিত হয়, 

তুমি চাইবে না যে আমার জীবন

মহা তমসাচ্ছন্ন নেমে আসুক।

হে মনোহারিণী কন্যা

তোমার হাতে আমার জীবন 

অর্পণ করে দিয়েছি!

কখনো মুখভ্রষ্ট হয়ে বলিও না যে

আমি তোমায় ঘৃণা করি।


তুমি আমায় তোমার মোহডোরে

জাগয়া দিও,স্থান দিও

হতাস করিও না

তোমাকে আজীবন যুবজানি করে রাখব।


হররোজ তোমার দর্শন লাভের আশে কলেজের বারান্দায় চেয়ে থাকি,

পাষাণস্তূপ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকি

কিছুই বলতে পারি না।

শত বার বীর দর্পে তোমার সম্মুখে

আসতে চেয়েছিলাম 

কিন্তু পারি নাই!

কারণ,এখনো নির্লজ্জর খাতায় নাম

লিখতে পারি নাই?

৩১


যৌবন সূর্য

.

যৌবন সূর্য মানুষের জীবনে

কিসে উদয় হয়,

যৌবন সূর্যের কিরণে 

মানুষের লজ্জা-শরম হয় ক্ষয়।


যৌবন সূর্য বড়ই পাজি

অশান্ত করে অঙ্গ,

নিয়ম নীতে কিছুই মানে না

যার তার সাথে দিতে চায় সঙ্গ।


যৌবন সূর্য অস্ত যাবে

পঞ্চাশ হলে পার,

এর আগে যৌবন সূর্য

মানবে না হার?


যৌবন সূর্য পণ করেছে

করবে মানুষ কে সুখি,

তাই যৌবন সূর্যের খারাপ স্বভাব

হয়েছে পঞ্চমুখী?

৩২.

অনন্ত যৌবনা

.

হে অনন্ত যৌবনা

তুই তোর যৌবন নিয়ে থাক,

আমি আর

অলি হয়ে তোর মধু খাওয়ার আশে গুনগুন করছি না।


পাঁপড়ি জড়িয়ে যদি আ-জীবন থাকতে পারিস থাক

তোর মধু খাওয়ার আশে অনেক অলি গুনগুন করছে

আজাদ অলি,মামুন অলি,ওবায়ইদুল অলি

আরো নাম না জানা অনেক!


কিন্তু...সব অলি এক রকম না...

কারোও হুল বড় আবার কারোও ছোট

আবার কেউ স্বাস্থ্যবান।


হে অনন্ত যৌবনা

কোন অলি যদি আসে দ্বার উন্মোচন করিস মধু খেতে দেস,

পাঁপড়ি দিয়ে জড়িয়ে রাখিস না

নিজেকে লোভনীয় রাখতে

অলিদের কষ্ট দেস না

যারে ভাল লাগে তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়িস।

৩৩.

নির্ঘুম রাতের ভালবাসার উপাখ্যান

তোমাকে দেখার তৃষ্ণা মিটে না

তোমায় যতই দেখি ততই তৃষ্ণা বেড়ে যায়!

তুমি কি আমার তৃষ্ণা মিটাবে

হে প্রিয়!)

চঞ্চল মনটাকে কি শান্তি দেবে।


তুমি আমার চক্ষুর ঘুম কেড়ে নিয়েছ

প্রতি রজনী এপাশ-ওপাশ করে কাটাই!

চক্ষু নিমীলিত করতেই তোমার ফুলকি হাসি

ভেসে ওঠে,তোমার আরক্তিম ওষ্ঠ

চুম্বন করতে আওভান জানায়।


আমি কাঁচুমাচু করে নিঃতেজ হয়ে

শুয়ে থাকার ভান করি,

তোমার কাজ্জল রাঙ্গানো চক্ষু

বারংবার কামনার দৃষ্টিতে অবলোকন করে

কটুকাটব্য বলতে তোমার কন্ঠনালী প্রস্তুত হয় ।


কিন্তু, ভালবাসার মূর্ছনায় তোমার মন বলতে ইতস্ততঃ করে

ইত্যবসরে আমি আবার ঘুমপরী কোলে শুইতে মনস্থির করি!

কিন্তু,ঘুম হয় না

তোমার হাতের কঙ্কণ ভালবাসার বীণা বাজায়?


আমি আবার জেগে ওঠি

তোমার কন্ঠহারের চিকনায়ে চক্ষু ঝলসে উঠে।

মনে আবার ভালবাসা কর্ষণ করে,

আঁজলা পেতে তোমার কাছে অনুকম্পা চেয়েছিলাম কিন্তু তুমি দাও নি!

শারীরিক কৃচ্ছ্রতায় নুয়ে পড়ি।


চক্ষু নিমীলিত করতেই কহ্লারময় তোমার গালের টোলের স্মৃতি মনে পড়ে,

আমি তখন খিল খিল করে হাসি

মনে প্রেম কেতন পতপত করে ওঠে?

ভালবাসার বেগ বেড়ে যায়

হাসতে হাসতে চোখ বিবর্ণ হয়ে আসে।


আবার ,শুইতে বালিশে মাথা রাখি...

তোমার চূর্ণ কুন্তল ললাট ছুয়ে দিচ্ছে

ভেবিছে মার্জনা

করেছ কিন্তু না! না!

শরীরে শিহরণ জাগালো

তোমার মাজা নৃত্য দেখালো?


হঠাৎ তোমার কলকন্ঠ স্বর 

একাদিক্রমে কর্ণে আঘাত করতে লাগল

এই ছেলে ঘুম আস না আমায় ভালবাসা দাও!

কে কে বলে চেচিয়ে উঠলাম।

কিন্তু,কোথাও কেউ নেই

পশ্চিম গগন থেকে ফজরের আযান ভেসে আসতে লাগল...

৩৪.


ভালোবাসার ঝড়

.

হে প্রিয়সী তুমি কি জান

আমার মনে কিসের ঝড় বয়!

তোমার অঙ্গসৌষ্ঠব

মনে ভালবাসা উদ্বেল করে তুলছে?


আমি ভুল করেছি অনিমেষ দৃষ্টিতে তোর

পানে চেয়ে,

চোখ নিমীলিত করতে পারছি না

ঘুমাতে পারছি না।


মনে ভালবাসার তীব্র ঝড় বইছে

হূদপিন্ড বারংবার কম্পিত হচ্ছে

যকৃতে রক্তের টেউ আছড়ে পড়ছে

হাত-পা অসাড় হয়ে যাচ্ছে।


নাসিকা মৃত্যুর ঘ্রাণে অস্থির হয়ে উঠছে

মস্তিষ্কে উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়ছে,

দেহ লুটিয়ে পড়ছে

মনে ভালবাসার তীব্র ঝড় বইছে।

৩৫.


কষ্ট আমার পত্নী

.

কষ্টের সঙ্গে নিত্য রাত্রি কাটাই

কষ্ট আমার পত্নী!

কষ্টের সঙ্গে প্রতি রাত্রি সহবাস করি

কষ্ট আমায় সর্বাঙ্গ ছুঁয়ে দেয়।


আদর করে! ভালবাসে!

কষ্টে কে তালাক দিতে মনস্থির করেছিলাম,

কিন্তু এখনো পারিনি কষ্টের ভালবাসার কাছে হেরে গেছি

তাই কষ্টের সঙ্গে নিত্য রাত্রি কাটাই।


কষ্ট আমার আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকে

যখন যৌবন স্ফুলিঙ্গ জ্বলে উঠে

তখন কষ্ট আমায় নিবৃত্তি দেয়

কষ্ট সমস্ত ভালবাসা আমার সর্বাঙ্গে লেপন করে?


৩৬.

লাল ঠোঁট

.

তোমার লাল ঠোঁট জ্বালাচ্ছে দারুণ

লাল ঠোঁটের ছোঁয়ায় নিবারণ করবে কি আমার শরীরের আগুন!

তোমার লাল ঠোঁট ডাকছে

তোমার কাছে যাওয়ার আহ্বান করছে?


যাব কি পরী তোমার কাছে

দিবে কি লাল ঠোঁটের উষ্ণ চুম,

কষ্ট পাচ্ছি বড্ড

তোমার ঠোঁটের উষ্ণ ছোঁয়ায়

ফুটাতে চাই এ মনে ভালবাসার পদ্ম।


তোমার লাল ঠোঁট ভয়াবহ

শরীরের সৃষ্টি করেছে তাপদাহ,

হে পরী তোমার লাল ঠোঁট ভীষণ দিচ্ছে যাতনা

তোমার লাল ঠোঁট ছুঁইতে চাই একটু ভালবাস না?

৩৭.

নিষিদ্ধ চুমু

.

নিষিদ্ধ চুমু দিবো তোমার ঠোঁটে

চুমুর চুম্বক লাগাবো,

তোমায় বারংবার রাগাবো

আন্দোলিত করবে তোমার তনু- মন।


একটি নিষিদ্ধ চুমু দিতে চাই হে প্রিয়সী

ভালবাসার রঙ্গ আছে সেই চুমুতে,

একটি নিষিদ্ধ চুমুর পরশে

দিনমান চাইবে মম কোলে ঘুমাতে।


দিব কি তোমার ঠোঁটে নিষিদ্ধ একটি চুমু

নিষিদ্ধ চুমুর স্বাদ নিতে দাও

তোমার নাসিকা কে,

বুঝতে দাও একটি নিষিদ্ধ চুমুর স্বাদ কত


হে প্রিয়সী নিষিদ্ধ একটি চুমুতে তুমি মাতোয়ারা হবে

ভালবাসার নীল ঘুড়ি উড়াবে নীলিমার বুকে,

দিবো কি একটি নিষিদ্ধ চুমু

তুমি কি রাজি নিষিদ্ধ চুমুর পরশ পেতে?

৩৮.

চুমু দিতে চাই

.

যে চুমুতে মনে ভালবাসা জন্মে

মনের কালিমা লোপ পায়

মনের সরোবরে প্রেম পদ্ম ফোঁটে,

সেই রকম একটি পাওয়ারফুল

একটি চুমু দিতে চাই।


যে চুমুতে তুমি দিনমান আমায়

স্মরণ করবে,

ঠিক সেই রকম একটি চুমু দিতে চাই

তোমার রক্তিম ঠোঁটে।


যে চুমুতে তুমি তোমার

আত্মার কাছে হেরে যাবে ঠিক

সেই রকম একটি চুমু দিতে চাই।


যে চুমুতে তোমার মস্তিষ্কে

ভালবাসা ঝড় বইবে

ঠিক এমন একটি চুমু দিতে চাই,

যে চুমুতে তোমার ভালবাসার আয়ু বাড়বে

ঠিক সেই রকম একটি চুমু দিতে চাই।


যে চুমুতে তোমার- আমার

মিলন হবে,

ঠিক সেই রকম একটি

রোমান্টিক চুমু দিতে চাই?

৩৯.

যৌবনের কবিতা

.

যৌবন কাল মানুষের সেরা কাল

যখন যৌবন উঁকি দিবে

তখন থেকে যৌবনের করো দেখভাল।

এ যৌবন থাকবে না চিরদিন

ষোল থেকে ছয়চল্লিশ

মূলত এই সময়টা যৌবনের সুদিন।



ছয়চল্লিশ যবে হবে পার

ঠিক তখন থেকে

যৌবন কালে নামতে থাকবে আঁধার।

যৌবনে আসে সকল শান্তি

যৌবন কাল পার হলেই

নামবে দেহ-মনে ক্লান্তি।


যৌবনে আসে সকল জয়

যা পারো যৌবনে করো

যৌবন দিয়েছে যে অভয়।

যৌবন কাল কে করো না অবহেলা

যৌবন কাল পার হলে পারবে না প্রেমখেলা,

যৌবন কালে ঠিক রেখ যৌনতাল

যৌবন কালে পারবে ভুঞ্জিত সব জঞ্জাল...


৪০.

উষ্ণ বালিকার কায়া

.

উষ্ণ বালিকার কায়া

কেড়ে নিচ্ছে হায়া

ফেলছে মনে ছায়া

বাড়ছে আমার মায়া।


উষ্ণ বালিকা

দেখলেই লাগে ভয়,

কখন জানি কি হয়

উষ্ণ বালিকা যে যৌবনময়!


উষ্ণ বালিকা থেকে

থাকতে চাই দূরে,

উষ্ণ বালিকার ফাঁদে পড়লে

যাবো যে লজ্জায় মরে।


উষ্ণ বালিকার

বড্ড বেশি ধক্,

উষ্ণ বালিকা বারংবার দেখলে

লাগবে প্রেমের শক.....


৪১.

নারীর বুকের দুই কমল পাহাড়

.

নারীর বুকের দুই কমল পাহাড়

ভালবাসার আহার,

এই দুই কমল পাহাড়ে

যে লাগাবে না ঠোঁট

সে কখনো নারীর ভালবাসায় শান্তি পাবে না

পাবে না শান্তির কোন ভোট।


নারীর বুকের দুই কমল পাহাড়

দেয় পুরুষ কে সকল ভালবাসা,

এই দুই পাহাড়ে

ভালবাসার সকল শান্তি ঠাঁসা।


নারীর বুকের দুই কমল পাহাড়

যে পুরুষ দেখবে না ছুঁয়ে,

সে পুরুষ নারীর থেকে

কখনো ভালবাসা পাবে না

তার ভালবাসা যাবে সব ক্ষুয়ে....


৪২.

হাওয়া তোমার কাছে কিচ্ছু চাই না

.

হাওয়া তোমার কাছে কোন কিছু চাই না

শুধু একটু ভালবাসার অক্সিজেন চাই,

যে অক্সিজেন পেলে আমি সতেজ থাকবো

ঠিক ততটুকু অক্সিজেন চাই।


হাওয়া তোমার কাছে কোন কিচ্ছু চাই না

শুধু তোমার গালে চুমুর চুম্বক লাগাতে চাই।

যে চুমুতে আমি তোমার

বক্ষ মাজারে পাবো ঠাঁই।


হাওয়া তোমার কাছে কিচ্ছু চাই না

শুধু তোমার কেশদাম বিনুনি করে দিতে চাই।

তোমার চুলের গন্ধে একটু

মাতোয়ারা হতে চাই।



হাওয়া তোমার কাছে কিচ্ছু চাই না

শুধু তোমার উত্তাল যৌবন সমুদ্রে

একটু সাঁতার কাটতে চাই।

আমার দেহাঙ্গে তোমার যৌবনের শাসন চাই।


হাওয়া তোমার কাছে কিচ্ছু চাই না

শুধু তোমাতে মিশে যেতে চাই,

তোমাতে মিশে আমার ভালবাসা

করতে চাই ছাই।

তুমি ছাড়া আমার ভালবাসার ব্যামোর মৃত্যু নাই।


৪৩.

হে নারী তোমার দেহ মানচিত্র

.

হে নারী তোমার দেহ মানচিত্র

করতে চাই পরিষ্কার,

ভালবাসার চুমুতে

তোমার দেহ মানচিত্রে

সুখের ছোঁয়া করতে চাই আবিষ্কার।


হে নারী তোমার দেহ মানচিত্র

আমার ভালবাসার পবিত্র দেশ,

তোমার দেহ মানচিত্র

আমার পবিত্র চুমুতে

করতে চাই সতেজ।


হে নারী তোমার দেহ মানচিত্রে যেন

শত কোটি চুমু দিতে পারি,

তোমার দেহ মানচিত্রে

চুমুরত অবস্থায় যেন ভূলোক ছাড়ি..


