আমার কাছে একজন রূপবতী নারী মানে সোনালী বেন্দ্রে
আমার কাছে একজন লজ্জাবতী রমণী মানে রাধা-রাণী
আমার কাছে আকাশ মানে নীল।
নদী মানে খরস্রোতা-
চোখের জল এসে যাবে ব'লে লুকিয়ে ফেলেছ নিজেকে,
কখনো তীরে এসে খবর নিয়েছো
আমি কে?
আমি একজন সুপুরুষ।
নদী ভালোবাসোনি ব'লে এসেছো সমুদ্রের কাছে
নীল ভালোবাসোনি ব'লে জলপাই রঙের শাড়ি খুঁজছো?
একদিন চোখের জলে ডুকরে কেঁদে বলবে-
ভালোবাসি তোমায়!
২.
আমার আছে-
চিতাবাঘের মতো ক্ষীপ্রগতি
সেলফিশের মতো দানবীয়তা
আর বাজপাখির ন্যায় বায়বীয় দ্রুতময়তা
তোমার জন্যে ধূর্ত বাঘের সম্মুখ থেকে
ফিরে আসতে পারি ইভেন্ট হরাইজন থেকে,
এমনকি ভারত মহাসাগরের গভীর তলদেশ থেকেও।
আমাদের প্রেমের কাছে
মার্চিসন উল্কার আদিমতা পরাজয় বরণ করবে
ডেকে আনবে মধ্যযুগীয় বর্বরতা
যেখানে ছিল নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা
অবাধ আচরণ।
ধেয়ে আসবে প্রিয় শহর সমান উল্কাপিণ্ড;
রুখে দেবে হিমালয় পর্বত।
সেদিন প্রথম খবরে দেখলাম
একজন কৃষক একটা শুধুমাত্র একটা ধানগাছের জন্য
গভীর জলে ডুব দিয়েছিল।
আমিও কি?
পারবেন কি আমার পিতৃতুল্য পিতাও।
নবীদের রক্তাক্ত শরীর আর
মার্কসের ধূসর স্থবির দেহ
আমাকে ব্যথিত করে;
কমরেড লেনিনের অসম্ভব ক্ষীপ্রতা ও নিরাপদ পথচলা
আমাকে মুগ্ধ করে।
জনতার কাছে বারবার ছুটে যেতে উদ্বেলিত করে।
জানো নিদ্রিতা-
হরতালে শুধু একটা জিনিসই খুলতে দেখা যায়
সেটা এটিএম বুথ।তার মধ্যে একটি
তোমার-আমারও হতে পারতো।
যেমন হতে পারতো জান্নাতুল বাকির একটি সাজানো ফুলের উদ্যান
অবাধ বিচরণের
যেখানে সহসাই জলকেলী খেলেছে বেহেশতি হুরেরা;
পুষ্পমাখা হলদে রঙ মেখে।