Ads Area

মুক্তি - বৈশাখী দেঁড়ে



তারাদের ঝাঁক সেদিন
নিশ্চুপ ছিল।
আলোকের ঝলকানি হঠাৎ স্তব্ধ।
গোধূলির সাজে হঠাৎ মেঘেদের কান্না
কৃষ্ণপক্ষের নীশিথ রজনীর ব্যাপ্তি অনন্ত হয়েছে।
গুমোট হয়ে যাওয়া গলার কাছে দলা পাকানো  যন্ত্রণা
যখন হনন করেছে তোমার এক একটি রাতের নীরবতা।
তুমি তখন বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ হতে চেয়েছিলে।

স্বপ্নের আকাশ ছুঁয়ে যখন তুমি ফিরলে
মনে আছে, শেষ ইচ্ছে বলেছিলে মুক্তি।
পাশবিক যন্ত্রণার সাথে যুদ্ধে তুমি নিরস্ত্র
কেন বলতে পার?
নিকেল করা সন্ধ্যে নামার আগেই 
রাজপথ ধরে রজনীগন্ধার সুবাস এসেছে
কাঙ্ক্ষিত কালবৈশাখীর খামে।
রাত নামতে ওরা তোমায় নিয়ে গেল।
চোখের কোণে চিকচিক করা জলের  দাগ
মিলিয়ে দিতে বৃষ্টি এল ।
তুমি ভিজলে,আগুনের শিখার ভিতর দিয়ে।
আমি দূর থেকে দেখলাম
অনন্ত বীথিকায় শোক সাজিয়ে তুমি যাচ্ছ।
আলোকবর্ষ দূরে।


হাওড়া, কলকাতা
বৈশাখী দেঁড়ে



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ads Area