জান তো দীপান্বিতা আমি না একটা নতুন আমি পেয়েছি ।
শরৎচন্দ্র পড়ে না
নিভৃতে লালন ফকিরের সাথে কথা বলে শুধু ।
কী হয়েছে তোমার ঠোঁটে
আমি পাপী , মদ খাই - কাউকে না জানিয়ে নিকটতর
বেশ্যাপাড়া ।
তোমার সামনে দাঁড়াতে পারি না ! কিংবা দাঁড়াব ; আমি তো নিরাকার ।
বৃত্ত খুঁজি কুস্তির প্যাঁচে
এক ঝাঁক উজ্জ্বল কাকের ভীড়ে ভুল পা ফেলে কুড়িয়ে নি ঘৃণা ।
এখন ঐ নতুন আমিটা আমাকে খুব ভালোবাসে
অঘ্রান মাসের কাছে নিয়ে যায়
ঠাকুরের প্রসাদ মুখে তুলে দেয় ।
আজ ছোট শহরে গিয়ে তোমায় চুম্বন করবো দীপান্বিতা
ব্লাড প্রেশার ঠিক আছে
সজনে গাছে ছেঁড়া ঘুড়ি
তোমার আঙুলের ফাঁকে রাখলাম সাদা রঙ
ঘাস , শুঁয়োপোকা , খরগোসকে ফুঁ দিয়ে ফুল করে দি
দেখ কপালে পদ্ম , সিঁথিতে বসন্তকাল ।
আমি না ঝকঝকে সকাল আগে ভালোবাসতাম
বরফের জগতে মিশে ধ্যান করতাম মঙ্গলের বীজ মন্ত্র
হাই তুলেছিলাম মরা গাছটাকে বিক্রি করে !
পুরনো আমি আধপোড়া , নৈর্ঋত , বজ্রনাভ
এই আমিটাকে ভালোবেস না দ্বীপান্বিতা ।
নতুন আমি কেবলই লালন ও চৈতন্যভাগবত শিখি ।
শোন না আজ ১৬ই জ্যৈষ্ঠ
পুরনো আমিই আজ প্রথমবার চুমু খেয়েছিলাম ,
সন্ধ্যা নামেনি তখন পুরিয়াধানশ্রীতে ।