৪৪.

নারী ভালবাসার স্বর্গ

.

হে তিলোত্তমা কন্যা তোমার

শরীরের গিরি -খাঁদ

পাহাড় - পর্বত, সফেদ সমুদ্রে

আমার ভালবাসা লুকিয়ে আছে।

তোমার নরম চর্ম মৃত্তিকায়

আমার ভালবাসা গড়াগড়ি করে।


তোমার কচুরিপানার শিকড় কেশে

আমার ভালবাসা বেড়ে উঠে।

তোমার পাদপদ্ম চরণে

আমার ভালবাসা দলিত হয়।


তোমার মাজার বিদ্যুতে

আমার ভালবাসা চালিত হয়।

তোমার সজীব নিঃশ্বাসে

আমার ভালবাসার হৃদপিন্ড প্রসারিত হয়।


তোমার কানের দুলে

আমার ভালবাসা নৃত্য করে।

তোমার মিষ্টিকন্ঠ

আমার ভালবাসার উৎকন্ঠা জাগায়।


তোমার হস্তের কঙ্কণ

আমার ভালবাসার মনে

তান তোলে,

তোমার নাভীর দৃষ্টিতে আমার ভালবাসা

পরিপক্ব প্রেমিক।

তোমার নাভী বারংবার আহ্বান জানায়

জঠরের গৃহে বসবাস করতে...

৪৫.

যৌবনের ফুলকি

.

হে তিলোত্তমা অঙ্গনা হে যৌবনের ফুলকি

আমায় একটু পুড়তে দাও তোমার যৌবনের ফুলকিতে,

আমি তোমার যৌবন ফুলকিতে পুড়তে চাই

নিজেকে শেষ করতে চাই তোমার যৌবনের ফুলকিতে।


বচসা করো না হে তিলোত্তমা

প্রেমের বজ্রনাদে আমায় মের্ না,

আমায় তোমার যৌবন ফুলকিতে পুড়িয়ে মারো

হে তিলোত্তমা অঙ্গনা।


আমি কোন রোনাজারি করবো না

আমি কোন প্রতিবাদ করবো না

আমি কোন সঙ্কোচ করবো না

আমি কিছুই করবো না

আমি শুধু তোমার যৌবন ফুলকিতে পুড়ে মরতে চাই

নিজেকে শেষ করতে চাই


হে তিলোত্তমা অঙ্গনা

হে আগুনের ফুলকি

নিশ্চুপ থেকো না আমায় পুড়িয়ে দাও

তোমার যৌবন ফুলকি দিয়ে।


আমার আশ পূরণ করে দাও

আমি তোমার পাবন্দ বলছি

আমি তোমার পাগল বলছি

আমায় তোমার যৌবন ফুলকিতে পুড়িয়ে মারো

আমি আমৃত্যু তোমার যৌবন ফুলকিতে পুড়তে চাই..


৪৬.

মনের সম্রাজ্ঞী

.

হে আমার মনের সম্রাজ্ঞী কবিতা

হে যশোহর কন্যা,

আর কত বার খান্ডবদাহনে পোড়াবে আমায়

আর কতবার প্রেমের চলোর্মি'তে পর্যুদস্ত করবে আমায়

আর কতবার চণ্ডী হয়ে চরমপত্র শোনাবে আমায়?


হে আমার মনের সম্রাজ্ঞী কবিতা

হে যশোহর কন্যা,

ফুল্ল ভালবাসা কে আর কতবার

অ্যাটম বোম নিক্ষেপ করবে

চাঁচাছোলা করে আর কতবার মনে

কষ্টের ছোপ ফেলবে।


হে আমার মনের সম্রাজ্ঞী কবিতা

হে যশোহর কন্যা,

আর কত বার প্রেমের গবাক্ষ

বন্ধ করে রাখবে

আর কতবার আমার চোক্ষে জাহ্নবী নদী সৃষ্টি করবে।


হে আমার মনের সম্রাজ্ঞী কবিতা

হে যশোহর কন্যা,

আর কত বার কষ্টের জিঞ্জির পড়াবে আমার পায়ে

আর কতবার জুগুপ্সা করবে আমার ভালবাসা কে।


হে আমার মনের সম্রাজ্ঞী কবিতা

হে যশোহর কন্যা,

আর কত বার আমায় ঘূর্ণার দৃষ্টিতে দেখবে

আর কতবার ট্রেসপাস করে ঢুকবো তোমার মনে।


হে আমার মনের সম্রাজ্ঞী কবিতা

হে যশোহর কন্যা,

আর কত বার ডিটেকটিভ

হয়ে থাকবো তোমার পিছে

আর কতবার উপহাস করে নামাবে আমায় নিচে।


হে আমার মনের সম্রাজ্ঞী কবিতা

হে যশোহর কন্যা,

আর কত বার হবো তোমার প্রেমের তন্তুবায়

যতবার ভালবাসা গাঁথি ততবার নষ্ট করো হায়!

.

হে আমার মনের সম্রাজ্ঞী কবিতা

হে যশোহর কন্যা,

আর কত বার জ্বালাবো প্রেমের বাতি

বার বার নিভে দাও

হয়ে যাও তম্রিসা'র সাথী।


হে আমার মনের সম্রাজ্ঞী কবিতা

হে যশোহর কন্যা,

তোমার ভালবাসার নিয়ে আর তন্ময় থাকবো নাকো

দিবো না তোমার কাছে ধন্যা।


৪৭.

পাদপদ্ম

.

আলতো চুম্বনে তোমার পাদপদ্ম কে আদর করতে চাই হে চাঁদকন্যা

ভালবাসার লালা দিয়ে তোমার পাদপদ্ম সুরক্ষিত করতে চাই,

তোমার পাদপদ্ম সজীব রাখতে চাই হে তিলোত্তমা।


এসো পাদপদ্ম বাড়িয়ে দাও একটু ছুঁয়ে দেই

ভালবাসার লালা দিয়ে তোমার পাদপদ্ম সজীব করি তুলি,

তোমার পাদপদ্মের শত্রু হয় না যেনো দদ্রু

তাই লালা দিয়ে করতে চাই আব্রু।


এসো তিলোত্তমা পাদপদ্ম বাড়িয়ে দাও

একটি চুম্বন দেই,পাদপদ্মের সকল ব্যামোর

অবসান করে দেই।


লাজ করো নাকো তিলোত্তমা পাদপদ্ম বাড়িয়ে দাও

আমি তোমার পাদপদ্ম কে আরো সুশ্রী করে দিতে চাই,

চুম্বনে চুম্বনে তোমার পাদপদ্মের ত্বক কে

রোমাঞ্চকর করে দিতে চাই।


ত্রিদিবে এমন সুখ পাবে নাকো হে তিলোত্তমা

এসো জলদি এসো পাদপদ্ম বাড়িয়ে দাও,

চুম্বনে চুম্বনে তোমায় মাতোয়ারা করি

ভালবাসা মিষ্টি চুম্বনে তোমার মনে আনন্দ ভরি।


৪৮.

লাল ওড়না

.

লাল ওড়না জড়িয়ে থেক না

হে তিলোত্তমা

তোমার লাল ওড়না আমায় দাও

নিজেকে রঙিন করে নেই

সকল জড়তা নাশ করে দেই।


লাল ওড়না জড়িয়ে থেক না

প্রেমের কণ্ডেসার বক্ষে রেখ না,

তোমার লাল ওড়না দাও

কটমটে মনটাকে সজীব করে তুলি।


লাল ওড়না জড়িয়ে থেক না

তোমার লাল ওড়না

আমার মস্তিষ্কের নির্জীব প্রেম শিরা কে জাগিয়ে তুলেছে

মনের নীলিমায় কিমুলোনিম্বাস জমতে শুরু করেছে

হে তিলোত্তমা, হে আমার প্রিয়ংবদা চাঁদকন্যা

লাল ওড়না জড়িয়ে থেক না।


তোমার লাল ওড়না আমায় দাও

নিজেকে রোমাঞ্চিত করে তুলি,

কায়ার আগ্নি কে প্রজ্বলিত কোরে

হায়া নিয়ে খেলবো হলি

হে তিলোত্তমা চাঁদকন্যা তোমার লাল ওড়না আমায় দাও....

৪৯.

কবির প্রেম সরোবরে গোসল করকে চাও কিসে

.

কবির প্রেম সরোবরে গোসল করতে চাও কিসে হে তিলোত্তমা কন্যা,

কবির প্রেম সরোবরে রুপ- যৌবন সব হারাবে দুচোখে আসবে তোমার কান্না।

তুমি তো জানো তোমার কবি বেকার

কবিতার সনে প্রেম করে স্বপ্ন তার বেঁচে থাকার।


কবির প্রেম সরোবরে

গোসল করে শুধু পাবে মেকি আনন্দ,

ক'দিন না যেতেই

প্রেম সরোবর নিয়ে

অন্য অঙ্গনার সনে হবে তোমার দ্বন্দ।


তুমিও তো জানো তোমার কবি প্রেমিক পুরুষ

প্রেম তার কবিতার খাদ্য,

তোমার কবি প্রেমে আছে বলেই

কবিতায় বাজে তার প্রেম বাদ্য।

ওহে তিলোত্তমা অঙ্গনা ভুলে যাও তোমার কবিরে

নচেৎ লাজ- শরম

সব কিছু প্রেম সরোবরে খোয়াবিরে?


৫০.

সত্যি আর তোমায় চাইবো না

.

সত্যি আর তোমায় চাইবো না

মন যতই হরতাল করুক,

বিরহে অনলে বক্ষ যতই পুড়ে যাক

মস্তিষ্কে যতই উন্মাদনা করুক ঘূর্ণিপাক

তবুও আর চাইবো না!

অক্ষির কবোষ্ণ জ্বলে ভেসে যাক গঙ্গা,পদ্মা,টেমস্, নীল নদ

তবুএ আর বানাতে চাইবো না তোমাকে মম

মন রাজ্যের সভাসদ...


৫১.


অপরাজিতা বালিকা

.

তোমায় দেখে

আলুলায়িত হচ্ছে মন,

মস্তিষ্কে উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়ছে

হে অপরাজিতা বালিকা।


চোখ নিমীলিত করতেই

ভেসে উঠে,তোমার ক্লহারময় বদনখানি।

কে তোমার বর

কে তোমার প্রেমাস্পদ

কে করবে তোমায় যুবজানি

হে অপরাজিতা বালিকা?


বলো নিশ্চুপ থেক না

তোমার জিতেন্দ্রিয় স্বভাব,

আকীর্ণ ভাষ্য শুনে আমি মুগ্ধ

কি ইনাম দেবো তোমায়

আমার যে দেওয়ার মতো কিছু নেই

হে অপরাজিতা বালিকা।


তুমি গজেন্দ্র গামিনী ললনাদের রক্ষা করো

অচলায়তন সমাজের দ্বার ভেঙ্গে দাও?

তোমার মতো ললনা খোঁজে বঙ্গমাতা

যে পারবে মম বঙ্গ মায়ের দূর করতে ব্যথা।


হে অপরাজিতা বালিকা

ধর্মান্ধ অসুর করো বিনাশ,

তোমাকে পাবার আশে

বঙ্গ মাতা করছে হা- হুতাশ।


হে অপরাজিতা বালিকা

ভালবাসা দিয়ে রাঙিয়ে দাও বসুন্ধরা,

তোমার ইনাম তুমি নিজেই বেঁচে থাকবে

মানুষের মনে জনম ভরা।


৫২.

 

একটা লাল ঠোঁট চাই

.

একটা লাল ঠোঁট চাই

যে লাল ঠোটে কামনা হবে ছাই,

একটা লাল ঠোঁট চাই

যে লাল ঠোঁটের পরশে শরীরের

জড়তা মোচন হবে।


একটা লাল ঠোঁট চাই

ভালবেসে ললনার ঠোঁটে লালা কিছু জমাতে চাই,

একটা লাল ঠোঁট চাই

লাল ঠোঁটের উষ্ণ চুমুতে

মনের ভালবাসা কে ঘুম থেকে জাগাতে চাই...


৫৩.

তোমার ঠোঁটে চুম্বন দিবো

.

তোমার ঠোঁটে চুম্বন দিবো এক হাজার রেটিং পয়েন্টের

তাতেই তোমার গাল,স্কন্ধ,মাজা,পয়োধর,ঝলসে যাবে,

উহ্! বলে চিৎকার করবে?

তখন আমি ভালবাসা দিয়ে তোমায় রাঙিয়ে দিবো,

পায়ের কনিষ্ঠ আঙ্গুল থেকে মাথার কেশের শেষ অবধি

ভালবাসার শিহরণ জাগাবো! তোমায় রাগাবো?

চুম্বনে চুম্বনে তোমার শরীর শীতল করে দিবো

লালার প্রলেপে ঢেকে দেব তোমার সমস্ত শরীর

এক ইঞ্চিও বাদ রাখবো না প্রতিটি লোম কূপ বন্ধ রাখবো

আদরে - সোহাগে তোমায় পর্যদুস্ত করে রাখবো

তোমার ভালবাসার কান্নার জ্বলে পদ্ম ফোটাবো?


৫৪.

নারী মানেই কবিতা

.

নারী মানেই কবিতা

কবিতা মানেই নারী!

নারীর ওষ্ঠে কবিতা নারীর অলুক কুন্তুলে কবিতা

নারীর পদ্মলোচন আখিতে কবিতা

নারীর নাসিকায় কবিতা,

নারীর দন্তে কবিতা নারীর হাসিতে কবিতা

নারীর গালের টোলে কবিতা।


নারী মানেই কবিতা

কবিতা মানেই নারী!

নারীর স্কন্ধে কবিতা নারীর বক্ষে কবিতা

নারীর পয়োধরে কবিতা

নারীর নিতম্বে কবিতা

নারীর প্রত্যেক টি অঙ্গ- প্রত্যঙ্গে কবিতা,

নারীর শরীররের রন্ধে রন্ধে কবিতা

শরীরের ভাঁজে ভাঁজে কবিতা

নারী মানেই কবিতা

কবিতা মানেই নারী।

৫৫.

হে মন কাঁদিস কিসে বল

.

হে মন কাঁদিস কিসে বল

তুই তো অশরীরি দেখবে কে তোর জল!

হে মন তোর জলের নেই কোন দাম

মিসে কাঁদিস কেন অবিরাম?


হে মন ভুলে যা দুদিনের সব স্মৃতি

তুই তো ভালবাসতে পারিস না!

তবু কেন দেখাস ভালবাসার ভ্রান্ত নীতি!

হে মন তুই তো পাপিষ্ঠ নর্দমার কীট

তোরে তো কেউ বোঝেনা

কিসে দেখাস মেকি জিৎ?


হে মন তোর তো অস্ত্র নেই গোলা- বারুদ নেই

নেই সৈন্য সামন্ত,

কিসে তুই লড়াই করতে চাস

তুই তো নস্ জীবন্ত?


