Ads Area

অঞ্জলি দেনন্দী’র দুইটি কবিতা

 জয় মা শ্রী মঙ্গলচন্ডীদেবী

.
মঙ্গলময়ী মা ওগো!
সকলের অন্তরে সর্বমঙ্গলারূপে জাগো গো!
সকলের মঙ্গল করো!
সকলের জীবনের মঙ্গলঘট ভরো,
তোমার করুণা সিন্ধুবারিদিয়ে!
তোমার এ মহাবিশ্ব সংসার করো,
সকলকে সাথে নিয়ে!
সবাইকেই বিজয়ী ও সুখী করো!
দাও প্রাণমন,  পূণ্যতর!
নাও নমস্কার!
আনন্দ উচ্ছ্বল হোক সংসার পারাবার!
এই প্রার্থণা করি,
বার বার বার বার বার...........
তোমার শ্রীচরণ আমার শিরে ধরি.......
সদাই তব মূর্তি স্মরি.....
তুমি বাও মোর সুখের জীবন তরী!.....
এই কামনা হৃদয়ে সতত ধরি...
তুমি হও মোর সুখদাত্রী!
কাটুক মোর সকল দিবসরাত্রি,
তব দয়ায়! ওগো মাতা!
জয়ের শ্রীমুকুট পড়ুক মোর মাথা,
তব আপন অশেষ মহিমায়!
মোরে ধন্য কর, তব নিজ গরিমায়!

২.
নন্দী-বুড়ি
.

পুরোনো দিনের শেওলা ধরা বাড়ি।
বিধবা নন্দী-বুড়ি সেখানে একাই থাকে।
পরণে সাদা, কালো ইঞ্চি-পার শাড়ি।
গাঁয়ের সবাইই ভালোবাসে তাকে।
বিরাট উঠোনের ধারে ধারে নারকোল গাছে
এক সারিতে বসে আছে
নারকোল পাতায় অনেক পায়রা, একসাথে।
তারা সকলেই পশ্চিম-মুখী।
তারা এখানেই থাকে, দিনেরাতে।
বৃষ্টিতে ওরা ভিজছে, আহা, কতই না সুখী!
আকাশে মেঘেরা করছে হুড়োহুড়ি।
তালপাতার টোকা মাথায় নন্দী-বুড়ি
তার বাড়ি থেকে বেরিয়ে
সামনের বিরাট খোলা উঠোনটি পেরিয়ে
ঢুকে গেল টিনের চালের গোয়াল-ঘরে।
পোষা গরুগুলোকে খুব আদোর করে।
মেঘেদের গর্জন, ওরা ঘন কালো;
চকাত, চকাত বিদ্যুতের আলো,
ঘন ঘন ঘন পরে বাজ।
টিনের চালে বৃষ্টির আওয়াজ।
নন্দী-বুড়ির বয়স আশি।
সে আওয়াজকে টপকে গেছে
তার খক খক খক কাশি।
একাই এ পৃথিবীতে আছে বেঁচে।
শুধু সঙ্গী এই গরুগুলো তার।
কণ্ঠে বারো ভরি সোনার বিছে হার।
এটি তার পতির দেওয়া ফুলশয্যার উপহার।
মাত্র একটা বছর স্বামীর সঙ্গে করেছে সে সংসার।
তারপরই মাথায় বাজ পরে
ওর জীবনসঙ্গী মরে।
তখন ও ছিল এই গোয়াল-ঘরে।
আজ সে সব কথা তার বড় মনে পরে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ads Area