বোশেখমির্জা মুহাম্মদ নূরুন্নবী নূর হে নবাগত বোশেখ! তোমাকে স্বাগতম নিরাপদ জীবনের গতি ফিরে আসুক তোমার আগমনে মহামারীর আতঙ্ক কেটে আলোর ভোর ফুটুক প্রত্যাশার শুরুতেই জানিয়ে দিই আরো কিছু তুমি সাবধান হয়ে এসো কোমরটা শক্ত করে এসো জেনে রেখো- তোমার গতির নল্লি টিপে ধরার পাঁয়তারা চলছে তুমি আরও সতর্ক হয়ে থেকো, স্বাক্ষী হবার। কিসের বারতা দেবে হে বোশেখ! আনন্দে হিল্লোলিত নবজাগরণের! নতুন সম্ভাবনার! সুদিনের ক্ষণ গননার! নাহ্! এসব কিছুই না কেন?---- সময় তো বৈরিতা দেখাচ্ছে এখন আরে নাহ্! সময় না- একদল সিন্ডিকেট নরপিশাচ করছে এমন। বুভুক্ষুর মুখের আহার কেড়ে নেবার খবর পেয়েছ? না তো! দশ টাকার চাল নিলামে দেবার সংবাদ শুনেছ? কই, শুনিনি তো! জেলেপাড়ার জাল ফুটো করার ফটো দেখেছ? অনেক দিন হয় দৈনিকের পাতায় চোখ রাখিনি। বাহ্! তোমাকে অভিবাদন হে বোশেখ! তুমি এভাবেই চুপ থেকো ভাই কিছুই দেখতে চেয়ো না আর আর যদি দেখতে হয় তাহলে মিনতি আমার রেখো তোমার কালবৈশাখী ঝড়কে দাওআত কর কানে কানে বলে দিও একটা হানা দিক ওদের লৌহ কপাটে ওদের দৃষ্টি নন্দন বহুতল প্রাসাদের বারান্দার গ্রিলে। সতর্ক থেকো- কোনো বুভুক্ষের ঘর ভেঙে দিও না করোনায় আক্রান্ত কারো দুয়ারে আঘাত হেনো না হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে যারা তাদের ঘরেও না আইসোলেশনে আছে যারা তাদের বাড়িতেও না যারা শারীরিক দূরত্ব রেখে চলছে তাদেরকেও না। তোমার হিসেবের পুরাতন খাতাটা উল্টে রাখ ধারাপাতের নতুন খাতা মেলে ধরো আজকে না হয় হালখাতার নগদায়ন বন্ধ থাক শুরু হোক নতুন হিসাব। আমার একটা আকুতি আছে ছোট্ট একটা চাওয়া আছে, একটা দাবি আছে শুনবে? হুম, বল শুনি- নিঃসঙ্গতায় কেটেছে গতকালের নিশুতি রাত ভোরের বৈশাখী সকালটাও তাই- আমার সখীর দুয়ারে একটু উঁকি দিও বৈশাখী এলোকেশের সুঘ্রাণ বইয়ে দিও কালো কেশের বেনিতে চিরুনির আঁচড় দিও শশীর খোঁপাটিতে দোপাটির পরশ দিও যা দর্শনে আনন্দ হিল্লোলে নেচে উঠবে আঁখিযুগল আমার স্বপ্নসন্ধ্যাণী ভালোবাসা! মির্জা মুহাম্মদ নূরুন্নবী নূর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক কুঁড়ি সাহিত্য সংসদ ইসবপুর, সাদুল্লাপুর, গাইবান্ধা। মুঠোফোন-০১৭১৯-২৫৭৬৩৪