হে মন ভুলে সব

চলে যা পরপাড়ে,

তোর কষ্ট বিধাতা ছাড়া

আর কেউ কি বুঝতে পারে ...

৫৬.

শেষ চিঠি

.

ম্যাসেজ দেখেও লাপাত্তা

এমন হেন আদৎ আশা করিনি,

কেন যে ভুল করে আপনার দ্বারে

কড়া নাড়তে গেলাম তা অবিদিত?


ভেবেছিলাম আপনি আমায় ভালবাসেন

আপনার মন কুঠিরে ঠাঁই দিয়েছেন!

ভেবেছিলাম প্রেম দেবতা মদন দেউটি করে আপনাকে পাঠিয়েছে আমার জীবনে

কিন্তু,আমি বুঝতে পারিনি যে আপনি রায়বাঘিনী,প্রবঞ্চক!

অলীক খোয়াবে বিভোর ছিলাম

ভালবাসার রঙ তুলিতে মনে আপনার ছবি অঙ্কন করেছিলাম?


আমি আপনাকে পারিতোষিক দিতে পারিনি

আপনার পাবন্দ হতে পারিনি

আমায় প্রতীতি করতে পারেন নি?

অঢেল টাকা- পয়সা না থাকলেও

বেঁচে থাকার মতে সম্পদ-প্রতিপত্তি ছিল

ভালবাসার মতো মন ছিল!

শত- কষ্টে আপনায় সুখে রাখতাম?


আপনি হেজিঁপেজিঁ ভেবে জাত্যভিমানের হুঙ্কার ছাড়লেন

অশুচি ভেবে প্রহেলিকা করলেন?

ফুল্ল ভালবাসা কে বক্রোক্তি বচনে পর্যদুস্ত করে রাখলেন

আমার বাকস্ফূর্তি কেড়ে নিলেন?


ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন কস্মিনকালেও আপনার মনের দ্বারে

আর কড়া নাড়ছি না,

আপনি ভাল থাকলে আমি ভাল থাকব

এবং আপনার মেকি ভালবাসা নিয়ে বাকি জীবন পাড়ি দেব...


৫৭.

মায়াদেবী

.

এলোকেশ ছড়িয়ে মায়াদেবী

বসে ছিল মধুমতী নদীর তীরে,

হস্তে কঙ্কণ ছিল না আলতার অঙ্কণ ছিল না

শুধু হরিদ্রা রঙ্গের একটি ফুল ছিল।

এলো কেশ গুলো দুলছিল

নাসিকা ভালবাসার সুঘ্রাণে ফুঁসে ছিল,

অক্ষির তারকা মিটমিট করে জ্বলে ছিল

দন্তের চিকনাইয়ে সবিতা মেঘ রাজ্যে পলায়ন করেছিল

আরক্তিম ওষ্ঠ কি যেন কি বলছিল?

আমি কিছু শুনিনি

মায়াদেবীর বচন কর্ণকুহরে পৌছায় নি!

তার কন্ঠহার ছিল না

মাথার টিকলি ছিল না,

পায়ের মল ছিল না

মাজার বিছে ছিল না?

তবুও অপরুপ কি যেন ছিল

তার কহ্লারময় বদনখানিতে!

তার এমন হেমাঙ্গ দেখে

আমি বুঝতে পারছিলাম না

কি করব,কাছে যাব না দূরেই থাকব!

হঠাৎ মায়াদেবীর কলহাস্য দেখে

করোটি কবোষ্ণ হয়ে উঠল

কি করব ভেবে পাচ্ছি না?

কস্মিনকালেও এমন তিলোত্তমা অঙ্গনা কে দেখিনি

যা কহতব্য নয়?

আমার কান্ড জ্ঞান লোপ পেয়েছিল

যাব কি মায়াদেবীর কাছে?

বারংবার নিজের মন কে প্রশ্ন করেছিলাম

কায়া হায়া হারানোর ভয়ে ক্লেশে

নুয়ে পড়ছিল?

হঠাৎ দেখি আমার মায়াদেবী নেই

কার যেন হস্ত ধরে পদব্রজ করছে

আর খিল খিল হাসছে

হস্তের হরিদ্রা রঙ এর ফুলটি নেই

আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে অপাঙ্গ দৃষ্টিতে

তাদের অবলোকন করতে লাগলাম?

বুকে কে যেন হাপর - কার্তুজ চালিয়েছিল

নিজেকে কব্জা করতে পারলাম না

ক্রোধানলে চিৎকার করে উঠলাম কেউ নেই পাশে

পর্যঙ্কে একা শুয়ে আছি

আর চোখের জল অনর্গল প্রবাহিত হচ্ছে!!

৫৮.

আমি ভালবাসা ভাল নেই

.

আমি ভালোবাসা ভাল নেই

যৌনতার দাস হয়ে গেছি,

যৌনতা আমার আমিত্ব-শক্তি

সব কেড়ে নিয়েছে।

আমি ভালবাসা ভাল নেই

আজ আমি বড় অসহায়,

যৌনতার কথা বলি

যৌনতার কথায় চলি

আবার কখনো নর্দমায় ভ্রুণ হয়ে পড়ে থাকি।

আমি ভালোবাসা ভাল নেই

তোরা কি কেউ পারবি

যৌনতার কবল থেকে আমায় রক্ষা করতে

তোরা কি পারবি

যৌনতাকে ধংস করতে?

আমি ভালবাসা ভাল নেই

যৌনতার কারণে আজ আমি ধর্ষিত

পথে-ঘাটে লাঞ্ছিত!

আমায় আজ গালি দেয়

তিরস্কার করে

আমি ভালোবাসা ভাল নেই

আমি ভাল নেই?

৫৯.

নির্ঘুম রাতের ভালবাসার উপাখ্যান

.

তোমাকে দেখার তৃষ্ণা মিটে না

তোমায় যতই দেখি ততই তৃষ্ণা বেড়ে যায়!

তুমি কি আমার তৃষ্ণা মিটাবে

হে প্রিয়!

চঞ্চল মনটাকে কি শান্তি দেবে?

তুমি আমার চক্ষুর ঘুম কেড়ে নিয়েছ

প্রতি রজনী এপাশ-ওপাশ করে কাটাই!

চক্ষু নিমীলিত করতেই তোমার ফুলকি হাসি

ভেসে ওঠে,তোমার আরক্তিম ওষ্ঠ

চুম্বন করতে আওভান জানায়!

আমি কাঁচুমাচু করে নিঃতেজ হয়ে

শুয়ে থাকার ভান করি?

তোমার কাজ্জল রাঙ্গানো চক্ষু

বারংবার কামনার দৃষ্টিতে অবলোকন করে!

কটুকাটব্য বলতে তোমার কন্ঠনালী প্রস্তুত হয় !

কিন্তু, ভালবাসার মূর্ছনায় তোমার মন বলতে ইতস্ততঃ করে।

ইত্যবসরে আমি আবার ঘুমপরী কোলে শুইতে মনস্থির করি!কিন্তু,ঘুম হয় না

তোমার হাতের কঙ্কণ ভালবাসার বীণা বাজায়?

আমি আবার জেগে ওঠি

তোমার কন্ঠহারের চিকনায়ে চক্ষু ঝলসে ওঠে।

মনে আবার ভালবাসা কর্ষণ করে।

আঁজলা পেতে তোমার কাছে অনুকম্পা চেয়েছিলাম কিন্তু তুমি দাও নি!

শারীরিক কৃচ্ছ্রতায়

নুয়ে পড়ে !

চক্ষু নিমীলিত করতেই কহ্লারময় তোমার গালের টোলের স্মৃতি মনে পড়ে,আমি তখন খিল খিল করে হাসি।

মনে প্রেম কেতন পতপত করে ওঠে?

ভালবাসার বেগ বেড়ে যায়

হাসতে হাসতে চোখ বিবর্ণ হয়ে আসে!

আবার ,

শুইতে বালিশে মাথা রাখি...

তোমার চূর্ণ কুন্তল ললাট ছুয়ে দিচ্ছে

ভেবিছে মার্জনা

করেছ কিন্তু না! না!

শরীরে শিহরণ জাগালো

তোমার মাজা নৃত্য দেখালো!

হঠাৎ তোমার কলকন্ঠ স্বর

একাদিক্রমে কর্ণে আঘাত করতে লাগল

এই ছেলে ঘুম আস না আমায় ভালবাসা দাও!

কে কে বলে চেচিয়ে উঠলাম?

কিন্তু,কোথাও কেউ নেই...

পশ্চিম গগন থেকে ফজরের আযান ভেসে আসতে লাগল......


৬০.

প্রেমিক-প্রেমিকার জীবন!

.

বিবাহের আগে প্রেমিক-প্রেমিকার জীবন

বসন্ত কাল!

বিবাহের পর প্রেমিক-প্রেমিকার জীবন

গ্রীষ্ম কাল!

প্রেমিক-প্রেমিকের সংসারে যখন সন্তান আসে

তখন শরৎ কাল।

যখন প্রেমিক-প্রেমিকার সন্তান বড় হতে শুরু করে

তখন হেমন্ত কাল!

আর যখনি প্রেমিক-প্রেমিকার সন্তান অবাধ্য হয় তখন বর্ষাকাল!

আর বার্ধক্যে প্রেমিক-প্রেমিকার জীবন শীতকাল!


৬১.

ভালবাসা আজকাল

.

আজকে শিলা

কালকে মিলা

পরশুতে ইলা

ভালবাসার ঘূর্ণিপাকে চলছে যৌনলীলা।


ভালবাসার কোন দাম নেই

জেল হাজতে বন্দি!

যৌন জ্বালা নিবারণ করতে

করছি নানান ফিকির-ফন্দি?


আজকে মহৎ

কালকে নিশাদ

পরশুতে সাব্বির!

ভালবাসা কে পৃষ্ঠ করে

মেয়ে সেজেছে প্রেমিক পীর।


ভালবাসার আজ করুণ দশা

টাল-মাটাল হয়ে ঘুরছে পথের বাঁকে,

আবার কখনো পড়ে থাকে

ঝোঁপ ঝাড়ের ফাঁকে?


ভালবাসি!ভালবাসি!

করে চিল্লাইতেছি

কেউ করি না ভালবাসার দেখ ভাল

এই যদি হয় ভালবাসা

ভালবাসা বেঁচে থাকবে কতকাল?

৬২.

ভারপ্রাপ্ত প্রেমিক

.

হে লীলাবতী রাজকন্যা

আমি আর তোমার ভারপ্রাপ্ত প্রেমিক

হয়ে থাকতে চাই না!

আমায় মুক্ত করে দাও তোমার ভালবাসার বন্ধন থেকে?

তুমি তো অন্য কারও হবে

মিছে আমায় ভারবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করে

রাখতে চাও কেন।


কি আছে আমার?

কিসের লোভে আমার পিছে ছুটছ,

আমার তো যশ-খ্যাতি কিছুই নেই

নেই পকেট ভর্তি টাকা!

আমার তো বিলাসবহুল গাড়ি নেই

অট্টালিকা বাড়ি নেই?


কি খুজে পেয়েছ আমার মাঝে

আমি তো শ্রীহীন এক বেকার যুবক,

আজ হউক কাল হউক

আমায় ভুলে যেতে হবে।


আমি তোমায় কাপড়-চোপড়

গহনা-পাতি কিছুই দিতে পারব না

না দিতে পারব দু মুঠো ভাত।


হে লীলাবতী রাজকন্যা

তুমি আমায় ভুলে যাও

ভালবাসার বন্ধন থেকে মুক্ত দাও?


আমি তোমার মঙ্গল চাই

তোমায় সুখি দেখতে চাই!

আমি তোমায় যুবজানি করতে পারব না

তুমি অন্যের কেউ?


তুমি আমায় মুক্তি দাও

স্বস্তি দাও..

আমি আর হতে চাই না

তোমার ভারপ্রাপ্ত প্রেমিক?


৬৩.

হে নবীন

.

হে নবীন নীরব কেন আজ

কত অন্যায় আর বরণ করে লবে

নেই কি তোর লাজ?


ঘন-সিয়া জুলমাতে

ভরে গেছে এ দেশ,

৫২'র মত জেগে ওঠ

দেখাও রক্তের তেজ।


হে নবীন কত শুনবি

আর মর্সিয়া গীতি,

দেশের তরে দেখাও

তোদের প্রেম-প্রাতি।


হে নবীন জেগে উঠ,রেগে উ্ঠ

থাকিস না আর ঘুমে,

অসুর দেবতা আসছে তেড়ে

রক্ত খাবে তোদের চুমে।


হে নবীন

করিস নে কোন ভয়,

প্রাঞ্জল বিপ্লবে

অসুর দেবতার কররে ক্ষয়।


হে নবীন বিচলিত হইও না

করিও না গাফলতি,

মনের সৃর্য কে হূদপিন্ডে ধরে রাখ

তোরা-ই তো এদেশের

আপামর জনতার সেনাপতি?


৬৪.

আমার কি দোষ?

.

চোখের কি দোষ বল

দেখতে চায় তোমাকে,

দৃষ্টির কি দোষ বল

ভাল লাগে তোমাকে।


প্রভুর হচ্ছে দোষ

অনন্ত যৌবনা-বানিয়েছে তোমাকে,

মনের কি দোষ বল

মন চায় তোমাকে।


হূদয়ের কি দোষ বল

সুন্দর লাগে তোমাকে,

আমার কি দোষ বল

ভালবাসি তোমাকে?


৬৫.

কোথায় হারিয়ে যেতে চাও?

.

নদীর অতলে হারিয়ে

গেলে কে তোমায় খুজবে,

দিন থাকিতে

ভাল হয়ে যাও

নতুবা পড়ে বুঝবে!


বেএলেম-আনপাড়হ্ মত

করিও না এমন কাজ,

ভালবাসার রুঠাজমিতে

আবার কর নয়া বীজ চাষ!


দুঃখ নামক ঘোর

অমানিশায় নিজেকে

দিওনা জলাঞ্জলি!

ভালবাসার রুঠা জমিতে

জলদি বীজ বপন কর

বতোর দিন গেল যে চলি?


৬৬.

স্বপ্নের প্রেম

.

স্বপ্নে এলে

স্বপ্নে গেলে

আমায় তুমি ফেলে,

তোমার আশায়

আজও আছি দু-চো দুটো মেলে।


ভালবাসার স্বপ্ন খেলা

খেল তুমি খেল,

তোমার জন্য ঘুমটা আমার

হাওয়ায় উড়ে গেল।


ঘুমের ঘরে দেখি তুমি

আছ আমার পাশে,

তোমায় নিয়ে উড়ে গেছি

স্বপ্নের আকাশে।


ভালবাসার মধুর কথা

বলতে যখন কানে,

চেয়ে দেখি তুমি তখন

নেই কোন খানে!


একি! তোমার প্রেমের খেলা

একি! জড়াজড়ি,

তোমায় একটু না দেখলে

যৌবন জ্বালায় মরি?


৬৭.

মার্জার

.

পামর মন হয়েছে দেহাত্যয়

কস্মিকালে ঘুরে বেড়াব মার্জারের ন্যায়,

তুই ভার্যা হয়েছিস তাতে কি!

