বিশ্বাস ©মম নাম তার শ্রী পরমেশ্বর বিশ্বাস। শ্রী পরমেশ্বর নাই তার বিশ্বাস। ঘন ঘন ঘন ফেলে সে দীর্ঘ নিঃশ্বাস। জলে করে সে শোলার চাষ। তারপর তা থেকে বানায় সে দেবদেবীর অলঙ্কার। হাতের কাজে দক্ষ বলে তার বড় অহংকার। মুকুট বানিয়ে নিজেই নিজের শিরে পরে। ঘোরে তা পরে, এমন ভাব করে, যেন সে সত্যিই নিজেই পরমেশ্বর। গাঁয়ের একধারে তার মাটির ঘর। একদিন তার সেই ঘরে এলো এক সন্ন্যাসী। অলৌকিক তার মুখের হাসি। সে বলল তাকে, "তোর এই মাটির মেঝের তলে গাড়া আছে একটি শিবের মূর্তি। সেটি থেকে রাতে আলো জ্বলে।" এই কথা বলে সে গেলো চলে। তার সে কথা শুনে সে সেটা খুঁড়ে তোলে। সেটি দেখে মনে তার খুব ফুর্তি। খানিকটা পরে সন্ধ্যা হোলো যেই না মূর্তিটি থেকে আলো বের হোলো সেই না। সেই আলোয় চারদিক ভরে। গাঁয়ের মানুষ এসে দেখে অবাক। তখন সে বলল, " ওরে ও মূর্তি! তুই আমার কাছে সারাটি জীবন থাক! আজ থেকে আমার হোলো বিশ্বাস, শ্রী পরমেশ্বর আছে। আর করব না কভুই অবিশ্বাস। তখন তার মুখে সকল কথা শুনে গ্রামবাসী পূজলো সে মূর্তি। আর তারা বলল, " শ্রী পরমেশ্বর আসন ন্যান তাঁর নিজগুণে। |