Ads Area

তন্দ্রা ব্যানার্জ্জী’র দুইটি কবিতা


১.

জীবন ঘড়ি তন্দ্রা ব্যানার্জ্জী ঘসা কাঁচের মতো এখন চশমাটা, পাওয়ার বাড়তে বাড়তে পাহাড়

ছুঁই ছুঁই, সামনে যা দেখি সব আবছা লাগে কেমন অথচ অন্তর্দৃষ্টি স্পষ্ট। কৈশোরের স্বপ্নেরা কবে সোনালী বিকেলের ধুলোর আস্তরণে , বসন্তের বৃক্ষরাজির মতো দাঁড়িয়ে আছি জীবনের সাক্ষী হয়ে প্রৌঢ়া রূপে। বর্ষার প্রথম বৃষ্টিপাত ভালোলাগাকে জলাঞ্জলি দিয়ে ‌ঠাণ্ডা লাগার‌ কথা ভাবি, আসলে অনিয়মে বকার জন্য সব বয়সেই একটা মানুষ বড় প্রয়োজন, সে সম বয়স্ক না হোক যেন সম মনস্ক হয়। জন্ম থেকে মৃত্যুর দীর্ঘ পথ চলতে চলতে কত পথ আর মাঝে মাঝে সরাইখানা, জীবনের যোগ বিয়োগের মারাত্মক ভুল বিজ্ঞানের ফর্মুলার মতো ই ভয়ঙ্কর করতে পারে পরিকল্পনা। কাগজের নৌকার মতো মাঝি হীন দরীয়ায় জীবন টালমাটাল, অদৃশ্য সওয়ারীর ভীরে দিক ভুলে পেড়িয়ে আসা নির্দিষ্ট লক্ষ্য ,বড় ক্লান্ত আজ , এবার না হয় থেমে যাক জীবন গড়ি

২.
অভিসার তন্দ্রা ব্যানার্জ্জী
এই তো মাস তিনেক আগে তখন শরৎকাল মৃদুমন্দ বাতাসে তে নাড়া দিতো ডাল তখন আমি‌ শিউলি ফুলের নাম‌ নিয়ে সে ক্ষনে আসবে ‌কখন‌ সখা প্রহর কাটতো গুনে‌‌ গুনে। ক্লান্ত হতে হতে ‌যখন শিশির ছুঁয়ে যেতো ধুলায় পড়ে‌ গড়াগড়ি অভাগিনী র মতো কেউ বা নিতো ঝেড়ে ধুলো গাঁথতে ‌তাতে‌ মালা কেউ বা ‌ঝাঁটায় টানতো জোরে জঞ্জালে‌তে ফেলা। এমনি করে ‌মাস পেড়িয়ে কাটলো ‌শরৎকাল বন্ধু ‌যে তার‌পথ ভুলেছে কেটেছে সুর তাল এমনি করে রাত পেড়িয়ে ভোর হয়েছে যেই চলে গেছে শিউলি সখী অপেক্ষাতে নেই। বসন্ত ‌যেই এলো দ্বারে ‌এলো গন্ধরাজ দেখে,শিউলি গেছে‌ ছেড়ে চলে পড়লো মাথে‌ বাজ বাতাসে তে ছড়িয়ে গন্ধ অন্ধকারে জেগে বলে,‌দে তোরা দে শিউলিকে আমার কাছে ডেকে। প্রজাপতি মৌমাছি সব ঘুমিয়ে গেছে ‌কু্ঞ্জে দূর থেকে রাত জেগে দেখে‌ প্রতিবেশি গুলঞ্চে গন্ধরাজে একলা ‌জাগে নিশিথ অন্ধকারে মান ভেঙে আজ শিউলি যদি আসে অভিসারে!







একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ
  1. দুটি কবিতাতেই হৃদয়ানুভূতির অনন্য প্রকাশ ঘটিয়েছেন শ্রদ্ধেয়া কবি। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাই তাঁকে অবিরাম।

    উত্তরমুছুন

Ads Area