ঘুরব তোর পিছে পিছে

মনুষ্য থাকতে পারিনি তোকে ভুঞ্জিতে।


উদয়-বিলায় খেলায় অভিশপ্ত হয়ে

হয়েছি আজ সলাঙ্গুল মার্জার,

তবু তোর পিছে ঘুরব বারংবার।


মনুষ্য থাকতে পারিনি তোকে ভালবাসিতে

আজা মার্জার হয়ে পেরেছি তোর কাছে

আসিতে।



মনুষ্য থাকতে তোর উজ্জ্বল চেকনাই দেখে

হয়েছিলাম বেচাইন,

ভালবাসতে অপরাগতা প্রকাশ করেছিলে বলে

অসুস্থ ছিলাম অষ্টদিন।


ব্যাক্কই লোকে জানত তুমি ছিলে মোর প্রাণ

আজ মার্জার হয়ে খুজি তোমার ভালবাসার

ঘ্রাণ!


মনুষ্য থাকতে সমবয়সী ছিলাম বলে

করতে না তোয়াক্কল,

বাবা-মার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবে না

তার দিয়েছিলে ছল।


আজ আমি মার্জার,

মানুষের মত

এমন রা করিতে পারি না আর!


ম্যাঁও ম্যাঁও করে ডাকি তোকে

শুনতে পারিস না মোর হাঁক,

ষষ্টি দিয়ে আঘাত করিস

বলিস তুই এখান থেকে ভাগ।


আমি ভাগব না!

আমি রাগব না!

থাকব তোর বাড়ির আঙ্গিনায়

এভাবে যতদিন অপমৃত্যুর

শাস্তি থেকে যায়?


৬৮.

দেহচ্যুত মন

.

মন আমার দেহচ্যুত হয়ে পড়েছে তোমার প্রেমে, 

হাসি-মাখা দিনগুলো আজও বাধা আছে ভালবাসার ফ্রেমে।


বহির্মুখী উন্মত্ততা জেগেছে এই মনে!

তোমায় আমি ভাবি প্রতি ক্ষণে ক্ষণে।


ঝিমধরা শরীর নিয়ে বসে থাকি যখন !

রুদ্ধ নিঃশ্বাসের স্তব্ধতা চলে আসে তখন?


তোমার ঐ গাঁট্টাগোট্টা শরীর শ্যেন দৃষ্টি চোখ, 

মরুক্ষু মনে ধাক্কা দেয় যখন দেখি তোক!


তোমার ঐ আথালি -পাথালি খিল খিল হাসি

 রদ্দি মনের উচক্কা কোণে এস্তেমাল করে রাখি।


ব্যাক্কই লোকে জানে তুমি প্রাণ ,

শত নিতিবিতি করার পরেও ভুলতে পারিনি তোমার খড়গনাসা -গৌরবর্ণ চেহারা খ্যান।


চোখ নিমীলিত করলেই দেখতে পাই তোমার মুখ,

এ কোন বিবরে ফেললি মোরে সর্বক্ষেত্রে যে দুঃখ?


৬৯.

দেবী অদ্রিতা

.

আজীবন অকৃতদার থাকবো দেবী অদ্রিতা

তোমার রুপের আলায় ঝলসে গেছি,

মনের নীলিমা বিধ্বস্ত

হেলাল,সেতারা,অংশুমালী সবাই বিক্ষোভ করেছে

মন রাজ্যের সম্রাজ্ঞী চাই?

তাই অগত্যা তোমার দ্বারে কড়া নাড়ি দেবী অদ্রিতা?

কত আশা ছিল অচলায়তন সমাজের দ্বার ভেঙ্গে

তোমায় মন রাজ্যের সম্রাজ্ঞী বানাবো

আমার প্রজাদের শান্ত করবো?


তোমার অঙ্গরাগ দেখার পর দেখে এমন অবস্থা

কতবার তাদের বিক্ষোভ নিধনের চেষ্টা করেছি

প্রেম দেবতা মদনের কাছ থেকে কত যে ভালবাসা এনেছি

যে প্রজাদের শান্ত করবো ভালবাসা দিয়ে?

কিন্তু পারিনি।

মন রাজ্যের প্রজারা মস্তিষ্কে কার্তুজ চালাচ্ছে

উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়ছে আমার শিরা- উপশিরায়,

ফুসফুস ভালবাসার ক্যান্সারে আক্রান্ত

অক্ষির কোণে কবোষ্ণ জ্বল টলমল করছে?


বাম নিলয় ডান নিলয় আজ প্রায় অচল

শরীরের অঙ্গ- সঞ্চালন হচ্ছে না

কেমন জানি স্থবির হয়ে পড়েছি দেবী অদ্রিতা।

অজ্ঞাতকুলশীল না জেনে তোমায় ভালবেসেছি

মন কে আশকারা দিয়েছি,

আজ মনের এমন আস্পর্ধা হতো না

যে আমার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করবে?


উত্তরোত্তর তোমার প্রতি আসক্ত হচ্ছি দেবী অদ্রিতা

এমনটা ছিলাম না প্রাক্কালে,

হে দেবী অদ্রিতা তুমি এ ভালবাসার উপপাদ্য সম্পাদন

করে দাও!

আমার মনের বিক্ষোভ কে শান্ত করো

আমি তোমার ভজনালয়ে অর্চনা করবো,

হে দেবী অদ্রিতা আমি উপযাচক হয়েছি

শুধু তোমার কারণে ভুলতে পারবো না তোমায় শত বারণে?


হে দেবী অদ্রিতা তোমার পথ রুদ্ধ করবো না

আমার সেই শক্তি নেই,

তোমার ঐশ্বরিক রূপ দেখে বিক্ষোভ চলছে

সৈন্য- সামন্ত নেই যে তাদের বিক্ষোভ দমন করবো?

শতবার নির্লজ্জ্ব হয়েছি কথা বলবো না তবুও বলেছি

শুধু মনের বিক্ষোভ দমন করার জন্য হে দেবী অদ্রিতা

তুমি কবে আসবে?

কবে হবে মম প্রেম রাজ্যের সম্রাজ্ঞী।


আর কত থাকবো নিশি জাগি?

দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে কষ্টের ডাল- পাল

আর কত সইবো মনের বিক্ষোভ জঞ্জাল?

বলে দাও মোরে হে দেবী অদ্রিতা

গতায়ু কাল দিচ্ছে উঁকি,

আর কতকাল ভান করে থাকবে হয়ে কচি খুশি।


হে দেবী অদ্রিতা আমি তোমার পাবন্দ

পূত ভাবে ভালবাসিবো করবো না কোন দ্বন্দ্ব,

তোমার জন্য প্রব্রজ্যা ধর্ম করিবো গ্রহণ

আর পারি না মনের বিক্ষোভ সইতে

বক্ষে হচ্ছে রক্ত ক্ষরণ?

হে দেবী অদ্রিতা করো না আর ফক্কড়

ভালবাসা দিয়ে ছুঁয়ে দিবো তোমায় অধর,

বিড়বিড় করো না স্বর্গে থেকে

আমার মন রাজ্যের বিক্ষোভ যাও দেখে?


হে দেবী অদ্রিতা তুমি পারো এ বিপদভঞ্জন করতে

বিদ্রূপ করো না তোমার মতো দেবী নেই এই মর্তে,

আমি ট্রেসপাস করে স্বর্গে যেতে পারবো না দেবী অদ্রিতা

সেই শক্তি দেয়নি আমার ঈশ্বর।

আমি ঠুঁটো জগন্নাথ হলেও তোমার কাছে কিছু নেই

দেবী অদ্রিতা,

আমার শঙ্কার ডঙ্কা বেজে চলছে হরদম

মনের বিক্ষোভ দিন দিন হচ্ছে পাহাড় সম?


হে দেবী অদ্রিতা তুমি তরিৎবেগে এসো মম মন রাজ্যে

তজ্জনিত তোমায় ভালবাসা নজরানা দিবো দেবী অদ্রিতা,

আমার প্রজাদের শান্ত করো আমি তোমায় আজীবন যুবজানি করে রাখবো?

দিনমান তোমায় ভালবাসবো ভালবাসার জাদুঘরে রাখবো তোমায়

মনের বিক্ষোভ দমন হবে,

তোমার চারুদর্শন রুপের জন্য ভালবাসার শিল্পকলা একাডেমী করবো

আমার মন রাজ্যে দেবী অদ্রিতা।


একবার আমার মনের রাজ্যে এসেই দেখ

বরণডালা নিয়ে বসে আছে আমার মন রাজ্যের প্রজারা,

ডাক- ঢোল, শানাই,আরো কত বাদ্যযন্ত্র

আড়ম্বর অনুষ্ঠান করবে নাকি আমার মন রাজ্যের প্রজারা?

কিন্তু তুমি নেই দেবী অদ্রিতা তাই মনের এমন বিক্ষোভ

তুমি পদলেহন করো না দেবী অদ্রিতা,

পয়মাল করো না মম মন রাজ্যে

আর কতকাল তোমার আশায় থাকবো আর কতই বা করবো ধৈর্য।


আমার যে মন রাজ্যের পথিকৃৎ নেই

প্রজাদের পদাশ্রিতায় বেঁচে আছি।

হে দেবী আমি আর ভালবাসার ঘাগী হয়ে থাকতে চাই না

আমায় মুক্ত দাও আমার মন রাজ্যের বিক্ষোভ নিধন করো?

নচেৎ ঈশ্বর কে বলে যমালয়ের দ্বার উন্মোচন করে দাও

থাকুক আমার মন রাজ্য বিক্ষোভ করুক তাদের দেবী অদ্রিতার জন্য?


৭০.

ভালবাসার সাতকাহন

.

ভালবাসার সাতকাহনে হলো না ঘর বাঁধা

তরী আমার কূলে ডুবেছে তা জেনেও স্বপ্ন দেখি 

আমি আসলেই আস্ত গাঁধা।


কি আশার স্বপ্ন দেখি

কিসে তারে ভাবি আপন,

মন তো মরে গেছে

মুড়ে আছে সাদা কাফন।


ভালবাসার সাতকাহনে 

আমি যে নাই, 

আমি তো ভস্ম- ছাই।

ভালবাসার সাতকাহনে

কে করবে রাজত্ব? 

আমার তো কিছু নেই!

কোন লাইসেন্স নেই, নেই কোন স্বত্ত্ব। 



তবুও প্রবল ইচ্ছে 

ভালবাসার সাতকাহনে

নিবো ঠাঁই,

যে করে হোক, যেমনে হোক 

ভালবাসার সাতকাহনের রাজ্য আমার চাই।


ভালবাসার সাতকাহন

আমার  হবে কবে?

দূর ছাই!

কি ভাবছো,কি চাইছো

ভালবাসার সাতকাহন কস্মিনকালেও তোমার নাহ্ হবে।

ভালবাসার সাতকাহন 

তার মনে,জর্জ,ব্যারিস্টার,সরকারি মনুষ্য  পোষে....


৭১.

লক্ষ কোটি চুমু

.

লক্ষ- কোটি চুমু

অন্তরের জেলে বন্দি,

তুমি নেই তাই

করে না কারো সঙ্গে সন্ধি। 


লক্ষ কোটি চুমু

অন্তরের জেলে করে হা-হুতাশ, 

অন্য কারো হেমাঙ্গে

করতে চায় না বাস।


লক্ষ কোটির চুমুর ফুরিয়ে যাচ্ছে রুচি

শুধু তোমার কথায় চুমু 

শত মেয়ের আশা দিয়েছি ঘুচি। 


লক্ষ কোটির চুমুর জন্য বড্ড কষ্ট হয় 

মাঝে মাঝে অনিচ্ছা সত্ত্বেও অন্তরের জেলে করে তারা প্রলয়,

লক্ষ কোটি চুমু আছে তোমার জন্য

তুমি আসলেই অন্তরের জেল ভেঙ্গে করবে তোমায় ধন্য ধন্য...


৭২.

আমি ছাইপাঁশ

.

আমি ছাইপাঁশ

আমাকে পাবার করো না আশ,

আমার জীবনে এসে পাবে না সুখ

পাবে শুধু হতাশ।


আমি ছাইপাঁশ

আমাকে নিয়ে দেখ না মেকি স্বপন,

আমাকে পাবার আশে

নিজের মনে করো না ভালবাসার বীজ বপন।


আমি ছাইপাঁশ

আমার জন্য

করো না

নিজের জীবন নাশ।


আমার জীবনে কিছু নেই

আছে যে শুধু হতাশ

আমি ছাইপাঁশ আমি ছাইপাঁশ

আমায় ছেড়ে দূরে চলে যাও

অন্য কারো মনে করো বাস

আমি ছাইপাঁশ আমি ছাইপাঁশ

আমি ছাইপাঁশ…


৭৩.

বড় আপুর সঙ্গে প্রেম

.

বড় আপুর সঙ্গে

প্রেম করলে পাবে অনেক মজা,

বড় আপু

সহজেই ভালবাসা দিবে

হবে প্রেমের ওঝা।


বড় আপুর সঙ্গে

প্রেম করলে পাবে অনেক শাসন,

আদর করে বুকে টেনে নিবে

মনে দিবে ভালবাসার আসন।


বড় আপুর সঙ্গে প্রেম করলে

পাবে অনেক আনন্দ,

কথায় কথায় মিষ্টি চুম্বনে

করবে তোমার সঙ্গে অনেক দ্বন্দ।


৭৪.

চুমুতে চুমুতে

.

চুমুতে চুমুতে তোমার

বক্ষের দুধেল পাহাড় করব ক্ষয়,

চুমুতে চুমুতে

হবে তুমি চুম্বকময়।


চুমুতে চুমুতে

তোমার ভালবাসা হবে সুস্থ

যৌবন তাপে হবে

নাকো আর অসুস্থ।


৭৫.

মেঘের পালক

.

হে তিলোত্তমা হে বিদূষী বনিতা

তুমি কি চড়বে

মেঘের পালকে

তোমায় নিয়ে যাব দূলোকে।


মেঘের পালকে চড়ে

দেখাবো তোমায় মেঘপুরী,

মেঘ- নীলিমা কেমনে প্রেম নিয়ে খেল

লুকোচুরি।


হে তিলোত্তমা, হে বিদূষী বনিতা

তুমি কি দেখবে

নীলিমার বুকে মেঘ কেমনে ভেসে রয়,

তুমি কি দেখবে নীলিমা- মেঘ

কেমনে করে প্রেম বিনিময়।


তুমি কি দেখবে

নীলিমা- মেঘের অভিমান,

কখনো তপ্ত সবিতা দন্ডমুন্ডের মতো

তাদের ভালবাসায় দেয় শান।


হে তিলোত্তমা হে বিদূষী বনিতা

হাত বাড়িয়ে দিয়েছি জলদি এসো

করো না আর ছল

তোমার জন্য মেঘ পালক শশকের মতো হয়েছে চঞ্চল।

৭৬.

তোমায় ভালবাসা রাজ্যের সম্রাজ্ঞী বানাবো

.

অকিঞ্চন প্রেমিক তাই মূল্য দিলে না হে তিলাত্তমা অঙ্গনা

তোমায় কত ভালবাসি তা অনুমেয় করতে পারবে না,

তোমার জন্য অন্তর্জগতে উন্মাদনা বিরাজ করছে

হে তিলোত্তমা অঙ্গনা, হে ধামরাই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজের (ঢাকা)রাণী

কত্ত আশা ছিল করব তোমায় যুবজানি?


