বেড়া - সায়ন্তন ঘোষ

সায়ন্তন ঘোষ

খোলা আকাশ খোলা বাতাস,
খোলা মনের জানালা খুলে-
দেখেছিলাম প্রকৃতির রূপ
খুশি মনে আর হেলে দুলে।

অবাক চোখে থমকে দাঁড়ালাম

বন্দুক ওয়ালা মানুষ দেখে;
চলছে তারা এদিক ওদিক-
তাকায় একে বেঁকে।
শান্তি শান্তি ওম শান্তি,
তবুও বন্দুকধারী ওরা;
একটি রাস্তা দু'ভাগ করেছে
কাটাতারের বেড়া।
গঙ্গা যখন পদ্মা হয়ে
সবকিছু ভুলে ছোটে;
এপাশের মানুষ ওপাশে যাবেনা-
বিধিসম্মত বটে।
এই আকাশের পাখীর প্রেমে
ঐ আকাশের পাখী;
এপাশের ঘাস বেড়া ডিঙিয়ে,
"একটু উকি মেরে দেখি।"
জলের মাছ সাঁতরে চলে
পদ্মা থেকে গঙ্গা,
রীতা যায় যদি আমিনার কাছে-
শুরু হয় শতরঙ্গা।
মাটিতে মাটিতে এক হয়ে যায়,
মাঝে শুধু কাটাতার;
রাম করিমের হাত এক হলেই
গুলিবিদ্ধ বার বার।
শুণ্য আকাশে খেলতে থাকে
দুটি স্বপ্নের প্রজাপতি,
দুজনেই থাকে বেড়ার দুপাশে
কে দিলো সম্মতি?
দেখেছিলাম কিছু পিঁপড়ে কে যেতে
এপাশ থেকে ওপাশ-
এদের জন্য আইন কানুন নেই!
সাবাশ মানুষ সাবাশ।
হাওয়া মাটি মাছ জল পিঁপড়ে
প্রজাপতি থেকে পাখী;
এদেরই তো আছে অবাধ প্রবেশ,
কেন মানুষ শুধুই বাকি?
এরা সবাই পারে, আমরা পারিনা-
জানতে চাইলাম তাই;
আইন দেখিয়ে কারাবাস দিলো-
কারণ, বুঝতে পারিনি ভাই।

জেলা - জলপাইগুড়ি

রাজ্য - পশ্চিমবঙ্গ

ভারত