লালন ফকিরের গানের খাতা
শুভদীপ দত্ত প্রামানিক
লালন ফকিরের গানের খাতা থেকে তুলে নিলাম অন্তরঙ্গ আশ্চর্য । সত্যরক্ষার দায় মুনিদের মতো পালন করেছেন আপনি , লালন ।
কীসের সত্যরক্ষা ? সব অবাস্তব মোক্ষ ।
তুমি মহাবৃক্ষ । ঐ হোঁচট খাওয়া অহংকারকে আর কাছে টেনে এন না । বিশ্বাস - অবিশ্বাসের মাঝে এই নাও তোমাকে লালন দিলাম ।
লালন এক কল্পনা
লালন এক দুঃখ
লালন রাজ্য চাই না , রাজ্যসুখও চাই না
অস্ত্র বলতে গান
অধিকার বলতে ইন্দ্রিয়জয় ।
রাত তিনটে
পৃথিবীতে নেমে আসেন বাল্মীকির আত্মা ।
তুমি তখন বিলাপধ্বনি তুলেছিলে
আমাকে নিয়ে তোমার প্রথম সঙ্গম ।
রাজার বনযাত্রার খবর চারিদিকে ছড়িয়ে যেতেই শুরু হল মহাপ্রত্যাখ্যান ।
যৌনতাকে প্রত্যাখ্যান , পাহাড়ের গলায় কবি সম্মেলন প্রত্যাখ্যান , কামমোহিত শার্ট প্রত্যাখ্যান !
তোমার চুলে ঘনিয়ে এল আনন্দলহরি মেঘ ।
মৃত্যু তাড়া করেছে নহবতখানার ফুলদানিকে।
আমি লালন ফকিরের গানের খাতা থেকে একটু বেরিয়ে এসে বসলাম পতিত শোকে ।
খুব বেশি আঘাত পেলে যুধিষ্ঠির হতে পারবো না !
আটকা পড়েছিলাম একটা কুকুরের সান্ত্বনার লেজ নাড়ানো দেখে ।
প্রায় ভুলে গেলাম আঘাত জগতের কাব্য ।
আদেশ করুন পিতা লালন কোন দুই পাপ আমাকে শাস্তি বলে মেনে নিতে হবে ? শোক ও বিলাপ এই দুই পাপ আমি নেব । নিরুদ্দেশ হয়ে যন্ত্রণা দেব শরীরকে ! আপনি আমার দূরতর মধু , আপনার গান আমার বসন্তকাল । প্রিয় তৃষ্ণা আর এগিয়ে এস না আমার দিকে । আমি চললাম অর্থপূর্ণ উদ্বেল হতে । সিংহাসনে ডানা ঝাপটায় অপ্রিয় উত্তাপ ।
লালন ফকিরের গানের খাতায় শূদ্রগণও কৃতকার্য । ঐ পরমের দিকে যারা পালিয়ে বাঁচলো তাদের পিঠে ধোঁয়ারঙের ফুল ফুটেছে । তোমার দেহজমিতে আমার কোনো ফসল নেই ।
লালন মৃত্যু --- আমি জন্ম ।
জেলা : বীরভূম
থানা : নানুর
পিন : ৭৩১৩০২