তোমার আজ্ঞাবহ হয়ে থাকতাম

তোমার কথায় চলতাম, উঠতাম- বসতাম

তোমার দাসানুদাস হয়ে থাকতে চেয়েছিলাম

শুধু তোমার ভালবাসার আশে।


তোমার জন্য অষ্টপ্রহর কেঁদেছি

নিজেকে আহুতি দিতে প্রস্তুত ছিলাম,

চাঁদনীময় রাত কে অভিশপ্ত করেছিলাম

শুধু তোমার ভালবাসা স্পর্শের লাগি।


হে তিলোত্তমা অঙ্গনা, হে আমার দেবী

আত্মগর্বী হয়ে নিজের ভালবাসার রাজ্যের সর্বনাশ করো না,

এখনো সময় আছে

আমি মামুলি তাই তোমায় কি ভালবাসার

অধিকার কি আমার নেই?

আমি যে তোমার ভালবাসার কাঙাল

হে তিলোত্তমা অঙ্গনা।


তোমায় আভরণ দিয়ে তোমার সফেদ অঙ্গ কে মোহনীয় করতে পারব না হয়তো,

তবে ভালবাসা দিয়ে রঙিন করতে ঠিকই পারব।

আমায় আবেগী বলে উপহাস করো নাকো তিলোত্তমা অঙ্গনা

আমার তনু- মনে যে তোমারি ভালবাসার আবেগ মিশ্রিত করা আছে।


প্রেম দেবতা মদন যে বর স্বরূপ তোমায় দিয়েছে আমায়

আর তুমি আশীবিষ হয়ে দংশন করতেছ

মম ভালবাসা কে।

উত্তরোত্তর তোমায় পাবার আশে ছুটছি

আর তুমি শত ক্রোশ দূরে পালিয়ে যাচ্ছ।

নিজের বাবা- মার ভালবাসার কাছে

পরাজিত হয়ে।


আমার কি নেই হে তিলোত্তমা অঙ্গনা

অঢেল টাকা নেই তবে বেঁচে থাকার জন্য সম্বল আছে,

যশ- খ্যাতি আছে

দিনদিনে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে

তোমার ভালবাসা পেলে হয়তো উত্তরকালে আরো বাড়বে

হে তিলোত্তমা অঙ্গনা।


তোমার মনে আমার জন্য কি একবারের জন্য ভালবাসা উদ্বেল হয় না

একবারের জন্য কি উদিত হয় না প্রেমের সূর্য?

আমি উপযাচক তাই ঘূর্ণার কার্তুযে আমায় পর্যদুস্ত করতেছো

তাই কি হে তিলোত্তমা অঙ্গনা,

তুমি কি পারো না তোমার মনে প্রেমের সূর্যের

উদ্ভব ঘটাতে,

পারো না কি আমার সনে কলঙ্ক রটাতে।


আমি তোমার দেহ চাই না হে তিলোত্তমা অঙ্গনা

হে আমার দেবী,

আমি শুধু তোমার মনটা কিনতে চেয়েছিলাম

ভালবাসার বিনিময়ে ।

তুমি কত্ত ভালবাসা চাও তা অবিদিত

যদিও বা তোমার বাবা- মার মত ভালবাসা

আদর যত্ন করতে পারব না।


তবুও তোমায় ভালবাসা দিয়ে পর্যদুস্ত করতে চেয়েছিলাম

কিন্তু সেই সুযোগ দিলে না,

আবেগী বলে উপাধি দিলে

যা উপমেয় হয়ে স্বীকৃতি পেয়েছে তোমার বন্ধু মহলে?

আমি ভালবাসার ধনাত্মক হয়ে তোমার মনে ভালবাসার চার্জ

সরবরাহ করতে চেয়েছিলাম

আর তুমি ধনাত্মক হতে চাও না,

তবে কেমনে তোমার মনে ভালবাসা সঞ্চার

করব?


আমায় বলে দাও হে তিলোত্তমা অঙ্গনা

আর কত ঘূর্ণা দিয়ে পর্যদুস্ত করে রাখবে

এই আমি কে?

আমার জন্য কি একটু মায়া হয় না

একরোখা হয়ে থেক না গো তিলোত্তমা অঙ্গনা হে আমার দেবী,

একটু ভালবাসা দাও

তোমায় আমার ভালবাসার রাজ্যের সম্রাজ্ঞী বানাবো?


৭৭.

সমকামিতা সাম্যের নয়

.

 সমকামিতা সাম্যের নয়

সমকামিতায় মানবের ক্ষয়,

সাম্যের কথা বলে

যেও না সমকামিতার দলে।


সাম্য সমকামিতা এক নয়

সমকামিতায় মানবের  ভ্রুণ ধংস হয়।

সমকামিতা  রুপহীন

সমকামিতা গুণহীন

সমকামিতা যৌবনহীন মানবের। 


সমকামিতা কখনো 

প্রকৃত মানবের হতে পারে না।

সমকামিতা ভুলে

এসো মানবতা, মানবের কূলে....


৭৮.

রং নাম্বার 

.


যত্তবার তোমার মনের 

নাম্বারে কল দেই

তুমি ততবার ব্যস্ত থাকো।

তোমার মনের নাম্বারে

অনেক কলে আসে

রাকিবের কল আসে

সোহেলের কল আসে

মামুনের কল আসে

কত যে নামের রং নাম্বার ফোন দেয় তোমার মনের নাম্বারে!

তুমি তা ইয়ত্তা করতে পারো না

তুমি কাকে ঠাঁই দিবে

কাকে ভালবাসবে 

কার সঙ্গে রঙ্গ করবে

তুমি স্থির করতে পারো না।

তোমার মনের নাম্বার 

ব্যস্ত থাকুক চিরকাল,

আমি রং নাম্বার আর রিং দিবো না

আমি তো তোমার মনের নাম্বারের জঞ্জাল...


৭৯.


ভালবাসি কথাটা বলবো না আর

.

ভালবাসা চাচ্ছি না তোমার থেকে আর

তোমার মনে যে অহমিকার পাহাড়,

ভালবাসা তোমার থেকে যখন চাই

ক্রোধানলে জ্বলে তুমি ভালবাসা করো ছাই।


ভালবাসি কথাটা বলবো না আর তোমায়

একাকীত্বের সঙ্গী হয়ে কেটে দিবো সকল সময়,

আমি তোমায় ভালবেসে করিনি মহা পাপ

তোমার ছলনা মনে বাড়ায় সর্বদা উত্তাপ।



ভালবাসি ভালবাসি কথার হোক সমাপ্তি

তবুও তুমি শান্তিতে থাকো পাও সুখের তৃপ্তি,

আমি তোমায় ভালবেসে কষ্ট কে করেছি আপন

আর কোন ললনার মনে করবো না প্রেমের বীজ বপন।


ভালবাসি ভালবাসি বলে দিবো না আর ডাক

আমি জঞ্জাল চলে যাচ্ছি মন তোমার শান্তি পাক,

মনের মাঝে ভালবাসার বইবে না আর টেউ

তুমি ছাড়া এ মনে ছিল না যে আর কেউ।


৮০.


 

কেশবতী মেয়ে খুঁজে চলছি

.

কেশবতী মেয়ে খুঁজে চলছি ভাই

কেশবতী মেয়ে যে কোথাও নাই

আমার চোখে পড়ে না কেশবতী মেয়ে

যদি একটা পড়ে থাকি অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে।


কেশবতী মেয়ে করি খুব পছন্দ

কেশবতী মেয়ে আমার মনের ঠিক রাখে ছন্দ।

কেশবতী মেয়ে কে করবো ঘরের রাণী

কেশবতী মেয়ে কপালে কি আছে তা নাহি জানি।


কেশবতী মেয়ে দেখতে লাগে ভালো

কেশবতী মেয়ে মনে ফুটাবে ভালবাসার আলো,

কেশবতী মেয়ে ছাড়া চাই না কিছু আর

কেশবতী মেয়ে ছাড়া এ জীবনে নামবে আঁধার।


৮১.

চুম ঝড়

.

চুম ঝড়ে

বিধ্বস্ত হবে কি নারী?

এসো আমার কাছে

তোমার টইটম্বুর কায়া কে

মেলিয়ে ধরো

চুম ঝড়ে তোমায় বিধ্বস্ত করি।


তুমি যদি একবার

চুম ঝড়ে বিধ্বস্ত হও হে নারী

তুমি বারংবার চাইবে

চুম ঝড়?


তোমাকে এমন চুম ঝড় দিবো

যে চুম ঝড় তুমি

ভুলতে পারবে না কোন দিন,

প্রতি মিনিট, সেকেন্ড, ঘন্টা

চাইবে আমার চুম ঝড়ে বিধ্বস্ত হতে।



হে নারী যখন খুশি

তখন এসো,

তোমায় চুম ঝড়ে বিধ্বস্ত করবো।

আমি কিছু চাই না তোমার থেকে হে নারী

আমি শুধু চুম ঝড়ে

ভালবাসার নিগড়ে নারী কে বন্দি করতে চাই...


৮২.

 

নারী কে কেন বানালে সুন্দর করে

.

হে খোদা

নারী কে কেন বানালে সুন্দর করে?

আর কেন বা

নারী কে রাখো

বোরকা বস্তায় ভরে?


হে খোদা

নারী কে সুন্দর করে

বানিয়ে কি লাভ

যদি নারী কে দেখলে হয় পাপ?


হে খোদা

বুঝি না তোমার তেলেসমাতি,

নারী যদি বোরকা বস্তায় থাকে

তাহলে কেমনে প্রকটিত হবে

নারীর যৌবন- জ্যোতি?


হে খোদা

এ কেমন তোমার নিয়ম-রীতি

বুঝি না ছাই!

নারী কে সুন্দর করে বানানোর দরকার কি

যেখানে নারীর কিঞ্চিৎ স্বাধীনতা নাই।


হে খোদা

মন চায় দেই তোমায় সহস্র গালি,

গালি দিলে বলবে বেশি বোঝ আমার থেকে

পাপের খাতা বানাবে হালি হালি....


৮৩.

গোলাপী ঠোঁট

.

তোমার গোলাপী ঠোঁটে

চুমুর চুম্বক লাগাতে চাই,

এক চুমুতে সহস্র ঘন্টা

তোমার গোলাপী ঠোঁটে লেগে থাকতে চাই।


তোমার গোলাপী ঠোঁট

চুমুতে চুমুতে স্যাঁতস্যাঁতে করতে চাই,

তোমার গোলাপী ঠোঁটে

আমার চুমুর দখলদারি চাই।


তোমার গোলাপী ঠোঁটে

চুমুর ঝড় বয়ে দিতে চাই,

যে চুমতে তোমার গোলাপী ঠোঁটে

রঙ্গ হবে নাই।


তোমার গোলাপী ঠোঁটে

চুমুতে চুমুতে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে চাই,

যে বিদ্যুতে তোমার আমার - শরীর

জোড়া লেগে কামনায় হবে ছাই।


৮৪.

অভাগা প্রেমিক

- ফাইয়াজ ইসলাম ফাহিম

অকপটে সেদিন স্বীকার করেছিলে তোমায় বড্ড ভালবাসি,

অকর্মা ছিলাম তাই আমায় ছেড়ে চলে গেলে

অকল্পিত ভাবে।


অকল্যাণকর ছিলাম হয়তো

অকালকুসুম স্বপ্ন ছিল আমার তাই এমন সাজা।

অংশু ছিলে তুমি আমার ভালবাসার

অকালে ভালবাসায় নামালে আধার।



অকুণ্ঠিতমনে বারংবার দারস্থ হলাম তোমার প্রেম দরজায়,

অকুলদরিয়ায় ঠেলে দিলে তুমি নাকি আমায় ভালবাস না আর।


অকৃপণ আমি তাই ছেড়ে দিলাম তোমায়

অক্ষমতা ভেবো না তুমি আমার।

অক্ষুণ্ণ রাখতে চাই ভালবাসার সম্মান

অখন-তখন আর বিরক্ত করবো না,

অগণিত ভালবাসার হোক তিরোধান.....


৮৫.

আকুঁপাঁকু করে মন

.

আকুঁপাঁকু করে মন তোমার জন্য

আঁতাতঁ করতে চাই শতবার কিন্তু তোমার মন বন্য,

আঁতলামো করে সেদিন বলেছিলাম তোমায় ভালবাসি

আইনকানুন জানি নাই প্রেম নিবেদনের তোমার কি হাসাহাসি।


আউলা মন আমার কখন কি বলে

আকস্মিক তোমায় দেখে সব গিয়েছিলাম ভুলে।

আকাঙ্ক্ষা আমার তুমি হবে ঘরণী

আকারইঙ্গিত ভালো না তোমার

আকাশচুম্বী মন তোমার এখনো টলেনি।


আকুল মন শোনে না কোন বারণ

আগুন ছড়িয়েছে মনে তুমি যে তার কারণ,

আজাদ চাই মনে শান্তি চাই

আদর- ভালবাসার বিনিময়ে তোমার মনে দিও ঠাঁই,

আদেশনামা পালন করবো তোমার করবো না ধানাইপানাই...


৮৬.

প্রেম দেবী

.

হে প্রেমদেবী

আমি তোমার ভালবাসা চাই

আমি তোমার কাছে আসিতে চাই

তোমায় স্পর্শ করিতে চাই!

তোমায় আলিঙ্গন করতে চাই!

তোমার টইটম্বুর যৌবন তটনীতে

কায়া ভাসিয়ে স্নান করিতে চাই?

তোমায় আদর করিতে চাই

তোমায় আপন করে পেতে চাই

তোমার ওষ্ট,ললাট,ফুলকি গালে

চুম্বন করিতে চাই!

তোমার বুকে ভালবাসার নিক্কন সৃষ্টি করতে চাই

তোমার সারা অঙ্গ ছুঁয়ে দিতে চাই!

হে প্রেম দেবী আমায় ভুল বোঝ না

আমায় নিরাশ কর না,

তোমার মোহডোর জায়গা দাও!স্থান দাও!

আ-জীবন তোমায় যুবজানি করে রাখব?


৮৭.

চুমুর ভোট

.

তোমার ঠোঁটে

চুমুর ভোট দিতে চাই,

একটা, দুটো ভোট দিতে

পারবো না আমি

কমপক্ষে হাজার দশেক।


চুমুর ভোটে

তোমার ঠোঁটে

আ-জীবন

যেন দখলদারি করতে পাই।


তাই তোমার ঠোঁটে আজ

ভোট দিতে চাই,

লালার কালিতে

তোমার ঠোঁট সর্বদা উজ্জ্বল রাখতে চাই।


তাই আজ ভোট দিতে চাই

চুমুর ভোট

কমপক্ষে হাজার দশেক,

এই ভোট দিয়ে

তোমার শরীরের প্রত্যেক

অঙ্গ- প্রত্যঙ্গ জয় করতে চাই।

পায়ের কনিষ্ঠ আঙ্গুল থেকে

মস্তিষ্কের কেশদামের আগা পর্যন্ত।


৮৮.

 

হে ব্যর্থতা তোমায় সম্মান করি

.

