১.
হারজিত
এত যে আড়াল রাখো
অতৃপ্তি নিয়ে ফিরে যাই বারবার
আমাকে ডাকো নি জানি,তবু আসি পুরোনো খেলার টানে
আমার সঙ্গে নাই বা খেললে আর
শুধু সামনে এসে যদি একবার বলতে
পরাজয়ের সব ক্ষত মুছে গেছে সময়ের স্রোতে
তবে নিশ্চিন্তে নির্বাসনে যেতে পারি এই অবেলায়
আর যদি শোধ নিতে চাও
এই নাও মেলে দিলাম ক্ষতবিক্ষত হৃদয়,
তোমার বিজয় মুকুট।
শম্ভু সরকার
চাকদহ, নদীয়া
মোবাইল 9126434148
Enter
Sambhu
২.
.নিরপেক্ষ
.
আমাদের একটা একান্নবর্তী বারান্দা ছিল
যত দূর চোখ যেত কোথাও কোনো পাঁচিল বা বেড়া ছিলনা
এই বারান্দার এক কোনে মাসুদা বেগম বাঁকা চাঁদের দিকে তাকিয়ে অপেক্ষা করতো স্বামীর জন্য
পাশে তখন তাদের আদরের ঘুমন্ত ছেলের মুখে এসে পড়তো ঈদের আলো
বারান্দার অন্য প্রান্তে তখন চলতো নাম সংকীর্তন
বাবুদের বড় কর্তার মানত করা হরির লুট
আর আমরা ছিলাম এসবের মাঝামাঝি
বারান্দার এ কোন ও কোন ঘুরে দিব্যি কেমন কাটিয়ে দিলাম নিরপেক্ষ জীবন।
এখন বারান্দার মাঝখান দিয়ে উঠেছে বিভাজনের দেওয়াল
যে যার শীতল পাটি গুছিয়ে নিয়ে খিল দিয়েছে নিজের ঘরে
একান্নবর্তী বারান্দায় এখন দিনের বেলায় অনেক নাম না জানা পাখিরা আসে, আর রাতে আসে চাঁদের আলো
ওদের কারোরই বোধ হয় নিজস্ব কোনো ধর্ম নেই।
Enter
Sambhu
৩.
আত্মকথন
.
ইচ্ছে খুশি সবাই আমাকে নিয়ে খেলেছে
গ্যালারি ভর্তি দর্শকের উল্লাস আর পক্ষপাতী প্রশংসার আড়ম্বরে চাপা পড়ে গেছে করুণ আর্তনাদ
জন্মলগ্নেই যারা খেলার সামগ্রী তাদের অভিমান থাকতে নেই
কিন্তু চোখের জলের অধিকার বোধ হয় স্বয়ং ঈশ্বরও কেড়ে নিতে পারেন না
অবহেলা যার জীবনের একমাত্র সঞ্চয়
তাকে তুমি প্রেমের কথা বলো না
জন্মান্ধের সামনে রেখো না অনাকাঙ্খিত ধাঁধা।