১.
গুণী-খাম-খেয়ালী
©মম
টাক মাথায় হেয়ার ক্রিম,
লাগিয়ে ঘোরে চড়া রোদে।
সূর্য কটমটিয়ে তাকায় ক্রোধে।
খাম খেয়ালী।
কথায়, কাজে আজেবাজে হেঁয়ালি।
তবে গায় ভালো শুধু খেয়াল-ই।
অন্য গানকে গায়-ই না।
মেয়েদের দিকে চায়-ই না।
পূর্ণ ব্রম্ভচর্য পালে।
শ্বেত চন্দনের তিলক আঁকা ভালে।
বেঁটে, মোটা, ফর্সা, গোঁফ, দাড়ি কামানো।
ওকে যায় না থামানো,
যখন ও শুরু করে গাওয়া।
শিকেয় ওঠে তখন ওর নাওয়া, খাওয়া।
বাইরে যাওয়া।
ঊষায় মাঠে গিয়ে হাওয়া খাওয়া।
কন্ঠটা মা শ্রী সরস্বতীর দেবীর বরে পাওয়া।
হঠাৎ একদিন শখ হল তার বিয়ে করার।
বিয়ে করে বর হল ও ধরার।
বউ ধরার নামে বাঁধলো ও গান।
ওগো ধরা! তুমি মোর যান!
আ আ আ..........
সা রে গা মা পা ধা নি সা .......
নাম তার আহ্বান।
অতি গুণী, বড় মহান।
২.
চৈ চৈ চৈ ©মম পুকুরে চড়ে চৈ চৈ চৈ ( হাঁসা, হাঁসি )। এক ডুবে পাঁক থেকে তুলে আনে গোটা, জ্যান্ত গুগলী। জলের ওপরে এসে গপাঙ করে গিলে খায়। এপার থেকে ওপার করে ডেকে ডেকে প্যাঁক প্যাঁক প্যাঁক........ সারাটাদিনই থাকে দল করে ভেসে ভেসে। সূর্য যখন বসে পাটে, বিকেল বেলায় দাঁড়িয়ে ঘাটে, অঞ্জু ওদের ডাকে, আয় আয় আয়, ....... চৈ চৈ চৈ! ....... সন্ধ্যে হয়ে আসছে, ঐ দ্যাখ! এবার গোইলে ( গোয়ালে ) চলে আয়! অঞ্জুর বাড়ি হুগলী। ওই খিড়কি ঘাটেই ও রোজ দুবেলা নায়। চৈ চৈ চৈ যত, অঞ্জুর ডাকে ঘাটে আসে, অঞ্জুর একদম পাশে। তারপরে জল ছেড়ে পাড়ে উঠে ঢুকে পড়ে গোয়াল ঘরে, ছুটে ছুটে ছুটে। ঠাম্মা ওদের মালসা ভরে খেতে দ্যায় ধান। সকালে ওরা সবাই ডিম করে দান। অঞ্জু ও পরিবারের সবাই সেই ডিম খায়। পাড়া পড়শী আবার সেই ডিম চায়। |