আমি যতবার ব্যর্থ হই

ততবার জিতে চাই,

ব্যর্থতা আমায় ভুল বুঝিয়ে দেয়

আপন -পর চিনিয়ে দেয়

ব্যর্থতা আমায় শক্তি দেয়

ব্যর্থতা আমায় মনুষ্য সর্প কে

দেখতে দেয়।

ব্যর্থতা আমাকে সামনে অগ্রসর হতে

অনুপ্রেরণা দেয়।

ব্যর্থতা আমার জয়ের বাসনা কে দীপ্ত করে তোলে।

আমি কখনো ব্যর্থ হই না

যতবার ব্যর্থ হই

ততবার জয় আমার সঙ্গে মিত্রতা করতে আহ্বান করে।

আসলে আমি কখনো ব্যর্থ হই না

যতবার ব্যর্থ হই,

ততবার শক্তি পাই

জয়ের পথ খুঁজে পাই।

হে ব্যর্থতা তোমায় সম্মান করি

তুমি আমার সফলতার একমাত্র পথ....


৮৯.

চাঁদকন্যা

.

চাঁদকন্যা শুনছো কি মোর হাঁক

তোমার আলায় ঝলসে গেছি

অন্তরে পড়েছে প্রেমের দাগ।


চাঁদকন্যা তুমি কেনো এ ভূলোকে

তুমি তো থাকবে দূলোকে,

হে চাঁদ কন্যা তুমি কিসে ভূলোক করছো ভ্রমা

তোমার মা চাঁদ রাণী করবে কি তোমায় ক্ষমা?


তোমার রূপের আলায় ঝলসে গেছে

অনেক যুবার কায়া,

লাজ- শরম নেই কি তোমার

কিসে বাড়াও মেকি মায়া।


বীতশ্রদ্ধ হয়ে যাবে তুমি ক্ষয়ে

তোমার মা চাঁদরাণী আছে সেই ভয়ে,

তোমার রূপের আলায়

অনেকে হয়েছে অন্ধ

তোমার পাবার আশে নিত্য মনুষ্য করছে দ্বন্দ্ব।


হে চাঁদকন্যা ফিরে যাও তোমার মা চাঁদরাণীর কাছে

তোমায় নিয়ে চিন্তায় বিভোর ঘুম নাহি তার আসে।

হে চাঁদ কন্যা হয়োও নাকো তুমি পামর

আমি তোমার পাবন্দ

বেঁচে থাকো হয়ে অমর।


হে চাঁদকন্যা অনেক তুমি পারঙ্গম

তোমার কাছে মামুলি আমি

নই তোমার সম।

হে চাঁদ কন্যা নিগূঢ় হয়ে থেক

মনুষ্য জাতির কাছে,

তোমার প্রেম পাবার আশে

অনেকে নিতুই যাচে।


হে চাঁদ কন্যা হয়োও নাকো গৃধিনী

নচেৎ এ ভুলোক হারিয়ে যাবে রাজত্ব করবে শনি,

জে চাঁদ কন্যা ফিরে যাও তোমার মা চাঁদকন্যার কাছে

তোমার অপেক্ষায় মাতোয়ারা হয়ে সে যে আছে...

৯০.

প্রথম প্রেম

.


প্রথম প্রেম জায় না ভোলা

প্রথম প্রেম রাখে না ভালা

প্রথম প্রেম সর্বাঙ্গের জ্বালা

প্রথম প্রেম কষ্টের মালা।


প্রথম প্রেমে নেই সুখ

প্রথম প্রেমে সবর্দা দুঃখ

প্রথম প্রেম ভাঙ্গে বুক

প্রথম প্রেম অতীতের চুম্বক। 


প্রথম প্রেমে থাকে না টাকা

প্রথম প্রেমে পকেট ফাঁকা

প্রথম প্রেমে বয়স কাঁচা

প্রথম প্রেমে থাকে আশা।


প্রথম প্রেম আবেগের হয়

প্রথম প্রেম ভাঙ্গে ভয়

প্রথম প্রেম শান্তিময়

প্রথম প্রেমে প্রতিজ্ঞা নয়-ছয়...


৯১.


লাল টিপ

.


লাল টিপ নারীর রুপ বাড়ায় 

লাল টিপ ধর্মান্ধ তাড়ায়,

লাল টিপ নারীর যৌবনের আলা

লাল টিপ নিয়ে করো না খেলা।


লাল টিপে নারীর নারীত্ব বাড়ে

লাল টিপে নারীর জড়তা হারে,

লাল টিপ নারীর স্বাধীনতার চিহ্ন 

লাল টিপ পরা নারী নারী থেকে ভিন্ন।


লাল টিপ পরা নারী ধর্মের খোলস পরে না,

লাল টিপ পরা নারী তো মানুষ তা কেন বোঝ না?

লাল টিপ পরা নারী বাঙালির সংস্কৃতি করে বহন

লাল টিপ পরা নারী পরাধীনতা করে দহন।


লাল টিপ নারী পরলে সমস্যা কই

লাল টিপ নিয়ে কেন এ্যাত্ত হৈ-চৈ! 

লাল টিপ নারীর বাড়ায় শক্তি 

লাল টিপ মানুষের দূর করে বিভক্তি...  

৯২.

উষ্ণ বালিকা

.


উষ্ণ বালিকা

প্রেমের চালিকা

যৌবনের শক্তি

যে বালিকা উষ্ণ

তারে পুরুষ করে ভক্তি।


উষ্ণ বালিকার উষ্ণতায় 

যায় পুরুষের মন পুড়ে,

উষ্ণ বালিকায়

পুরুষের স্বর্গ-নরক

তাই ডাকে তারে প্রেম সুরে।


উষ্ণ বালিকা ছাড়া

জমে না পুরুষের প্রেম,

উষ্ণ বালিকা পুরুষের

সেরা পছন্দ 

যদিও পছন্দ নারী ফ্রেম।


উষ্ণ বালিকা

পৃথিবীর সব,

উষ্ণ বালিকা ছাড়া

যৌবন ঢব।


উষ্ণ বালিকার জন্য 

পুরুষ করে সকল কাম,

উষ্ণ বালিকা না থাকলে 

থাকতো না পুরুষ

থাকতো না পৃথিবী

থাকতো কোন কিছুর দাম...


৯৩.

হে ললনা তোমার দেহ কারখানা সতেজ রাখো

.


হে ললনা তোমার দেহ কারখানা

সতেজ রাখো,

তোমার দেহ কারখানার

উৎপন্ন যৌবন সঞ্চারিত রাখো।

আমি তোমার দেহ কারখানার

একমাত্র ক্রেতা হয়ে থাকতে চাই আজীবন।


তোমার দেহ কারখানায়

উৎপন্ন যৌবন কোথাও বিক্রি করবে না,

তোমার দেহ কারখানায়

যৌবন উৎপন্ন হলে সঙ্গে সঙ্গে বলবে

আমার ভালবাসা দিয়ে

তোমার দেহ কারখানার সমস্ত

যৌবন ক্রয় করব।


তোমার দেহ কারখানার

কোন যৌবন কে রেহাই দেব না,

তারা ব্রিক্রি না হতে চাইলেও

আমার ভালবাসা দিয়ে তাদের জোর করে

ক্রয় করবো।


হে ললনা তোমার দেহ কারখানা সতেজ রাখো,

পারলে তোমার উৎপন্ন যৌবন নিত্য বিক্রি করো

আমার ভালবাসার কাছে

আমি তোমার যৌবন কে ক্রয় করবো সব সময়

কারণ তোমার দেহ কারখানার উৎপন্ন যৌবন

আমার সবচেয়ে প্রিয় পণ্য....


৯৪.

প্রেমময় নারী

.

ঘুঙুর তোমার পাদপদ্ম কোমলে

চুম্বন দিচ্ছে,

লাল লিপিস্টিক 

তোমার চঞ্চু কে রাঙাচ্ছে।


কাজল তোমার নেত্র

কৃষ্ণাভ করে তুলছে,

তোমার নাসিকা

ভালবাসার সুঘ্রাণে মাতোয়ারা হচ্ছে।


তোমার বক্ষের জলে

শ্বেতপদ্ম

দোল খেলছে

তোমার ভ্ররু চন্দ্র'র

ভঙ্গিমায় প্রেম কে রাগাচ্ছে।


তোমার পিঠ

ভালবাসার দেয়ালিকা

এঁকেছে।


তোমার স্কন্ধ

প্রেমের প্রেমের পর্বত তৈরি করেছে।


তোমার কর্ণ

প্রেম বিঙ্গের মিষ্টি সুর শুনছে,

তোমার কলিজায়

প্রেমের ভূমিকম্প হচ্ছে?


তোমার ফুসফুস

মিলেনের আশায়

ফুঁসছে,

তোমার বুকের পাজর

আলিঙ্গন করতে আহ্বান করছে।


তোমার মস্তিষ্কে প্রেমের

ঝড় বইছে,

তোমার কেশ

প্রেমের নেশায় আলুথালু হয়ে আছে।


তোমার মাজায়

প্রেমের বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে,

তোমার শরীরের লোম

ভালবাসার সুখে

দাঁড়িয়ে আছে।


তোমার হস্ত প্রেম রসিক কে

টানছে,

তোমার মন নতুন

প্রেমের বীজ বুনছে। 

৯৫.

প্রেমময় নারী

- ফাইযাজ ইসলাম ফাহিম

ঘুঙুর তোমার পাদপদ্ম কোমলে

চুম্বন দিচ্ছে,

লাল লিপিস্টিক 

তোমার চঞ্চু কে রাঙাচ্ছে।


কাজল তোমার নেত্র

কৃষ্ণাভ করে তুলছে,

তোমার নাসিকা

ভালবাসার সুঘ্রাণে মাতোয়ারা হচ্ছে।


তোমার বক্ষের জলে

শ্বেতপদ্ম

দোল খেলছে

তোমার ভ্ররু চন্দ্র'র

ভঙ্গিমায় প্রেম কে রাগাচ্ছে।


তোমার পিঠ

ভালবাসার দেয়ালিকা

এঁকেছে।


তোমার স্কন্ধ

প্রেমের প্রেমের পর্বত তৈরি করেছে।


তোমার কর্ণ

প্রেম বিঙ্গের মিষ্টি সুর শুনছে,

তোমার কলিজায়

প্রেমের ভূমিকম্প হচ্ছে?


তোমার ফুসফুস

মিলেনের আশায়

ফুঁসছে,

তোমার বুকের পাজর

আলিঙ্গন করতে আহ্বান করছে।


তোমার মস্তিষ্কে প্রেমের

ঝড় বইছে,

তোমার কেশ

প্রেমের নেশায় আলুথালু হয়ে আছে।


তোমার মাজায়

প্রেমের বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে,

তোমার শরীরের লোম

ভালবাসার সুখে

দাঁড়িয়ে আছে।


তোমার হস্ত প্রেম রসিক কে

টানছে,

তোমার মন নতুন

প্রেমের বীজ বুনছে। 


৯৬.

স্পর্শ


.

হে নারী তুমি কষ্টের প্যারোটিড গ্রন্থি থেকে কিছু বিষ

এনে দাও!

আমি মরতে চাই

তবে কিছু ভালবাসা মাখিয়ে এনো?


তোমার বক্ষের সরোবর থেকে

কিছু সফেদ জল দিও,

বিষ গুলিয়ে নাও্ 

একটু ওষ্ঠের লালা মিশিয়ে

বিষ গুলো কে মিষ্টি করে দাও?


বিষ খেতে যেন কষ্ট না হয়

কিছু সময়ের জন্য

স্বর্গীয় সুখ পাবো, 

যদিও আজীবন নরকে থাকবো।


তোমার বজ্র কন্ঠের কিছু বচন শুনিও

অতি সহজেই যেন মরতে পারি,

তোমার পাদপদ্ম দিয়ে বক্ষে চাপা দিও

বক্ষে যেন ভূমিকম্প না হয়?



আমি তো চলেই যাচ্ছি তোমার প্রকীর্ণ 

জীবন থেকে,আর হ্যাঁ

তোমার দীঘল কিছু কেশ দিয়ে 

আমার হস্ত- পা বেধে রেখ

আমি যেন কুর্দন করতে না পারি?


আমি মরার পরেও সুখ অনুভব করবো 

আমার ভালবাসার মানুষের অঙ্গ

একবার হলেও আমায় স্পর্শ করেছে?

৯৭.

তোমার মনের নাম্বার দাও?

.

তুমি কি শুনতে পাও মোর আর্তনাদ

হে দেবী,হে আমার প্রেমাস্পদা,

আর কতবার বলবো

তোমার মনের নাম্বার দাও?


ভালবাসার ফোনে কোন নাম্বার নেই

তাই চেয়েছিলাম তোমার মনের নাম্বার

সর্বদা সেভ করে রাখতাম

কখনো ডিলেট করতাম না?


হে আমার প্রেমাস্পদা,

হে আমার দেবী

দাও তোমার মনের নাম্বার 

ভালবাসার কিছু কথা বলবো তোমায়?


এভাবে চুপটি করে থাকো না দেবী

ভালবাসার ব্যালেন্স এর মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে, 

জলদি দাও তোমার মনের নাম্বার

আমি ভালবাসার ফোনে কথা বলবো?


৯৮.

প্রেমের পরোটা


পরোটা বানাবে বলে সেই যে কবে চলে গেল প্রিয়সী 

এখনো দেখা নেই,

পরোটার মাঝে নিজেকে ম্লান করলো 

না কি গরম স্টোভে নিজেকে ভস্ম করলো?


সেই কবে যে গেল পরোটা বানাতে

এখন হল না পরোটা বানানো!

পরোটার ভাঁজে কি

না অন্য কারো বক্ষে মিশে গেছি প্রিয়সী ?


পরোটা বানাবে বলে সেই কবে চলে গেল

ঘন্টা,প্রহর পেরিয়ে গেল

গোধূলী বিকেল হল,

তবুও প্রিয়সীর পরোটা বানানো হলো না।


প্রিয়সী বু্ঝি প্রেমের পরোটা বানায়

তাই তার দেখা নেই,

প্রেমের পরোটা বিক্রি হচ্ছে খুব

সখার খোজ রাখার ফুসরত নেই হয়ে আছে নিশ্চুপ।

৯৯.

সেই মেয়েটি

.


সয়ম্ভু মনে অনুরাগের বীজ জন্মেছিল

সেই মেয়েটির হস্তের লাল,নীল,হরিদ্রা,কঙ্কণ দেখে

মনে হ-য-ব-র-ল অবস্থা বিরাজ করেছিল

এমন হেমাঙ্গ হস্ত আজ অবধি দেখিনি?


প্রেমাস্পদা ভেবে তার চন্দ্রানন বদনখানি দেখতে চেয়েছিলাম

কিন্তু তা আর হল নাবহ্বারম্ভে লঘুক্রিয়া প্রকটিত হল!

