Ads Area

মে-দিবসের জয়ধ্বনি - গৌতম ঘোষ-দস্তিদার

 মে-দিবসের জয়ধ্বনি : " পরে দেবোখন " - গৌতম ঘোষ-দস্তিদার, কোলকাতা

অনেকগুলো বছর বাদে আজ বাজারে গেছিলাম -
করোনা চলে গ্যাছে সেই কবে , তবু বাজারমুখো হইনি !
সাধারণত অফিশের ড্রাইভারটাই বাজার টেনে আনে !
খাস গড়িয়াহাট মার্কেট থেকে টাটকা মাল সব -
আজ ড্রাইভার ছোকড়ার ছুটি - মে-দিবস বোলে কতা !
ভাবলাম, একটা ই-রিকশো পেলেই ষোলোকলা পূর্ণ -
হাঁটুতে জল হোয়েছে - ডাক্তার ব্যাটাচ্ছেলে হাঁটতে না করে ।
ছুটির দিন আজতো , তাই টোটো জুটলো না কপালে !
একটা হাতে-টানা রিকশো পেলাম শেষে -
দশটাকা দিয়ে নামবো নামবো কোরছি যেই
বলে কিনা - আরো দুটো টাকা লাগবে !
একটা রিকশোওয়ালাকে ম্যানেজ কোরতে পারবো না ?
কী ম্যানেজারি কোরলাম তাহোলে সারাটা জীবন ?
বললাম - " ও-ভাই , এখন আর খুল্লা নেই , পরে দেবোখন " !
(আবার তো বছর ঘুরলে আসবো , তুই তো তখন মরে ভূত !)
পাঁঠার দোকানে লম্বা লাইন দিয়ে খাসির মাংস পেয়ে গেলাম ।
হাজার বিশ টাকা দাম হোলো - দু হাজারের নোট ধরালাম ।
মাংসওয়ালা এক হাজার ফেরৎ দিয়ে বললো - কুড়িটা টাকা দিন।
" ওই নোটটা নিয়েই তো বাজারে এলাম ভাইরে , পরে দেবোখন "।
কষামাংসে পাছে কোষ্ঠকাঠিন্য হয় , পাকাকলা কিনলাম চারটে ।
বুড়োটাকে জিগেশ কোরলাম - কার্বাইড দিয়ে পাকিয়েছো নাকি ?
- নাগো বাবু ,এ আমার নিজের গাছের কলা ,সামনে মেয়েটার বিয়ে ,
পণের জোগাড় কোরতে পারিনি এখনো , তাই নিয়ে বসে পড়লাম ।
চব্বিশের বদলে সেই কুড়ি টাকার নোটটাই দিলাম , " পরে দেবোখন " ।
ফেরার সময় টোটোয় বসে লারেলাপ্পা গান শুনতে শুনতে এলাম ।
দশ টাকার নোট বের কোরে আরো একবার , " পরে দেবোখন "।
রান্নার মাসি বাজার নিয়ে গ্যালো রিকশো থেকে। এখন তাড়াহুড়োর সময় ।
ফেসবুক , হোয়াটস্যাপ , ইন্সট্যাগ্রামে মে-দিবসের জয়ধ্বনি দেওয়া এখনো বাকি ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ads Area