Ads Area

শ্রী কাজল কুমার’র দুটি কািবতা


বাবা মা
.
পৃথিবীতে বাবা মা সব চেয়ে আপন জন, সারা জগৎ খুঁজিলেও পাবে না এমন ধন। অনেক আশা নিয়ে তারা সন্তানকে জন্ম দেয়, সন্তানের মুখ দেখে বাবা মায়ের বুক ভরে যায়। কত স্বপ্ন দেখে তারা সন্তানকে নিয়ে, লালন পালন করে তারা নিজের জীবন দিয়ে। নিজে না খেয়ে সন্তানকে খাওয়ায়, সব দুঃখ ভুলে যায় সন্তানকে কাছে পাওয়া। দিনে রাতে খাটে তারা সন্তানের জন্য, সন্তানের জন্য কিনে আনে দামী দামী পন্য। সব সময় হাসি দেখতে চায় তারা নিজের সন্তানের মুখে, সারা জীবন পাশে থাকে দুঃখে আর সুখে। অনেক টাকা খরচ করে সন্তানের লেখা পড়ার পিছনে, তার ছেলের সুনাম হবে বলে মনে মনে। চাকরিটাও নিয়ে দেয় শেষ সম্পদটি বিক্রি করে, নিষ্য হয়ে যায় তারা জীবনের তরে। চাকরি পেয়ে বৌউ নিয়ে থাকে দূর দেশে, বাবা মা ঘুরে বেড়ায় ভিক্ষারীর বেশে। দামী খাবার দামী পোশাক নিয়ে তারা আনন্দেতে ওঠে মেতে, বাবা মায়ের খাবার ঠিক মত যোটে না অনাহারে কাটে। তারা দামী গাড়ি দামী বাড়ি পেয়ে কতই না হাসে, বাবা মায়ের থাকিবার জায়গা নাই তাই তারা চোখের জলে ভাসে। কত সুনামধন্য ব্যাক্তি এখন তার পাশে, বৃদ্ধ বাবা মাকে রাখে না তার কাছে। কোন কাজ করতে পারে না বাবা মা বয়সের তারতমে, বৃদ্ধ বাবা মাকে রেখে আসে বৃদ্ধাশ্রমে। কলমে শ্রী কাজল কুমার 27/6/22 (56)

কলি কাল
. এসেছে ভাই কলি কাল, সব কিছুতে দিচ্ছে ভেজাল। মানুষে মানুষে বাজে জনজাল, ঘুষের টাকায় হচ্ছে লালে লাল। পরে গেছে অনেক লোভে, ক্ষমতার জোরে করছে সবে। উঠে গেছে মানবতা, কথা বললে লাগে ব্যাথা। হয়ে গেছে অহংকারী, বিনি দোষে মারছে ধরি। বড়োদেরকে দিচ্ছে না সন্মান, কথায় কথায় দেখি হচ্ছে অপমান। পাচ্ছে না কেউ নিজ্য বিচার, বেড়েই চলছে দেখি অনাচার। ধরছে তারা সাধুর বেশ, মনের ভিতর নাই ধর্মের লেচ। না করিয়ে ভালো কাম, বাড়াতে চায় তারা নিজের দাম। টাকা দিয়ে সুনাম খোঁজে, মিটিং শালিসের কিছুই না বোঝে। অসত ভাবে অনেকে রোজগার করে, অন্য নারীর লোভে পরে। বাড়ছে অনেক ছল চাতুরী, করছে অনেকে বাহাদুরি। বিনা দোষে করছে দুষি, বড়ো ছোটো করছে ঘুষাঘুষি। বেড়েই চলছে দেখি অধর্ম, করছে অনেক কুকর্ম। কলমে শ্রী কাজল কুমার 26/6/22

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ads Area