প্রাঞ্জল ভাষা রুক্ষ হল হেঁজিপেজি ভেবে

জাত্যভিমানের হুঙ্কার ছাড়ল

নিজেকে হামবড়া ভাবতে লাগল।


তার মদগর্ব দেখে মদীয় মনোরথ ক্ষুণ্ন হলমর্মপীড়া স্ফীত হতে লাগল

মস্তিষ্কের শিরা-উপশিরায় উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়তে লাগল।

প্রেম দেবতা মদনের কাছে অর্চনা করলাম

আমায় সেই মেয়েটির সঙ্গে যোজনা করে দিন,হে বৎস তুমি ওর জীবনে বরাহূত তাহলে আমি কি সেই মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে পারব না প্রেম দেবতা মদন কোন রা' করল না তৃষ্ণীম্ভাব করলেন।


সেই মেয়েটিকে দেখার তরে মন অস্থির হয়ে উঠল কিন্তু অদৃষ্টের

পরিহাস প্রেম দেবতা মদনও কিছু করতে পারল না,

রায়বাঘিনীর রুদ্রলীলায় পর্যদুস্ত হলেন

সেখানে আমি তথা মদীয় পাগল মন কি করবে।


মন বারংবার বিদ্রোহ করে

সেই মেয়েটিকে দেখার তরেকিন্তু, 

কিছুই করতে পারি না ও যে রায়বাঘিনী

তাই বাধ্য হয়ে মনের সঙ্গেখন্ড যুদ্ধে লিপ্ত হই,কখনো

সকালে,কখনো বৈকালে,কখনো ভোরে যুদ্ধ করি,কখনো মন

জয়লাভ করে কখনো বা আমি...


১০০.

কোটি চুমু ঘুমিয়ে আছে

.


আমার কোটি চুমু ঘুমিয়ে আছে

তোমার জন্য,

তুমি কবে আসবে

কবে জাগ্রত করবে চুমু গুলো কে? 


তোমার ভালবাসা না খেয়ে

ওরা বড্ড অসুস্থ,

চুমুর কোন জোর নেই

দিনে দিনে চুমুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে।


হে মনোহারিণী আমার চুমু গুলো কে

ভালবাসার সিরাপ খাইয়ে দাও,

আমার চুমু গুলোকে

তোমার শরীরের ভালবাসা কে ছুঁইতে দাও।


হে মনোহারিণী তোমার শরীরেরর ভালবাসা উন্মোচন করে দাও,

আমার চুমু গুলো তোমাকে চুমতে থাকুক

আর জাগ্রত হতে থাকুক.....     


১০১.

নিঃসঙ্গ


.

হে তিলোত্তমা অঙ্গনা হে আমার

 তুমি আমার প্রেমের পৃথিবী ছিলে

তোমাকে ঘিরে আমি আবর্তিত হতাম,

তোমাকে ঘিরে আমি সতত আবর্তিত হতে চেয়েছিলাম

তোমার জন্য আমি অন্য প্রেম গ্রহ -উপগ্রহ কে

কম আলা দিয়েছি।

বড্ড আশা ছিল তোমাকে সতত আলা দিয়ে যাবো

কিন্তু পারলাম না হে আমার তিলোত্তমা।


তোমার প্রেম পৃথিবী আমার আলা নিতে চায় না

সে নাকি আমায় সহ্য করতে পারে না,

তুমি জানো কি কবিতা

তোমার প্রেম পৃথিবীর জন্য

কত প্রেম গ্রহ-উপগ্রহ কে সে  অপমান করেছি

কত প্রেম তারকা কে আমার ক্ষক পথ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছি।


তুমি কি জানো তিলোত্তমা

কত সংগ্রাম যুদ্ধ আমায় করতে হয়েছে,

তোমার জন্য আমার মাতা আলো দেবী কে অপমান করেছি

তোমার জন্য তার কথা কে মান্য করেনি

তোমার জন্য আমার প্রতিবেশীদের কাছ থেকে উপহাসিত হয়েছি।


তবুও তোমাকে ঘিরে আবর্তিত হতে চেয়েছিলাম

কারণ তুমি আমার প্রেমের পৃথিবী ছিলে,

তোমাকে আলা দিতে ভালো লাগত

তুমি অহংকারী ছিলে

আমি অহংকারীকে কে পছন্দ করি।


অন্য প্রেম গ্রহ-উপগ্রহ কে আলা দিতাম না

তারা সহজেই আমার প্রেমে পড়ে যায়,

তারা সহজে আমার প্রেমের আলা পেতে চায়

কিন্তু তাদের কেমনে আলা দেই বলো

আমি তো অহংকারী প্রেম পৃথিবী কে ভালবাসি।


কিন্তু পারলাম তোমায় সতত আলা দিতে

তোমার প্রেমের পৃথিবী অনেক প্রেম গ্রহ-উপগ্রহের সনে সংযুক্ত ছিল,

যখনি তোমায় আলা দিতে যাই

যখনি তোমার প্রেম পৃথিবীর বাটন কে চাপি আলো দিতে

তোমার প্রেমের পৃথিবীর সঙ্গে সংযুক্ত হতে চাই

তখনি তোমার প্রেম পৃথিবী ব্যস্ত থাকে।


আলা দিতেই পারি না তোমার প্রেম পৃথিবী

অপরের সঙ্গে মত্ত হয় মধুর আলাপনে,

আমি বারংবার তোমায় ব্যস্ত পাই।


তোমার প্রেম পৃথিবী আমার আলা কে উপেক্ষা করতে করতে একদিন

সত্যি আমার আলা নিতে আগ্রহ হয়,

আমার পাশে সতত থাকার অঙ্গীকার করেছিলো

আমাকে ভালবেসে ছিল।


কিন্তু বর্তমান তোমার প্রেম পৃথিবী চেঞ্জ হয়ে গেছে

এখন সবার সঙ্গে সংযুক্ত রাখে

সবাই কে আপন ভাবে

কি দোষে তোমার পৃথিবী আমার আলা নিতে চায় না

আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চায় না

তা আমার অবিদিত।


তোমার প্রেম পৃথিবী মত কোরে অন্য কোন গ্রহ -উপগ্রহ কে ভালবাসিনি

অন্য কাউকে এ্যাত্ত প্রাধান্য দেইনি,

অন্য কাউকে এ্যাত্ত আলা দেইনি

অন্য কাউকে এ্যাত্ত ভালবাসিনি হে আমার তিলোত্তমা

আজ বড্ড কষ্ট হচ্ছে নিজেকে সব থেকে

বড় অসহায় মনে হচ্ছে,

পাশে এ্যাত্ত প্রেম গ্রহ - উপগ্রহ কিন্তু কাউকে

আমার আলা দিতে পারছি না।


আমার আলা গুলো তোমার প্রেম পৃথিবী কে আলা

দিতে দিতে তোমার প্রেম পৃথিবীর দাসে পরিণিত হয়েছে,

অন্য কোন প্রেম গ্রহ-উপগ্রহের কাছে থাকতে চায় না

যেতে চায় না।

অন্য কোন গ্রহ-উপগ্রহ কে আলা দিতে চাইলে

ঘুরে- ফিরে তোমার কাছে যায়,

কিন্তু তোমার কাছে যেতে পারে না

তোমার প্রেম পৃথিবীর দ্বার বন্ধ হে কবিতা

আমার আলা নষ্ট হয়ে যায়

নীলিমার বুকে খেলা খেলে।


তোমার প্রেম পৃথিবী কে ভালবাসার জন্য অন্য প্রেম গ্রহ - উপগ্রহ গুলো

আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে কেউ আর আমার আলা নিতে চায় না।

এক সময় যে প্রেম গ্রহ উপগ্রহ গুলো আমার আলো পাবার জন্য

ব্যস্ত ছিল তারাই আজ

আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে

কেউ আমার আলা নিতে চায় না?

সকল প্রেম গ্রহ উপগ্রহ গুলো আলাবিহীন অবস্থায় থাকতে চায়

কিন্তু কেউ আমার আলা নিতে চায় না

সবাই আজ প্রেম পৃথিবীর কথা বলে উপহাস করে।


তোমার জন্য আমার মা আলাদেবী

ঈশ্বেরের কাছে নিন্দিত,

তোমার জন্য আমি সবার কাছ থেকে

কটুকাব্য শুনি।

তুমি কি জানো কবিতা তোমার জন্য আজ আমি ঠিক মত কোরে

আবর্তিত হতে পারি না,

তোমার জন্য আমি মহাশূন্যে একা

কেউ আর আমার সাহায্য নিতে চায় না হে কবিতা।


কেউ আর আমার আলার জন্য করুণা করে না

কেউ আর আমার আলার জন্য বার্তা পাঠায় না,

এখন আমি যেন করুণার পাত্র হয়েছি

আলা নিবেন আলা নিবেন বলে আজ মহাশূন্যের রাজপথে

পায়চারী করতে হয়।

কিন্তু আলা নেওয়ার কোন গ্রাহক খুঁজে পাই না

আমি কাকে ঘিরে আবর্তিত হবো সেই গ্রহ - উপগ্রহ

খুঁজে পাচ্ছি না।

.

তোমার জন্য আমার মা আলাদেবী আমার সব আলা

কেড়ে নিয়েছে,

তোমার জন্য আমার মা আলাদেবী

আজ মানসিক ভাবে অসুস্থ

ঈশ্বর আমার থেকে আলো নিতে তাকে বাধ্য করেছিল?

তুমি কি জানো কবিতা আমি কতটুকু অসহায়

মহাশূন্যে আমি পাগলের মত কোরে ঘুরছি,

শত কোটি সহস্র মাইল পদব্রজ করি

কিন্ত কাউকে পাই না।


আমি যেন সত্যিকারের পাগল হয়েছি

তাই তোমার প্রেম পৃথিবী কে আর কখনো আলা দিতে পারব না,

আমি আর কখনো কাউকে ঘিরে আবর্তিত হতে পারব না

আমার সমস্ত শক্তি আমার মা আলাদেবী কেড়ে নিয়েছে।

হে তিলোত্তমা অঙ্গনা হে আমার কবিতা

তুমি আর কভু আমাকে তোমার প্রেম পৃথিবী কে ঘিরে আবর্তিত হতে বলো না,

আমার আর তেজ নেই

আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি.....


১০২.

তুমি নিজেই কবিতা

.


তুমি নিজেই কবিতা

তোমাকে নিয়ে লিখব কি,

মন চায় সর্বক্ষণে তোমায় পড়ি

কিন্তু তোমাকে পড়ে দেখার

আমার অধিকার নেই।


আমি তো তোমায় পড়তে পারবো না

আমি যে লাইসেন্স প্রাপ্ত তোমার কেউ নই,

বড্ড আশা ছিল তোমায় পড়ে দেখার

কিন্তু সেই সৌভাগ্য তোমার বরের হয়েছে।


তোমার বর তোমাকে পড়ে দেখেছে

তুমি কবিতা কত মিষ্টি,

আমি হয়তো তোমায় কখনো পড়তে পারবো না

কারণ আমি যে লাইসেন্স প্রাপ্ত তোমার কেউ নই

যে তুমি কবিতা কে পড়বো.....


১০৩.

নারী তোমাকে দেখলে?

.


নারী তোমাকে দেখলে আমার উন্মাদনা বেড়ে যায়,

নারী তোমাকে দেখলে আমার

হায়া মরে যায়।


নারী তোমাকে দেখলে আমার

ভালবাসা উন্মীলিত হয়,

নারী তোমাকে দেখলে

আমার কষ্ট হয়ে যায় ক্ষয়।


নারী তোমাকে দেখলে

আমি নারী বেহেশত খুঁজে পাই,

নারী তোমাকে দেখলে

আমার সকল চিন্তা হয়ে যায় নাই।


নারী তোমাকে দেখলে

আমি শান্তি পাই,

নারী তোমাকে দেখলে

আমি বেঁচে থাকার শক্তি পাই.....   


১০৪.

যশোহর কন্যা 


.

আমি তোমায় ক্ষমা করে দিয়েছি  হে তিলোত্তমা যশোহর কন্যা

তবে নিজেকে ক্ষমা করতে পারিনি

আমি তো তোমার ভালবাসায় অভিশপ্ত

নিজেকে ক্ষমা করি কেমনে?


তবে আমি আজও কিসে সারমেয়'র মতো করে তোমার পিছে

ছুঁটছি তা অবিদিত

ও ছুটবো না কেন সাড়ে চার বছরের সম্পর্ক

গভীর রাতে স্মৃতিগুলো মম মন কে তারা উদ্বেল করে তোলে।


হাজার হাজার ম্যাসেজ মস্তিষ্কে সাইরেন বাজায়

শত শত মিনিট কর্ণে প্রেমের মাইক বাঁজায়,

তোমার অদ্ভুদ হাসি

বক্ষে প্রেমের বোমা নিক্ষেপ করে।


তোমাকে নিয়ে লেখা সাড়ে তিনশতাধিক কবিতা

গুলো ভালবাসার আর্জি  জানায়,

তোমার মন দরগায় যেতে

বারংবার ইচ্ছা পোষণ করে।


সাত বার ব্লক সাত বার ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট

মম ভালবাসা কে দৃঢ় করে,

তোমার অভদ্রতা তোমার অহংকার আমার প্রেম চোখের

রঙিন চশমা ছিল।


গাজীপুর ভাওয়াল রাজবাড়ি'র বিশ্রামাগার জানে

জয়দেবপুর রেলওয়ে ষ্টেশন জানে

ফুল কন্যা গোলাপ জানে

প্রেমিকদের খাদ্য পিঁজ্জা, বার্গার জানে

গাজীপুরের রাজপথ জানে

আমি তোমায় কত্ত ভালবাসি।


এখন শুধু আমি আর তুমি জানি না

কে কাকে ভালবাসি,

বড় আশ্চর্য তুমি আর আমি

হে ভালবাসা  তুমি এখনো জীবন্ত আমার কবিতায়

তবে কে কাকে বেশি ভালবাসে তুমি নিজেই  সাবুত করে নিও

আমি আজ থেকে সত্যি যশোহর কন্যা কে মুক্তি দিলাম

তুমি যশোহর কন্যার দেখভাল করিও?


১০৫.

আমি নারী কে নিয়ে ভাবি

.

আমি নারীর কথা ভেবে হারিয়ে যাই চিন্তার দেশে

আমি নারীর সৌন্দর্য নিয়ে ভাবী

আমি নারীর বক্ষের  সফেদ গম্বুজ নিয়ে ভাবি

গম্বুজের ভিতরের জলের তরঙ্গ নিয়ে ভাবি?

আমি নারীর চোখ নিয়ে ভাবি

নারীর চোখের তারকায় প্রেম স্বপ্নের খেলা দেখি

যৌবনের জলন্ত অগ্নিপিন্ড দেখি।


আমি নারীর ভ্রু নিয়ে ভাবি

ভ্রুরু'র লোমে প্রেমের তেজস্ক্রিয়তা দেখি

আমি নারীর দীঘল কেশ নিয়ে ভাবি

দক্ষিণা হাওয়ার স্পর্শ দেখে কেশের নৃত্য দেখি

কেশ ছুড়িতে যুবকের বক্ষ ছেদ হতে দেখি।


আমি নারীর নাসিকা নিয়ে ভাবি

নাসিকার মৃদ্যু গরম হাওয়া নিয়ে ভাবি,

সঙ্গমের উচ্ছ্বাসের তীব্রতা দেখি

আমি নারীর দন্ত নিয়ে ভাবি

দন্তের চিকনাইয়ে প্রেমের সজীবতা দেখি।


আমি নারীর নাভি নিয়ে ভাবি

নারীর নাভিতে প্রেমের স্লোগ্লান থেকে ভেসে আসা কার্তুযের ছিদ্রের কথা ভাবি।

আমি নারী নিয়ে ভাবি

আমি নারীর নাভির নিচে দু আঙ্গুল গভীর যোনিপথের কথা ভাবি

আমি নারীর কথা ভাবি

নারীর যোনিপথে সুখ মিশ্রিত  কষ্ট দেখি

শত আঘাতে যোনির সজিবতা দেখি।


আমি নারী নিয়ে ভাবি

নারীর কোমল হস্ত নিয়ে ভাবি,

নারীর কোমল হাতের থাপ্পর খাবার আশায়

কবে বিভর হবো সেই আশা করে থাকি।


আমি নারী কে নিয়ে ভাবি

নারীর মাজার বিদ্যুত চমকানি দেখে

মম কামনা কে আহত হতে দেখি।

আমি নারী কে নিয়ে ভাবি

আমি নারীর মন নিয়ে ভাবি

কিন্তু নারীর মনের কোন খুঁজে পাই না

নারীর মনের স্থিরতা দেখি না,

শুধু দেখি নারীর মন ছুটছে

নারীর মন শত যুবার মন লুটছে


আমি নারী নিয়ে ভাবি

কিন্তু নারীর মন কেমনে স্থির থাকবে

খুঁজে পাই না সেই চাবি,

আমি নারী কে নিয়ে ভাবি

নারীর মন নিয়ে ভাবি

কখন জানি নারীর মন

অন্য পুরুষের প্রেম পুকুরে খায় খাবি?


আমি নারী কে নিয়ে ভাবি

আমি নারীর স্বভাব নিয়ে ভাবি,

যার টাকা আছে যশ আছে

তার কাছেই আছে নারীর মন স্থির করার চাবি

আমি নারী কে নিয়ে ভাবি?


১০৬.

স্পর্শ


.


হে নারী তুমি কষ্টের প্যারোটিড গ্রন্থি থেকে কিছু বিষ

এনে দাও!

আমি মরতে চাই

তবে কিছু ভালবাসা মাখিয়ে এনো?


তোমার বক্ষের সরোবর থেকে

কিছু সফেদ জল দিও,

বিষ গুলিয়ে নাও্ 

একটু ওষ্ঠের লালা মিশিয়ে

বিষ গুলো কে মিষ্টি করে দাও?


বিষ খেতে যেন কষ্ট না হয়

কিছু সময়ের জন্য

স্বর্গীয় সুখ পাবো, 

যদিও আজীবন নরকে থাকবো।


তোমার বজ্র কন্ঠের কিছু বচন শুনিও

অতি সহজেই যেন মরতে পারি,

তোমার পাদপদ্ম দিয়ে বক্ষে চাপা দিও

বক্ষে যেন ভূমিকম্প না হয়?


আমি তো চলেই যাচ্ছি তোমার প্রকীর্ণ 

জীবন থেকে,আর হ্যাঁ

তোমার দীঘল কিছু কেশ দিয়ে 

আমার হস্ত- পা বেধে রেখ

আমি যেন কুর্দন করতে না পারি?


আমি মরার পরেও সুখ অনুভব করবো 

আমার ভালবাসার মানুষের অঙ্গ

একবার হলেও আমায় স্পর্শ করেছে?


১০৭.

পঙ্কিল ভালবাসা

.


হে অর্থগৃধ্নু বনিতা ভালবাসা না দাও

তবে তোমার কেশ গুলো দাও,

তোমার অকিঞ্চন প্রেমিক মরতে চায়

পঙ্কিল ভালবাসা থেকে মুক্তি পেতে চায়।


তোমার অকিঞ্চন প্রেমিকের পকেটে

একটি কড়িও নেই যে বাজার থেকে রশ্মি কিনে

আহুতি দিবে তোমার পঙ্কিল ভালবাসার তরে।


তোমার পিছে আর ঘূর্ণন করতে চাই না

হে অর্থগৃধ্নু বনিতা,

মন কে আর অশান্ত করতে চাই না

পঙ্কিল ভালবাসা থেকে মুক্তি চাই।


তাই কিছু তোমার দীঘল কেশ দিও

ভালবাসার একটু ঘি দিও

কেশ  যেন পিচ্ছিল হয়,

পঙ্কিল ভালবাসার যেন হয়  লয়।


সত্যি বলছি হে অর্থগৃধ্নু বনিতা

এ আমার অলীক বচন নয়,

তোমার পঙ্কিল ভালবাসার তরে

এ প্রাণ আহুতি দিবে তবু আর মাথা নোয়াবার নয়?


১০৮.

পঙ্কিল ভালবাসা

ফাইয়াজ ইসলাম ফাহিম


হে অর্থগৃধ্নু বনিতা ভালবাসা না দাও

তবে তোমার কেশ গুলো দাও,

তোমার অকিঞ্চন প্রেমিক মরতে চায়

পঙ্কিল ভালবাসা থেকে মুক্তি পেতে চায়।


তোমার অকিঞ্চন প্রেমিকের পকেটে

একটি কড়িও নেই যে বাজার থেকে রশ্মি কিনে

আহুতি দিবে তোমার পঙ্কিল ভালবাসার তরে।


তোমার পিছে আর ঘূর্ণন করতে চাই না

হে অর্থগৃধ্নু বনিতা,

মন কে আর অশান্ত করতে চাই না

পঙ্কিল ভালবাসা থেকে মুক্তি চাই।


তাই কিছু তোমার দীঘল কেশ দিও

ভালবাসার একটু ঘি দিও

কেশ  যেন পিচ্ছিল হয়,

পঙ্কিল ভালবাসার যেন হয়  লয়।


সত্যি বলছি হে অর্থগৃধ্নু বনিতা

এ আমার অলীক বচন নয়,

তোমার পঙ্কিল ভালবাসার তরে

এ প্রাণ আহুতি দিবে তবু আর মাথা নোয়াবার নয়?


১০৯.

স্বার্থপর


.

ইঞ্জিনিয়ার সাহেবা চলে গেল

মাস্টার্নি সাহেবাও চলে গেল,

নার্স সাহেবাও চলে গেল

অর্নাস শেষ ইয়ারের মেয়েটাও চলে গেল

উঠতি অর্নাস পড়ুয়া মেয়েটাও চলে গেল

ইন্টার ফাস্ট ইয়ারের মেয়েটাও চলে গেল?

ক্লাস টেনের মর্ডাণ মেয়েটাও চলে গেল

ক্লাস এইটের পনেরো বছরের কিশোরীটাও চলে গেল?


সবাই চলে গেল কাউকে আটকাতে চেষ্টা করিনি

কাউকে বলিনি যে আমায় একটু ভালবাসা দাও,

সবাই যে যার মতো চলে গেল

সবাই বিবাহের তাগাদা দেয়, কিন্তু কেউ বলে না যে একটা চাকুরী করো

তারপর বিবাহ করো,

আমার সকল দয়িতা তাল করে এসে আবার টাল হয়ে চলে যায়?


বিবাহ করলে মনে হয় স্বর্গ পাবে!

কেউ আবার শর্ত জুড়ে দেয়,আমার জন্য কবিতা লিখবে তোমায় চাকুরী করে খাওয়াবো তুমি তো জানো আমি নার্স,

যুবা ছেলে হয়ে নার্স সাহেবার কথা শুনলে দাস হওয়া ছাড়া বৈকি!

এমন অপমানের কথা শুনে মাথায় বাজ পড়ে

বুক ফেঁটে যায়,লজ্জায় মুখ মলিন হয়ে যায়?


ভালবাসার মানুষ কে ভাল রাখতে চাই

কিন্তু কেউ ভাল থাকতে চায় না,

কেউ কিঞ্চিৎ সময় দেয় না

কেউ ভালবাসার নিগড়ে বন্দি করতে চায় না,সবাই যেন উদ্ভট সুখে ব্যস্ত!

দুদিনের মেকি সুখের জন্য মাতোয়ারা।


সবাই দেহের সুখ খোজে,মনের সুখ কেউ খোজে না

যৌবনের আলায় ঝলসে ফেলেছে মন

যৌবন হাসে মন করে ক্রন্দন!

কিন্তু, সবাই জানে যৌবনের আয়ু কাল সর্বোচ্চ ষাট বছর

কিন্তু মনের আয়ু কাল শত বছর

পরকালের ময়দানেও সে আপনারে ডাকবে আপনাকে মনে রাখবে?


কেউ কথা রাখে না,মনের খবর রাখে না

যৌবনের আলায় মনকে দহন করে,মন কে কাঁদায়!

ভালবাসার ডিঙায় না চরিতে ভালবাসার নদী পাড়ি দিতে চায়।


সবাই চলে গেছে, আবার কেউ আসে উদ্ভট পাগল ভেবে আবার চলে যায়

আজ আমার একুশ বছর তবে এ বয়সো এক দিন থাকবে না!

কবে জানি আমার যৌবনোও চলে যায়,

সবাই স্বার্থপর, যৌবনোও স্বার্থপর সময় করে বিদায় নিবেও

হয়তো অস্থি- হাড় শুকে যাবে শরীরের চামড়া কুঁকড়ে যাবে।


আমার কবিতা -গল্প গুলো বেঁচে থেকে আমায় দেখবে,খিল খিল হাঁসবে

আমায় বাঁচার সাহস দিবে,

কিন্তু, হঠাৎ করে একদিন আমার নিঃশ্বাস চলে যাবে

সবাই চলে যাবে, আমাকে ছেড়ে

চার দেয়ালের মাঝে আ- জীবনের মতো আমায় নির্বাসন দেওয়া হবে?


১১০.

মনের সম্রাজ্ঞী


.

হে আমার মনের সম্রাজ্ঞী কবিতা

হে যশোহর কন্যা,

আর কত বার খান্ডবদাহনে পোড়াবে আমায়

আর কতবার প্রেমের চলোর্মি'তে পর্যুদস্ত করবে আমায়

আর কতবার চণ্ডী হয়ে চরমপত্র শোনাবে আমায়?


হে আমার মনের সম্রাজ্ঞী কবিতা

হে যশোহর কন্যা,

ফুল্ল ভালবাসা কে আর কতবার

অ্যাটম বোম নিক্ষেপ করবে

চাঁচাছোলা করে আর কতবার মনে

কষ্টের ছোপ ফেলবে।


হে আমার মনের সম্রাজ্ঞী কবিতা

হে যশোহর কন্যা,

আর কত বার প্রেমের গবাক্ষ

বন্ধ করে রাখবে

আর কতবার আমার চোক্ষে জাহ্নবী নদী সৃষ্টি করবে।


হে আমার মনের সম্রাজ্ঞী কবিতা

হে যশোহর কন্যা,

আর কত বার কষ্টের জিঞ্জির পড়াবে আমার পায়ে

আর কতবার জুগুপ্সা করবে আমার ভালবাসা কে।


হে আমার মনের সম্রাজ্ঞী কবিতা

হে যশোহর কন্যা,

আর কত বার আমায় ঘূর্ণার দৃষ্টিতে দেখবে

আর কতবার ট্রেসপাস করে ঢুকবো তোমার মনে।


হে আমার মনের সম্রাজ্ঞী কবিতা

হে যশোহর কন্যা,

আর কত বার ডিটেকটিভ

হয়ে থাকবো তোমার পিছে

আর কতবার উপহাস করে নামাবে আমায় নিচে।


হে আমার মনের সম্রাজ্ঞী কবিতা

হে যশোহর কন্যা,

আর কত বার হবো তোমার প্রেমের তন্তুবায়

যতবার ভালবাসা গাঁথি ততবার নষ্ট করো হায়!


হে আমার মনের সম্রাজ্ঞী কবিতা

হে যশোহর কন্যা,

আর কত বার জ্বালাবো প্রেমের বাতি

বার বার নিভে দাও

হয়ে যাও তম্রিসা'র সাথী।


হে আমার মনের সম্রাজ্ঞী কবিতা

হে যশোহর কন্যা,

তোমার ভালবাসার নিয়ে আর তন্ময় থাকবো নাকো

দিবো না তোমার কাছে  ধন্যা।


১১১.

তোমার অহমিকা কে পোড়াতে চাই


.

তোমার অহমিকা কে ভালবেসে

তোমার কাছে এসেছি,

তোমার অহমিকার অনলে নিজেকে পোড়াতে চাই

তোমার অহমিকা কতটা আমাকে পোড়াতে পারে

তা দেখতে চাই?


তোমার অহমিকা কে ভালবেসে তোমার কাছে এসেছি

তোমার অহমিকা কে বলো পোড়াতে আমায়,

আমি যে তোমার অহমিকার অনলে নিজেকে

পোড়াতে চাই!

এই যে বক্ষ খুলে দিলাম তোমার অহমিকা কে আসতে বলো

তোমার অহমিকা'র তেজ দেখতে চাই?


তোমার অহমিকা যতই গর্হিত হোক

তবুও তোমার অহমিকার অনলে পুড়তে চাই,

তোমার অহমিকা'র অনল থেকে ভালবাসার স্বাদ নিতে চাই

অশান্ত কায়ার হায়া লাঘব করতে চাই।


তোমার অহমিকা কে ভালবেসে তোমার কাছে এসেছি

তোমার অহমিকার অনল কে বলো আমায় পোড়াতে,

আমি যে আর পারছিনা  অশান্ত কায়া কে শান্ত করে রাখতে

তাই তোমার অহমিকার অনলে পুড়তে চাই

নিজেকে শান্ত করতে চাই।


১১২.


মনের রাজপথ

.

তোমার মনের রাজপথে সকাল - সন্ধ্যা চলাফেরা করতে চাই

হে মালাতীয়া,

অনুমতি দাও, কারফিউ জারি করো নাকো

আমি যে তোমার মনের রাজপথে চলতে চাই।


তোমার মনের অলিতে - গলিতে ঘুরতে আর চাই না

তোমার মনের অলিতে - গলিতে ভালবাসা নির্জীব,

হে আমার প্রেমাস্পদা মালতীয়া

তোমার মনের রাজপথ উন্মোচন করে দাও?


হে মালতীয়া তোমার মনের রাজপথে কি চলতে পারবো

তুমি কি লাইসেন্স দিবে আমায়?

আমি যে তোমার মনের রাজপথে চলতে চাই

ভ্যাট আরোপ করো না,কারফিউ জারি করো না হে মালাতীয়া।

আমি যে অকিঞ্চন

তবুও মম মনের আশ

তোমার মনের রাজপথে চলাফেরা করবে এ পাগল মন

তুমি কি অনুমতি দিবে তোমার মনের রাজপথে চলতে?


১১৩.

ঘুম নেই চোখে

.

ঘুম নেই চোখে

তবুও ঘুমানোর ভান করি!

চোখ নিমীলিত করে থাকি

ঘুমানোর আশে

কিন্তু ঘুম তো আসে না।


চোখে জোনাই জ্বলে

বক্ষে বহ্নি জ্বলে

ঘুম তো আসে না!

তবুও ঘুমানোর ভান করি

এভাবে কেটে যায়

সেকেন্ড,মিনিট,ঘন্টা,প্রহর

একটি রাত?




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ads Area